সাংবাদিক পেটানোয় এসি প্রত্যাহার ৯ পুলিশ সাসপেন্ড
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গতকাল শনিবার পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিপেটায় দৈনিক প্রথম আলোর তিন ফটো সাংবাদিক জাহিদুল করিম সেলিম, সাজিদ হোসেন ও খালেদ সরকার গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শেরে বাংলানগর থানার ৯ জন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত এবং একজন সহকারী কমিশনারকে (এসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম, শেরে বাংলানগর থানার এসআই জহির, এএসআই শফিক ও নাজমুল, কনস্টেবল মতিউর, রাজ্জাক, শাহজাহান, জয়নাল, রতন ও জাহাঙ্গীর। আহত ফটো সাংবাদিকদের প্রথমে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে (ট্রমা সেন্টার) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের কমিটি করেছে ডিএমপি। এসি শহীদুলের চাকরিচ্যুতি দাবি করেছেন সাংবাদিকরা। এ ঘটনায় এসি শহীদুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আহত সাংবাদিকরা শেরে বাংলানগর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে হামলার খবর শুনে পঙ্গু হাসপাতালে ছুটে যান বিভিন্ন দৈনিকে কর্মরত ফটো সাংবাদিকসহ পত্রিকা ও টিভির সাংবাদিকরা। পুলিশের নির্মম প্রহারে আহতদের আহাজারি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তেজগাঁও অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) ইমাম হোসেন, ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারাও এ সময় হাসপাতালে আসেন। সাংবাদিকরা তাঁদের কাছে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক জাহিদুল করিম সেলিম, সাজিদ হোসেন ও খালেদ সরকার আহত হন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের প্রহারে তাঁরা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সহকারী কমিশনার প্রত্যাহার ও ৯ জনকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরেশীকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আহত ফটো সাংবাদিকরা বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে অবনমন করার প্রতিবাদে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ফার্মগেটমুখী সড়ক রোকেয়া সরণিতে গাড়ি চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে। আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ক্যামেরা মেরামতের জন্য যাওয়ার সময় ফটো সাংবাদিক খালেদ সরকারও অবরোধের ছবি তোলা শুরু করেন। অবরোধের খবর পেয়ে জাহিদুল করিমও মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে পেঁৗছান। একই খবর শুনে সাজিদ হোসেনও মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যেতে থাকেন। অবরোধের কারণে সড়কের একপাশে যানজট থাকায় আরেকপাশ দিয়ে র্যাবের একটি ভ্যানের পিছে পিছে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন সাজিদ। এ সময় মোড়ে থাকা কয়েকজন পুলিশ তাঁকে থামতে সংকেত দেন। তিনি থেমে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশকে জানান, অবরোধের ছবি তুলতে যাচ্ছেন। পুলিশ তাঁকে বাধা দিলে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে এসি শহীদুল ইসলামসহ দুজন পুলিশ সাজিদের জামার কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে লাথি দিয়ে ফেলে দেন মোটরসাইকেলটি। আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে লাথি ও ঘুষি মেরে সাজিদকে মাটিতে ফেলে দেন। সহকর্মীকে মারতে দেখে জাহিদুল করিম এগিয়ে এলে তাঁকেও পেটায় পুলিশ। এদিকে সহকর্মীদের মারতে দেখে খালেদ সরকার ছবি তুলতে গেলে এসি শহীদুল এগিয়ে এসে তাঁর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। তাঁকেও মারধর করে পুলিশ। একপর্যায়ে তাঁদের তিনজনের কাছ থেকেই ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নিয়ে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয় শেরে বাংলানগর থানায়। পরে ওসি জাকির হোসেনের সহায়তায় অন্য সাংবাদিকরা তাঁদের হাসপাতালে নেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজিদ হোসেন বলেন, 'পুলিশের দুই কর্মকর্তা তেড়ে এসে আমার শার্টের কলার ধরে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। ব্যথায় আমি রাস্তায় পড়ে যাই। উঠে দাঁড়ানোর আগেই এক কর্মকর্তার নির্দেশে আরো কয়েকজন পুলিশ আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। লাথি মারতে মারতে কেড়ে নেয় হাতের ক্যামেরা। প্রায় অচেতন অবস্থায় আগারগাঁও মোড় থেকে মারতে মারতেই নিয়ে যায় থানায়।'
