বহুমুখী সংকটে সংবাদপত্রশিল্প-নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক কমান
দেশের সংবাদপত্রশিল্প যে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সে কথাই পুনর্ব্যক্ত হয়েছে শনিবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) বৈঠকে। গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজপ্রিন্টের দাম টনপ্রতি ১৮০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫ হাজার ৮০০ টাকা) বৃদ্ধির ঘটনা উদ্বেগজনকই বটে।
কেবল নিউজপ্রিন্ট নয়, সংবাদপত্রশিল্পের অন্য সব কাঁচামালের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এ অবস্থায় নোয়াব নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক শূন্য হারে নিয়ে আসার যে দাবি জানিয়েছে, তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সংবাদপত্রশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক শূন্য করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকারের আমলে নিউজপ্রিন্টের ওপর ৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছিল এই যুক্তিতে যে তখন আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম কিছুটা কম ছিল। ৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছাড়াও ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক মিলিয়ে আরও ১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। সে সময় নোয়াব নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আপত্তির কথা জানালে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজপ্রিন্টের দাম বাড়লে আমদানি শুল্ক কমানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। অসুবিধা সত্ত্বেও নোয়াব প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজপ্রিন্টের দাম বৃদ্ধি এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মহা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
এ অবস্থায় নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক বহাল রাখা হলে গোটা সংবাদপত্রশিল্পই সংকটের মুখোমুখি হবে। জোট সরকারের আমলে নিউজপ্রিন্টের আমদানি নিয়ে তেলেসমাতি কম হয়নি। সে সময়ে জোট সরকার কার্যত সংবাদপত্রশিল্পের বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তখন নিউজপ্রিন্টের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়। এর আগে ৫০ শতাংশ দেশীয় নিউজপ্রিন্ট ব্যবহারের এক অদ্ভুত ও যুক্তিহীন শর্তও কার্যকর ছিল। সংবাদপত্রশিল্পের মালিকেরা নানা দেনদরবার করেও তখন ক্ষমতাসীনদের মন একটুও গলাতে পারেননি। পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭-০৮ সালের বাজেটে নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক শূন্য করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজপ্রিন্টের দাম কমার যে যুক্তিতে বর্তমান সরকার ৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছিল, তা এখন আর কার্যকর না থাকায় সংবাদপত্রশিল্পের স্বার্থে তাই শূন্য শতাংশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রচারসংখ্যা অনুযায়ী, নিউজপ্রিন্ট আমদানির কোটা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে নোয়াবের দাবিও যুক্তিসংগত। দেশে যেহেতু চাহিদানুযায়ী মানসম্মত নিউজপ্রিন্ট উৎপাদিত হয় না এবং নিম্নমানের এই নিউজপ্রিন্টের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি পড়ে, তাই দেশীয় নিউজপ্রিন্ট ব্যবহারের বাধ্যবাধকতারও কোনো সুযোগ নেই। এই ফাঁদে পড়ে অতীতের সংবাদপত্রগুলো কেবল আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, উপরন্তু তাদের পদে পদে ভোগান্তিরও শিকার হতে হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার সংবাদপত্রশিল্পের বৃহত্তর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আগামী ১০ জুন জাতীয় সংসদে ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। সেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি আমদানি পণ্যের নতুন শুল্কহারও নির্ধারিত হবে। এ প্রেক্ষাপটে নোয়াব যথার্থভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আশ্বাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সরকার আগামী বাজেটে নিউজপ্রিন্টের ওপর আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেবে, এটাই সবার প্রত্যাশা। অন্যথায় এ বাড়তি খরচের বোঝা পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর বর্তাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সংবাদপত্রশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক শূন্য করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকারের আমলে নিউজপ্রিন্টের ওপর ৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছিল এই যুক্তিতে যে তখন আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম কিছুটা কম ছিল। ৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছাড়াও ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক মিলিয়ে আরও ১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। সে সময় নোয়াব নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আপত্তির কথা জানালে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজপ্রিন্টের দাম বাড়লে আমদানি শুল্ক কমানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। অসুবিধা সত্ত্বেও নোয়াব প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজপ্রিন্টের দাম বৃদ্ধি এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মহা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
এ অবস্থায় নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক বহাল রাখা হলে গোটা সংবাদপত্রশিল্পই সংকটের মুখোমুখি হবে। জোট সরকারের আমলে নিউজপ্রিন্টের আমদানি নিয়ে তেলেসমাতি কম হয়নি। সে সময়ে জোট সরকার কার্যত সংবাদপত্রশিল্পের বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তখন নিউজপ্রিন্টের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়। এর আগে ৫০ শতাংশ দেশীয় নিউজপ্রিন্ট ব্যবহারের এক অদ্ভুত ও যুক্তিহীন শর্তও কার্যকর ছিল। সংবাদপত্রশিল্পের মালিকেরা নানা দেনদরবার করেও তখন ক্ষমতাসীনদের মন একটুও গলাতে পারেননি। পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭-০৮ সালের বাজেটে নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক শূন্য করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজপ্রিন্টের দাম কমার যে যুক্তিতে বর্তমান সরকার ৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছিল, তা এখন আর কার্যকর না থাকায় সংবাদপত্রশিল্পের স্বার্থে তাই শূন্য শতাংশ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রচারসংখ্যা অনুযায়ী, নিউজপ্রিন্ট আমদানির কোটা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে নোয়াবের দাবিও যুক্তিসংগত। দেশে যেহেতু চাহিদানুযায়ী মানসম্মত নিউজপ্রিন্ট উৎপাদিত হয় না এবং নিম্নমানের এই নিউজপ্রিন্টের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি পড়ে, তাই দেশীয় নিউজপ্রিন্ট ব্যবহারের বাধ্যবাধকতারও কোনো সুযোগ নেই। এই ফাঁদে পড়ে অতীতের সংবাদপত্রগুলো কেবল আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, উপরন্তু তাদের পদে পদে ভোগান্তিরও শিকার হতে হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার সংবাদপত্রশিল্পের বৃহত্তর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আগামী ১০ জুন জাতীয় সংসদে ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। সেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি আমদানি পণ্যের নতুন শুল্কহারও নির্ধারিত হবে। এ প্রেক্ষাপটে নোয়াব যথার্থভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আশ্বাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সরকার আগামী বাজেটে নিউজপ্রিন্টের ওপর আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেবে, এটাই সবার প্রত্যাশা। অন্যথায় এ বাড়তি খরচের বোঝা পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর বর্তাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments