শুভ উদ্যোগটি অর্থবহ করতে সংসদে যেতে হবে-বিরোধী দলের বিকল্প বাজেট-প্রস্তাব
সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছায়া মন্ত্রিসভার একটি ধারণা প্রচলিত আছে। এর মানে হলো, প্রধান বিরোধী দলের শীর্ষ সারির নেতারা সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের কাজকর্মের ওপর নজর রাখেন এবং ভুলত্রুটির সমালোচনা করেন। বাংলাদেশে এ ধারণাটি এখনো সেভাবে চর্চিত হয় না।
তবে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ ধারণার আলোকেই ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য একটি বিকল্প বাজেট-প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। এটাকে ছায়া বাজেটও বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো বিরোধী দল এ ধরনের ছায়া বা বিকল্প বাজেটের প্রস্তাব দিল। বিষয়টি অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি শুভ উদ্যোগ। সে জন্য প্রথমেই বিরোধী দল ও দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানাতে হয়। পাশাপাশি এর তাত্পর্য ও প্রভাব নিয়ে একটু বিশ্লেষণ দাবি করে।
বস্তুত, বাজেট শুধু সরকারের একক কোনো বিষয় নয়, বরং এটা সারা দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিকল্প বাজেট-প্রস্তাব প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ সত্যটি বিরোধী দল মেনে নিয়েছে এবং একই সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আভাস দিয়েছে। তাদের প্রস্তাবে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যেগুলো এ সময়কালে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার যৌক্তিকতা রয়েছে। আবার কিছু নীতিগত প্রস্তাবও আছে, যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় এখন থেকেই বাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। যেমন: কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালীকরণ, কৃষিবিমা প্রবর্তন, প্রতি পরিবারে রেল খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদি।
এখানে অবশ্য প্রশ্ন হতে পারে যে বিএনপি যখন ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে শাসনক্ষমতায় ছিল, তখন তারা বিদ্যুত্, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতকে অবহেলা করেছে। আজকে বিদু্যুত্ খাতের যে দুরবস্থা, রেল খাতের যে রুগ্ণ দশা, তার জন্য তো বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার বড়ভাবে দায়ী। তাহলে এখন তারা আবার কীভাবে এসব খাতের উন্নয়নের পরামর্শ দেয় বা গত ১৬ মাসে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে? নীতি-বিতর্কের খাতিরে এ রকম প্রশ্ন ওঠায় কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে এ ধরনের প্রশ্ন তোলার চেয়ে বরং যেদিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন সেটা হলো, যেসব কথা প্রধান বিরোধী দল বলছে, সমালোচনা করছে ও পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো কতটা যৌক্তিক। দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতার আলোকেই বিএনপির প্রস্তাব ও সমালোচনাগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।
সর্বোপরি এখন যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো বিরোধী দলের সংসদে যোগদান করা এবং বাজেট অধিবেশনে তাদের প্রস্তাব ও সরকারের উপস্থাপিত বাজেট নিয়ে কথা বলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে সংসদে এসে বিকল্প বাজেট-প্রস্তাব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধী দলের এ আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেওয়া উচিত। যদি সংসদে গিয়ে তারা কথা বলার সুযোগ না পায়, তা তো জাতির সামনে প্রকাশ পাবেই। তার পরও আমরা আশা করব, জাতীয় সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের যুক্তিপূর্ণ বিতর্কে বাজেট অধিবেশন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
বস্তুত, বাজেট শুধু সরকারের একক কোনো বিষয় নয়, বরং এটা সারা দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিকল্প বাজেট-প্রস্তাব প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ সত্যটি বিরোধী দল মেনে নিয়েছে এবং একই সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আভাস দিয়েছে। তাদের প্রস্তাবে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যেগুলো এ সময়কালে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার যৌক্তিকতা রয়েছে। আবার কিছু নীতিগত প্রস্তাবও আছে, যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় এখন থেকেই বাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। যেমন: কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালীকরণ, কৃষিবিমা প্রবর্তন, প্রতি পরিবারে রেল খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদি।
এখানে অবশ্য প্রশ্ন হতে পারে যে বিএনপি যখন ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে শাসনক্ষমতায় ছিল, তখন তারা বিদ্যুত্, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতকে অবহেলা করেছে। আজকে বিদু্যুত্ খাতের যে দুরবস্থা, রেল খাতের যে রুগ্ণ দশা, তার জন্য তো বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার বড়ভাবে দায়ী। তাহলে এখন তারা আবার কীভাবে এসব খাতের উন্নয়নের পরামর্শ দেয় বা গত ১৬ মাসে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে? নীতি-বিতর্কের খাতিরে এ রকম প্রশ্ন ওঠায় কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে এ ধরনের প্রশ্ন তোলার চেয়ে বরং যেদিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন সেটা হলো, যেসব কথা প্রধান বিরোধী দল বলছে, সমালোচনা করছে ও পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো কতটা যৌক্তিক। দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতার আলোকেই বিএনপির প্রস্তাব ও সমালোচনাগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।
সর্বোপরি এখন যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো বিরোধী দলের সংসদে যোগদান করা এবং বাজেট অধিবেশনে তাদের প্রস্তাব ও সরকারের উপস্থাপিত বাজেট নিয়ে কথা বলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে সংসদে এসে বিকল্প বাজেট-প্রস্তাব নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধী দলের এ আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেওয়া উচিত। যদি সংসদে গিয়ে তারা কথা বলার সুযোগ না পায়, তা তো জাতির সামনে প্রকাশ পাবেই। তার পরও আমরা আশা করব, জাতীয় সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের যুক্তিপূর্ণ বিতর্কে বাজেট অধিবেশন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
No comments