বিরোধী দল সংসদে গিয়ে তাদের প্রস্তাব দিক-সংসদের বাজেট অধিবেশন
আজ নবম জাতীয় সংসদের যে অধিবেশনটি শুরু হচ্ছে, সেটি বাজেট অধিবেশন। সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদদের উপস্থিতিতে এ অধিবেশনটি প্রাণবন্ত হবে, সেটাই দেশাবাসীর প্রত্যাশা। বিরোধী দল এর আগে ধারণা দিয়েছিল, তারা বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবে।
কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ গতকাল একটি দলীয় কর্মসূচিতে বলেছেন, বাজেট অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা তাঁদের ছিল, কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের আটজন সাংসদ কারগারে থাকায় এখন সংসদে যোগদানের বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হবে। একই সঙ্গে অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলের সাংসদদের মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
আমরা তাঁর এই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাই। কিন্তু একই সঙ্গে এ কথাও বলব, কোনো অজুহাতেই সংসদ বর্জন করা ঠিক হবে না। বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে যদি তাঁরা রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে পারেন, তাহলে সংসদে গিয়ে প্রতিবাদ করতে পারবেন না কেন?
আগামী ৭ জুন অর্থমন্ত্রী ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। এর পর ৩০ জুন পর্যন্ত তা নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা হবে ২০১১-১২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট নিয়েও। সরকারি দলের সাংসদেরা স্বভাবতই সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হবেন না। সে ক্ষেত্রে বিরোধী সাংসদদের কাছ থেকেই প্রস্তাবিত বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ আশা করা যায়। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও কথা বলতে পারবেন।
অস্বীকার করার উপায় নেই, বাজেট নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের বেশিসংখ্যক সাংসদ আলোচনার সুযোগ পান। বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকলে সরকারি দল নিজেদের ব্যর্থতাগুলোও আড়াল করতে সচেষ্ট থাকে। বিরোধী দল সেই সুযোগ কেন সরকারকে দেবে? সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বাজেট পাস করিয়ে নিলেও বিরোধী দলের আপত্তি ও সমালোচনা রেকর্ডে রাখার জন্যও তাদের সংসদে যাওয়া কর্তব্য।
এ ছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে, তার যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান দেশবাসী আশা করে। সে জন্যও বিরোধী দলের উচিত হবে সংসদে গিয়ে তাদের দাবি পেশ করা। সরকারি দলের নেতারা বিরোধী দলকে সংসদে গিয়ে তাদের প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলেছেন। সেই আহ্বান কতটা আন্তরিক তা প্রমাণ করতেও বিরোধী দলের উচিত হবে সংসদে যাওয়া এবং তা কোনোভাবেই প্রতীকী হবে না।
একই সঙ্গে আমরা আশা করব, সরকারও এমন কিছু করবে না, যাতে বিরোধী দল সংসদে না যাওয়ার জন্য আরেকটি অজুহাত খাড়া করতে পারে। পৃথিবীর সব দেশেই অধিবেশন চলাকালে সাংসদেরা বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন। একমাত্র যুদ্ধাপরাধ ছাড়া অন্য যেকোনো অভিযোগে অভিযুক্ত সাংসদকে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে তাঁদের প্যারোলেও মুক্তি দেওয়া যেতে পারে।
আমরা তাঁর এই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাই। কিন্তু একই সঙ্গে এ কথাও বলব, কোনো অজুহাতেই সংসদ বর্জন করা ঠিক হবে না। বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে যদি তাঁরা রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে পারেন, তাহলে সংসদে গিয়ে প্রতিবাদ করতে পারবেন না কেন?
আগামী ৭ জুন অর্থমন্ত্রী ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। এর পর ৩০ জুন পর্যন্ত তা নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা হবে ২০১১-১২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট নিয়েও। সরকারি দলের সাংসদেরা স্বভাবতই সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হবেন না। সে ক্ষেত্রে বিরোধী সাংসদদের কাছ থেকেই প্রস্তাবিত বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ আশা করা যায়। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও কথা বলতে পারবেন।
অস্বীকার করার উপায় নেই, বাজেট নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের বেশিসংখ্যক সাংসদ আলোচনার সুযোগ পান। বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকলে সরকারি দল নিজেদের ব্যর্থতাগুলোও আড়াল করতে সচেষ্ট থাকে। বিরোধী দল সেই সুযোগ কেন সরকারকে দেবে? সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বাজেট পাস করিয়ে নিলেও বিরোধী দলের আপত্তি ও সমালোচনা রেকর্ডে রাখার জন্যও তাদের সংসদে যাওয়া কর্তব্য।
এ ছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে, তার যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান দেশবাসী আশা করে। সে জন্যও বিরোধী দলের উচিত হবে সংসদে গিয়ে তাদের দাবি পেশ করা। সরকারি দলের নেতারা বিরোধী দলকে সংসদে গিয়ে তাদের প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলেছেন। সেই আহ্বান কতটা আন্তরিক তা প্রমাণ করতেও বিরোধী দলের উচিত হবে সংসদে যাওয়া এবং তা কোনোভাবেই প্রতীকী হবে না।
একই সঙ্গে আমরা আশা করব, সরকারও এমন কিছু করবে না, যাতে বিরোধী দল সংসদে না যাওয়ার জন্য আরেকটি অজুহাত খাড়া করতে পারে। পৃথিবীর সব দেশেই অধিবেশন চলাকালে সাংসদেরা বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন। একমাত্র যুদ্ধাপরাধ ছাড়া অন্য যেকোনো অভিযোগে অভিযুক্ত সাংসদকে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে তাঁদের প্যারোলেও মুক্তি দেওয়া যেতে পারে।
No comments