মানবকল্যাণে মুসলিম সমাজ by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
ধীরে ধীরে মুসলমানদের জন্য পৃথিবীটা সংকুচিত হয়ে আসছে। যুগপৎ কর্মসূচি বিমুখতা ও নানা মুনির নানা পথ আর বৈষয়িক লোভ-লালসাই এর জন্য দায়ী। বিষয়টা অনেকের উপলব্ধিতে এলেও এটা নিয়ে কারও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে অনেকটা ঘুমের ঘোরেই যেন সময় কাটছে।
ফলে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা আজ চরমভাবে নির্যাতিত। রাজনৈতিক শক্তি আর অর্থনৈতিক বল মুসলমানদের কাছে না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে ভাবা হলেও মোটা দাগে যে কথাটা বলা যায় তা হলো, মানব উন্নয়নে মুসলমানদের যথাযথ কর্মসূচি না থাকা আর ঐক্যের অভাবই এর জন্য দায়ী।
ইসলাম একটি সামগ্রিক জীবন বিধান। এ সামগ্রিক জীবন বিধানকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিপূর্ণ বাস্তবায়নেই রয়েছে শান্তি। এর বাস্তবতা পরীক্ষিত হয়েছে সুদীর্ঘকাল আগেই; বর্বর বলে খ্যাত আরব জনগোষ্ঠীর মাঝে। ইতিহাস তার সাক্ষী। আল্লাহর নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে নববীর ইমামতি থেকে শুরু করে আরবের প্রতিটি ভাঙা কুটিরের অনাহারি মানুষের খোঁজখবর নেওয়া, দুস্থ-দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এবং রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই ছিলেন সফল। শুধু মসজিদে ইমামতি, দোয়া-দরুদ ও ওয়াজ-নসিহতের মধ্যেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল না। রাজনীতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণ তথা মানবতার সামগ্রিক কল্যাণ সাধনই ছিল হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মসূচি। এটা একটি সুন্নত আমলও বটে। আর এই সুন্নত তথা মানবকল্যাণ ও সেবা-ই হচ্ছে ইসলামী জীবন দর্শনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
মানব উন্নয়ন প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমের সূরা আল-ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, তোমাদের আবির্ভাব ঘটেছে মানুষের কল্যাণের নির্দেশ ও অকল্যাণ থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে।' কোরআনুল কারিমের অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, 'পূর্ব-পশ্চিমে মুখ ফেরানোর মধ্যেই শুধু নেক কাজ সীমিত নয়, বরং নেক কাজ হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখেরাতকে বিশ্বাস, ফেরেশতার প্রতি বিশ্বাস, কিতাবের প্রতি বিশ্বাস, নবীদের প্রতি বিশ্বাস আর আল্লাহর মহব্বতে, আত্মীয়স্বজন, ইয়াতিম-মিসকিন, মুসাফির, ভিখারিদের জন্য ও দাসত্ব শৃঙ্খল মুক্তির জন্য অর্থ ব্যয় করা।'
উপরোলি্লখিত আয়াত ছাড়াও মানবসেবার কথা উল্লেখ করে কোরআনের সূরা আল-বালাদে ইরশাদ হচ্ছে, 'ওরা কঠিন দুর্ভেদ্য দুর্গটি অতিক্রম করতে পারেনি। আপনি কি জানেন সে কঠিন দুর্ভেদ্য দুর্গটি কী? তা হচ্ছে, মানুষের দাসত্ব শৃঙ্খল মোচন, নিরন্ন মানুষকে খাদ্য প্রদান, নিকটাত্মীয় ইয়াতিমদের পুনর্বাসন ও ধুলায় লুণ্ঠিত (ফুটপাতে শায়িত) মিসকিনদের খাদ্যের সংস্থান করা।' _সূরা আল বালাদ : ১১-১৬
মানব উন্নয়নের ব্যাপারে আল্লাহর নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করো ও রুগ্ণ ব্যক্তির সেবা করো।'_বুখারি শরিফ
মানব উন্নয়নে এই হলো ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। ইসলাম এসেছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির জন্য। ইসলাম সৃষ্টির সর্বজনীন ধর্ম। যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে সৃষ্টির প্রতিটি মানুষ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে এমনকি পশুপাখি পর্যন্ত সেখানে নিরাপত্তায় বসবাস করবে। এটাই ইসলামী দর্শন। ইসলাম প্রতিটি সৃষ্টি জীবের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করার প্রতি বিশেষ তাগাদা দিয়েছে। এমনকি ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সদাচার করার ব্যাপারে কোরআনেও নির্দেশ এসেছে।
মূলত ইসলামই মানবাধিকারের প্রবক্তা। সত্যিকার ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। তারপরও আমাদের কয়েক ভাই ইসলামের এই সর্বসুন্দর, সর্বজনীন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে বাদ দিয়ে শুধু কয়েকটি শাখার মাসয়ালা বা বিষয়াদি নিয়ে চরমভাবে ব্যস্ত রয়েছেন। ইসলামের অংশবিশেষকেই পূর্ণাঙ্গ ইসলাম মনে করছেন। অথচ তার সামনেই তার ঘরেই যে শিরকের প্রশিক্ষণ হচ্ছে, অর্থের লোভে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, বুভুক্ষু মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় কাতরাচ্ছে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়ার সময় তার নেই! বিভিন্ন মত-পথ ও দলবাজি ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে মুসলমানরা সর্বজনীন ইসলামকে। অথচ পারিবারিক ক্ষেত্রে, ব্যবসার ক্ষেত্রে, শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে, পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে, পররাষ্ট্রের ব্যাপারে এবং দুস্থ কাঙালদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে তার যে অনুপম নীতি ইত্যাদি যেন মুসলমানদের কাজই নয়। তাই তো বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্পসহ যুদ্ধাবস্থা ইত্যাদি কারণে কোথাও কোনো উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর জন্য অমুসলিম স্বেচ্ছাসেবীরা ছুটে যায়। আজকের দুনিয়ার সমগ্র মুসলিম দরিদ্রদের মধ্যে অমুসলিম সেবা সংস্থাগুলো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে, এসব দেখেশুনে মনে হয় যেন মুসলমানরা এসব কাজ জানেই না। এসব তাদের কর্মসূচি নয়! অথচ মুসলমানদের জানা ও বোঝা উচিত যে, এসব কর্মসূচি ও কাজ তাদেরই। এ কাজ হজরত সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ও হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে করেছেন।
মসজিদে নববীতে বসে আল্লাহর রাসূল (সা.) নিজেই দুস্থদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। ইসলামে অট্টালিকার মালিকের অধিকার আর ওই নিভৃত পল্লীর রাখালের অধিকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনি। আর এ কারণেই ইসলাম দ্বারা পৃথিবীময় এত বড় বিপ্লব সাধন সম্ভব হয়েছিল।
আজ মুসলমানরা শুধু এসব ইতিহাস স্মরণ ও আলোচনার মাধ্যমে তৃপ্তিবোধ করে থাকে। ফলে মুসলমানরা দুরবস্থার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। এ অবস্থায় মুসলমানদের উচিত মানব উন্নয়নে যথাযথ কর্মসূচি হাতে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আর এর দ্বারাই মুসলমানদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন সম্ভব।
muftianaet@gmail.com
ইসলাম একটি সামগ্রিক জীবন বিধান। এ সামগ্রিক জীবন বিধানকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিপূর্ণ বাস্তবায়নেই রয়েছে শান্তি। এর বাস্তবতা পরীক্ষিত হয়েছে সুদীর্ঘকাল আগেই; বর্বর বলে খ্যাত আরব জনগোষ্ঠীর মাঝে। ইতিহাস তার সাক্ষী। আল্লাহর নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে নববীর ইমামতি থেকে শুরু করে আরবের প্রতিটি ভাঙা কুটিরের অনাহারি মানুষের খোঁজখবর নেওয়া, দুস্থ-দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এবং রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই ছিলেন সফল। শুধু মসজিদে ইমামতি, দোয়া-দরুদ ও ওয়াজ-নসিহতের মধ্যেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল না। রাজনীতি ও রাষ্ট্রের কল্যাণ তথা মানবতার সামগ্রিক কল্যাণ সাধনই ছিল হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মসূচি। এটা একটি সুন্নত আমলও বটে। আর এই সুন্নত তথা মানবকল্যাণ ও সেবা-ই হচ্ছে ইসলামী জীবন দর্শনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
মানব উন্নয়ন প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমের সূরা আল-ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, তোমাদের আবির্ভাব ঘটেছে মানুষের কল্যাণের নির্দেশ ও অকল্যাণ থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে।' কোরআনুল কারিমের অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, 'পূর্ব-পশ্চিমে মুখ ফেরানোর মধ্যেই শুধু নেক কাজ সীমিত নয়, বরং নেক কাজ হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখেরাতকে বিশ্বাস, ফেরেশতার প্রতি বিশ্বাস, কিতাবের প্রতি বিশ্বাস, নবীদের প্রতি বিশ্বাস আর আল্লাহর মহব্বতে, আত্মীয়স্বজন, ইয়াতিম-মিসকিন, মুসাফির, ভিখারিদের জন্য ও দাসত্ব শৃঙ্খল মুক্তির জন্য অর্থ ব্যয় করা।'
উপরোলি্লখিত আয়াত ছাড়াও মানবসেবার কথা উল্লেখ করে কোরআনের সূরা আল-বালাদে ইরশাদ হচ্ছে, 'ওরা কঠিন দুর্ভেদ্য দুর্গটি অতিক্রম করতে পারেনি। আপনি কি জানেন সে কঠিন দুর্ভেদ্য দুর্গটি কী? তা হচ্ছে, মানুষের দাসত্ব শৃঙ্খল মোচন, নিরন্ন মানুষকে খাদ্য প্রদান, নিকটাত্মীয় ইয়াতিমদের পুনর্বাসন ও ধুলায় লুণ্ঠিত (ফুটপাতে শায়িত) মিসকিনদের খাদ্যের সংস্থান করা।' _সূরা আল বালাদ : ১১-১৬
মানব উন্নয়নের ব্যাপারে আল্লাহর নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করো ও রুগ্ণ ব্যক্তির সেবা করো।'_বুখারি শরিফ
মানব উন্নয়নে এই হলো ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। ইসলাম এসেছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির জন্য। ইসলাম সৃষ্টির সর্বজনীন ধর্ম। যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে সৃষ্টির প্রতিটি মানুষ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে এমনকি পশুপাখি পর্যন্ত সেখানে নিরাপত্তায় বসবাস করবে। এটাই ইসলামী দর্শন। ইসলাম প্রতিটি সৃষ্টি জীবের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করার প্রতি বিশেষ তাগাদা দিয়েছে। এমনকি ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সদাচার করার ব্যাপারে কোরআনেও নির্দেশ এসেছে।
মূলত ইসলামই মানবাধিকারের প্রবক্তা। সত্যিকার ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। তারপরও আমাদের কয়েক ভাই ইসলামের এই সর্বসুন্দর, সর্বজনীন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে বাদ দিয়ে শুধু কয়েকটি শাখার মাসয়ালা বা বিষয়াদি নিয়ে চরমভাবে ব্যস্ত রয়েছেন। ইসলামের অংশবিশেষকেই পূর্ণাঙ্গ ইসলাম মনে করছেন। অথচ তার সামনেই তার ঘরেই যে শিরকের প্রশিক্ষণ হচ্ছে, অর্থের লোভে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, বুভুক্ষু মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় কাতরাচ্ছে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়ার সময় তার নেই! বিভিন্ন মত-পথ ও দলবাজি ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে মুসলমানরা সর্বজনীন ইসলামকে। অথচ পারিবারিক ক্ষেত্রে, ব্যবসার ক্ষেত্রে, শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে, পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে, পররাষ্ট্রের ব্যাপারে এবং দুস্থ কাঙালদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে তার যে অনুপম নীতি ইত্যাদি যেন মুসলমানদের কাজই নয়। তাই তো বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্পসহ যুদ্ধাবস্থা ইত্যাদি কারণে কোথাও কোনো উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর জন্য অমুসলিম স্বেচ্ছাসেবীরা ছুটে যায়। আজকের দুনিয়ার সমগ্র মুসলিম দরিদ্রদের মধ্যে অমুসলিম সেবা সংস্থাগুলো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে, এসব দেখেশুনে মনে হয় যেন মুসলমানরা এসব কাজ জানেই না। এসব তাদের কর্মসূচি নয়! অথচ মুসলমানদের জানা ও বোঝা উচিত যে, এসব কর্মসূচি ও কাজ তাদেরই। এ কাজ হজরত সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ও হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে করেছেন।
মসজিদে নববীতে বসে আল্লাহর রাসূল (সা.) নিজেই দুস্থদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। ইসলামে অট্টালিকার মালিকের অধিকার আর ওই নিভৃত পল্লীর রাখালের অধিকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনি। আর এ কারণেই ইসলাম দ্বারা পৃথিবীময় এত বড় বিপ্লব সাধন সম্ভব হয়েছিল।
আজ মুসলমানরা শুধু এসব ইতিহাস স্মরণ ও আলোচনার মাধ্যমে তৃপ্তিবোধ করে থাকে। ফলে মুসলমানরা দুরবস্থার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। এ অবস্থায় মুসলমানদের উচিত মানব উন্নয়নে যথাযথ কর্মসূচি হাতে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আর এর দ্বারাই মুসলমানদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন সম্ভব।
muftianaet@gmail.com
No comments