বিতর্কিত কাবোর প্রতি এত প্রীতির কারণ কী!-বিমানের উড়োজাহাজ ভাড়া
হজ আসছে আর বাংলাদেশ বিমানে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্র। প্রতিবছরই হজযাত্রী পরিবহনের সময় উড়োজাহাজ ভাড়া করা নিয়ে যে কাণ্ড-কারখানা চলে, এবারও তার আলামত দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে উড়োজাহাজ ভাড়া দেওয়া নিয়ে যে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দফা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই কাজ করছে এই চক্র।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে যে হজযাত্রীরা হজ করতে যাবেন, তার অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে হবে বাংলাদেশ বিমানকে। নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই পরিমাণ যাত্রী আনা-নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠানটির নেই। ফলে প্রতিবছরের মতো এবারও উড়োজাহাজ ভাড়া করার বিকল্প নেই। বিমানের পরিকল্পনা হচ্ছে এ জন্য তিনটি উড়োজাহাজ ভাড়া করা। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে হজ ফ্লাইট শুরু করার কথা থাকলেও দুটি উড়োজাহাজ ভাড়া করার ক্ষেত্রে দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এর একটি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে আর দ্বিতীয়টি এখনো ঝুলে রয়েছে বা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এখানেই সেই বিতর্কিত নাইজেরিয়ার কাবো কোম্পানি উড়োজাহাজ ঢোকানের চেষ্টায় তৎপর রয়েছে বিমানের পুরোনো একটি চক্র।
২০০৯ সালে কাবোর কাছ থেকে উড়োজাহাজ ভাড়া নিয়েছিল বিমান। তখন জালিয়াতি করে চুক্তির অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি বিমানেরই একটি মহলের কারণে। ২০১০ সালেও এই কাবো ত্রুটিপূর্ণ একটি উড়োজাহাজ গছানের চেষ্টা করেছিল বিমানকে। আমরা দেখেছি তখন বিস্ময়করভাবে কাবোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বিমান-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির এক সদস্য ও বিমানের চেয়ারম্যান। আর ২০১১ সালে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে উড়োজাহাজ আনার কথা বলে বড় ধরনের জালিয়াতি করেছে কাবো। এর পরও বিমানের কারও কারও কাবোপ্রীতি কমেনি। কেন কমেনি তার কারণটি স্পষ্ট, লেনদেনের কোনো ব্যাপার না থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়।
যে প্রতিষ্ঠানটি তিন-তিনবার জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত, সেটিকে কালো তালিকভুক্ত না করে যাঁরা আবারও তাঁদের কাছ থেকে উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার ফন্দি-ফিকির করছেন, তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিমানের চেয়ারম্যানকেই যখন অতীতে কাবোর পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে, তখন এ ক্ষেত্রে বেশি কিছু আশা করা কঠিন। আমরা সংগত কারণেই এ ব্যাপারে আরও শীর্ষ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
২০০৯ সালে কাবোর কাছ থেকে উড়োজাহাজ ভাড়া নিয়েছিল বিমান। তখন জালিয়াতি করে চুক্তির অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি বিমানেরই একটি মহলের কারণে। ২০১০ সালেও এই কাবো ত্রুটিপূর্ণ একটি উড়োজাহাজ গছানের চেষ্টা করেছিল বিমানকে। আমরা দেখেছি তখন বিস্ময়করভাবে কাবোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বিমান-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির এক সদস্য ও বিমানের চেয়ারম্যান। আর ২০১১ সালে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে উড়োজাহাজ আনার কথা বলে বড় ধরনের জালিয়াতি করেছে কাবো। এর পরও বিমানের কারও কারও কাবোপ্রীতি কমেনি। কেন কমেনি তার কারণটি স্পষ্ট, লেনদেনের কোনো ব্যাপার না থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়।
যে প্রতিষ্ঠানটি তিন-তিনবার জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত, সেটিকে কালো তালিকভুক্ত না করে যাঁরা আবারও তাঁদের কাছ থেকে উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার ফন্দি-ফিকির করছেন, তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিমানের চেয়ারম্যানকেই যখন অতীতে কাবোর পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে, তখন এ ক্ষেত্রে বেশি কিছু আশা করা কঠিন। আমরা সংগত কারণেই এ ব্যাপারে আরও শীর্ষ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
No comments