মহাজোটের দুই সাংসদের লড়াই by একরামুল হক
চট্টগ্রামে মহাজোটের দুই সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। তাঁদের এ দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত। আজ রোববার ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনার জন্য উত্থাপন করতে পারেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতারা।
শহরতলীর অনন্যা আবাসিক এলাকার পাশে ‘সানোয়ারা সিটি’ নামের একটি আবাসিক প্রকল্প নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘সানোয়ারা সিটি’ নামের আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে মুজিবুর রহমান। আবাসিক প্রকল্পটির অবস্থান চট্টগ্রাম-৭ আসনের সীমানায়, ওই এলাকার সাংসদ হলেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল।
সাংসদ বাদল বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জায়গা দখল করে সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে আবাসিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন। এতে এলাকার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় পূর্ণ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিষোদগার করেছেন।’ আবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি। বরং তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘এলাকার বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত লোকজনকে আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন সাংসদ বাদল। তিনি একটি বেসরকারি চ্যানেলকে আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন।’
অনন্যার পাশে সানোয়ারা সিটি প্রকল্প চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) আইন মেনে হচ্ছে কি না জানতে চাইলে চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘ওই প্রকল্পের জমি দাগওয়ারি বিক্রি হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। প্রকল্পের জমি দাগওয়ারি বিক্রি হলে সেটা বৈধ। তবে প্লট করে বিক্রি হলে চউকের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। যেহেতু সে রকম কিছু হচ্ছে না তাই এই প্রকল্প নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা উচিত হবে না।’
দুই সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুচ ছালাম বলেন, ‘দুজনই সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁদের আমি সম্মান করি। তাঁদের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে নৌকা প্রতীকের সঙ্গে মিশে আছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। এই প্রতীক নিয়ে আমাদের অনেকে মন্ত্রী ও এমপি হয়েছেন। তাই প্রতীকটিকে অসম্মান করা উচিত নয়।’
চট্টগ্রামের এই দুই সাংসদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও বাগ্যুদ্ধের কারণে মহাজোটের নেতারাও বিব্রত বলে জানা গেছে। দুজনকে সমঝোতায় বসার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা। নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দুজনের দ্বন্দ্ব ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গেছে। এটা জোটের রাজনীতির জন্য মঙ্গল নয়। এ প্রসঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এটা আসলে নোংরামি। আমি এসবের মধ্যে নেই। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বিষয়টি জেনেছেন তিনি যা করার করবেন।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মইন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সংসদ সদস্য। রাজনীতিতে তাঁদের অবস্থান অনেক ওপরে। তাঁরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন, তা কাম্য নয়।
আমি মনে করি যেকোনো বিরোধ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা উচিত। সমঝোতায় বসলে তো বিষয়টা ফয়সালা হয়ে যায়।’
এদিকে সানোয়ারা সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাঙ্গামা হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় চান্দগাঁও থানায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। পুলিশও এসব মামলা নিয়ে বিব্রত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষ চান্দগাঁও থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে এবং করছে। পুলিশি তদন্তে দুই পক্ষের অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি, যে কারণে কিছু মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সাংসদ বাদল সাহেবের অভিযোগ, এলাকার লোকজনের জায়গা জোর করে দখল করছেন আরেক সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে। পুলিশি তদন্তে এ রকম অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আবার বিএসসি সাহেবের বড় ছেলে কয়েকটি অভিযোগ করেছেন বাদল সাহেব ও এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে। সেগুলোরও আমরা প্রমাণ পাইনি। আসলে দুজন সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে আছে। সেটা ওপরের পর্যায়ে বসে নিরসন করা উচিত।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘সানোয়ারা সিটি’ নামের আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে মুজিবুর রহমান। আবাসিক প্রকল্পটির অবস্থান চট্টগ্রাম-৭ আসনের সীমানায়, ওই এলাকার সাংসদ হলেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল।
সাংসদ বাদল বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জায়গা দখল করে সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে আবাসিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন। এতে এলাকার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় পূর্ণ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিষোদগার করেছেন।’ আবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি। বরং তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘এলাকার বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত লোকজনকে আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন সাংসদ বাদল। তিনি একটি বেসরকারি চ্যানেলকে আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন।’
অনন্যার পাশে সানোয়ারা সিটি প্রকল্প চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) আইন মেনে হচ্ছে কি না জানতে চাইলে চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘ওই প্রকল্পের জমি দাগওয়ারি বিক্রি হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। প্রকল্পের জমি দাগওয়ারি বিক্রি হলে সেটা বৈধ। তবে প্লট করে বিক্রি হলে চউকের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। যেহেতু সে রকম কিছু হচ্ছে না তাই এই প্রকল্প নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা উচিত হবে না।’
দুই সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুচ ছালাম বলেন, ‘দুজনই সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁদের আমি সম্মান করি। তাঁদের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে নৌকা প্রতীকের সঙ্গে মিশে আছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। এই প্রতীক নিয়ে আমাদের অনেকে মন্ত্রী ও এমপি হয়েছেন। তাই প্রতীকটিকে অসম্মান করা উচিত নয়।’
চট্টগ্রামের এই দুই সাংসদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও বাগ্যুদ্ধের কারণে মহাজোটের নেতারাও বিব্রত বলে জানা গেছে। দুজনকে সমঝোতায় বসার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা। নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দুজনের দ্বন্দ্ব ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গেছে। এটা জোটের রাজনীতির জন্য মঙ্গল নয়। এ প্রসঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এটা আসলে নোংরামি। আমি এসবের মধ্যে নেই। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বিষয়টি জেনেছেন তিনি যা করার করবেন।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মইন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সংসদ সদস্য। রাজনীতিতে তাঁদের অবস্থান অনেক ওপরে। তাঁরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন, তা কাম্য নয়।
আমি মনে করি যেকোনো বিরোধ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা উচিত। সমঝোতায় বসলে তো বিষয়টা ফয়সালা হয়ে যায়।’
এদিকে সানোয়ারা সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাঙ্গামা হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় চান্দগাঁও থানায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। পুলিশও এসব মামলা নিয়ে বিব্রত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষ চান্দগাঁও থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে এবং করছে। পুলিশি তদন্তে দুই পক্ষের অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি, যে কারণে কিছু মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সাংসদ বাদল সাহেবের অভিযোগ, এলাকার লোকজনের জায়গা জোর করে দখল করছেন আরেক সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বড় ছেলে। পুলিশি তদন্তে এ রকম অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আবার বিএসসি সাহেবের বড় ছেলে কয়েকটি অভিযোগ করেছেন বাদল সাহেব ও এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে। সেগুলোরও আমরা প্রমাণ পাইনি। আসলে দুজন সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে আছে। সেটা ওপরের পর্যায়ে বসে নিরসন করা উচিত।’
No comments