সাজিদ বলেন, বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে 'অনেক সাংবাদিক দেখছি, অনেক সাংবাদিক পিটাইছি' বলে সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম তাঁদের মা, বাবা তুলে গালি দিতে থাকেন।
ফটো সাংবাদিক খালেদ সরকার বলেন, 'বিক্ষোভের ছবি তোলার সময় প্রথমে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমার ওপর চড়াও হন।' তখন পর্যায়ক্রমে তাঁর অন্য দুই সহকর্মী এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। এরপর তাঁদের তিনজনকেই আটক করে শেরে বাংলানগর থানায় নেওয়া হয়। পুলিশ তাঁদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং ভাঙচুর করে।
চিকিৎসাধীন আহত ফটো সাংবাদিক জাহিদুল করিম জানান, তিনি আগারগাঁওয়ের পলিটেকনিক কলেজের সামনে ছবি তুলছিলেন। অবরোধ তুলে নিয়ে কলেজের ছাত্রীরা যখন মিছিল করে ফিরে যাচ্ছিল, তখন আরো ভাঙচুর হয় কি না, তা দেখতে তিনি পুলিশ বঙ্রে সামনে রাখা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তার বিপরীত পাশে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশের এসি শহীদুল ইসলাম কাছে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ কনস্টেবলদের পেটানোর নির্দেশ দেন। কনস্টেবলরা সাজিদকে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। পেটানোর একপর্যায়ে এসি শহীদুল ইসলাম তাঁদের বেঁধে থানায় নিয়ে যেতে নির্দেশ দিলে অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁদের মারতে মারতে থানায় নিয়ে যান। এ সময় শহীদুল ইসলাম উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, 'পেটা শালাদের, সাংবাদিক পেটা। সাংবাদিক পেটালে কিছু হয় না।'
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এসি শহীদুল ইসলাম বলেন, 'উনি মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলেন। আমার এএসআই বাধা দিচ্ছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। দেখে আমি দৌড় দিই। আমার সঙ্গে ফোর্স ছিল। তারাও দৌড় দেয়। তখন আমার সঙ্গে তাঁর হট টক শুরু হয়ে যায়। বোঝেনই তো মেজাজ কন্ট্রোলে রাখা খুব টাফ হয়ে গিয়েছিল। পেছনে যারা ছিল তারা এসে ওদের মোটরসাইকেল থেকে নামাচ্ছিল। এ সময় ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে উনি পড়ে যান। এতে তাঁর হাত-পা ছিলে যায়। তবে আমি নিজে কাউকে মারিনি।'
শেরে বাংলানগর থানার ওসি জাকির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।'
উল্লেখ্য, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে অবনমন করা হয়েছে দাবি করে গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। সারা দেশে পলিটেকনিকে এই অসন্তোষ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতোয়ার রহমানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে হামলার খবর শুনে পঙ্গু হাসপাতালে ছুটে যান বিভিন্ন দৈনিকে কর্মরত ফটো সাংবাদিকসহ পত্রিকা ও টিভির সাংবাদিকরা। পুলিশের নির্মম প্রহারে আহতদের আহাজারি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তেজগাঁও অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) ইমাম হোসেন, ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারাও এ সময় হাসপাতালে আসেন। সাংবাদিকরা তাঁদের কাছে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক জাহিদুল করিম সেলিম, সাজিদ হোসেন ও খালেদ সরকার আহত হন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের প্রহারে তাঁরা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সহকারী কমিশনার প্রত্যাহার ও ৯ জনকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরেশীকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আহত ফটো সাংবাদিকরা বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে অবনমন করার প্রতিবাদে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ফার্মগেটমুখী সড়ক রোকেয়া সরণিতে গাড়ি চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে। আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ক্যামেরা মেরামতের জন্য যাওয়ার সময় ফটো সাংবাদিক খালেদ সরকারও অবরোধের ছবি তোলা শুরু করেন। অবরোধের খবর পেয়ে জাহিদুল করিমও মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে পেঁৗছান। একই খবর শুনে সাজিদ হোসেনও মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যেতে থাকেন। অবরোধের কারণে সড়কের একপাশে যানজট থাকায় আরেকপাশ দিয়ে র্যাবের একটি ভ্যানের পিছে পিছে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন সাজিদ। এ সময় মোড়ে থাকা কয়েকজন পুলিশ তাঁকে থামতে সংকেত দেন। তিনি থেমে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশকে জানান, অবরোধের ছবি তুলতে যাচ্ছেন। পুলিশ তাঁকে বাধা দিলে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে এসি শহীদুল ইসলামসহ দুজন পুলিশ সাজিদের জামার কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে লাথি দিয়ে ফেলে দেন মোটরসাইকেলটি। আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে লাথি ও ঘুষি মেরে সাজিদকে মাটিতে ফেলে দেন। সহকর্মীকে মারতে দেখে জাহিদুল করিম এগিয়ে এলে তাঁকেও পেটায় পুলিশ। এদিকে সহকর্মীদের মারতে দেখে খালেদ সরকার ছবি তুলতে গেলে এসি শহীদুল এগিয়ে এসে তাঁর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। তাঁকেও মারধর করে পুলিশ। একপর্যায়ে তাঁদের তিনজনের কাছ থেকেই ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নিয়ে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয় শেরে বাংলানগর থানায়। পরে ওসি জাকির হোসেনের সহায়তায় অন্য সাংবাদিকরা তাঁদের হাসপাতালে নেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজিদ হোসেন বলেন, 'পুলিশের দুই কর্মকর্তা তেড়ে এসে আমার শার্টের কলার ধরে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। ব্যথায় আমি রাস্তায় পড়ে যাই। উঠে দাঁড়ানোর আগেই এক কর্মকর্তার নির্দেশে আরো কয়েকজন পুলিশ আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। লাথি মারতে মারতে কেড়ে নেয় হাতের ক্যামেরা। প্রায় অচেতন অবস্থায় আগারগাঁও মোড় থেকে মারতে মারতেই নিয়ে যায় থানায়।'
সাজিদ বলেন, বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে 'অনেক সাংবাদিক দেখছি, অনেক সাংবাদিক পিটাইছি' বলে সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম তাঁদের মা, বাবা তুলে গালি দিতে থাকেন।
ফটো সাংবাদিক খালেদ সরকার বলেন, 'বিক্ষোভের ছবি তোলার সময় প্রথমে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমার ওপর চড়াও হন।' তখন পর্যায়ক্রমে তাঁর অন্য দুই সহকর্মী এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। এরপর তাঁদের তিনজনকেই আটক করে শেরে বাংলানগর থানায় নেওয়া হয়। পুলিশ তাঁদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং ভাঙচুর করে।
চিকিৎসাধীন আহত ফটো সাংবাদিক জাহিদুল করিম জানান, তিনি আগারগাঁওয়ের পলিটেকনিক কলেজের সামনে ছবি তুলছিলেন। অবরোধ তুলে নিয়ে কলেজের ছাত্রীরা যখন মিছিল করে ফিরে যাচ্ছিল, তখন আরো ভাঙচুর হয় কি না, তা দেখতে তিনি পুলিশ বঙ্রে সামনে রাখা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তার বিপরীত পাশে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশের এসি শহীদুল ইসলাম কাছে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ কনস্টেবলদের পেটানোর নির্দেশ দেন। কনস্টেবলরা সাজিদকে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। পেটানোর একপর্যায়ে এসি শহীদুল ইসলাম তাঁদের বেঁধে থানায় নিয়ে যেতে নির্দেশ দিলে অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁদের মারতে মারতে থানায় নিয়ে যান। এ সময় শহীদুল ইসলাম উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, 'পেটা শালাদের, সাংবাদিক পেটা। সাংবাদিক পেটালে কিছু হয় না।'
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এসি শহীদুল ইসলাম বলেন, 'উনি মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলেন। আমার এএসআই বাধা দিচ্ছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। দেখে আমি দৌড় দিই। আমার সঙ্গে ফোর্স ছিল। তারাও দৌড় দেয়। তখন আমার সঙ্গে তাঁর হট টক শুরু হয়ে যায়। বোঝেনই তো মেজাজ কন্ট্রোলে রাখা খুব টাফ হয়ে গিয়েছিল। পেছনে যারা ছিল তারা এসে ওদের মোটরসাইকেল থেকে নামাচ্ছিল। এ সময় ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে উনি পড়ে যান। এতে তাঁর হাত-পা ছিলে যায়। তবে আমি নিজে কাউকে মারিনি।'
শেরে বাংলানগর থানার ওসি জাকির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।'
উল্লেখ্য, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে অবনমন করা হয়েছে দাবি করে গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। সারা দেশে পলিটেকনিকে এই অসন্তোষ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতোয়ার রহমানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
No comments