নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে প্রতিকার করুন-ইডেনে কী হচ্ছে?
ইডেন কলেজে কি শান্তি আসবে না? প্রকট সিট-বাণিজ্য, সরকারি ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের সন্ত্রাস ও কলেজ প্রশাসনের স্বৈরাচারী আচরণের একাধিক ঘটনা গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমে এসেছে। সেসবের সঙ্গে এখন যোগ হলো পুলিশি লাঞ্ছনার ঘটনা।
ইডেনের এক ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিচার চেয়ে করা ছাত্রীদের একটি কর্মসূচি গত বুধবার পুলিশ ভণ্ডুল করে দেয়। শুধু তা-ই নয়, সে সময় ছাত্রীরা পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে। এই নিন্দনীয় ঘটনায় কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন ওঠা উচিত।
চিকিৎসকের চেম্বারে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগে তাঁর সহপাঠীরা আন্দোলন করে আসছেন। ওই চিকিৎসকের শাস্তি, ইডেন কলেজে যৌন নিপীড়নবিরোধী অভিযোগ সেল গঠন ও নীতিমালা বাস্তবায়নসহ নানাবিধ দাবি তাঁরা তুলেছেন। এসব দাবি নিয়েই গত বুধবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাঁদের কর্মসূচি চলছিল। কী কারণে সেখানে পুরুষ-পুলিশ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ল, তা বোধগম্য নয়। ছাত্রীদের অভিযোগ, সেই সব পুলিশের হাতে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রী লাঞ্ছিত হয়েছেন। প্রথমত, প্রতিবাদ ও মতপ্রকাশ যতক্ষণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ তা অধিকার। তাই পুলিশের অতি সক্রিয় হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। দ্বিতীয়ত, সেখানে নারী-পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কেন ছাত্রীদের ওপর পুরুষ-পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হলো?
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নানা ভয়ভীতি এবং অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সিট বাতিলের অভিযোগ উঠেছে। এসবের দায়দায়িত্ব অবশ্যই প্রশাসনের, তথা কলেজ অধ্যক্ষের। অতীতে বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে মদদ দেওয়া এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈরী আচরণের অভিযোগ এসেছে। গত কয়েক মাসে কলেজটির ছাত্রীনিবাসে ছাত্রলীগের বারবার সন্ত্রাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। আমরা আশা করি, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত, ইডেনে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অনিয়ম ও অন্যায় চিহ্নিত করতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনও জরুরি। সবার আগে ক্যাম্পাস থেকে পুরুষ-পুলিশ সরিয়ে নিতে হবে। ইডেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এসব এখন জরুরি।
চিকিৎসকের চেম্বারে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগে তাঁর সহপাঠীরা আন্দোলন করে আসছেন। ওই চিকিৎসকের শাস্তি, ইডেন কলেজে যৌন নিপীড়নবিরোধী অভিযোগ সেল গঠন ও নীতিমালা বাস্তবায়নসহ নানাবিধ দাবি তাঁরা তুলেছেন। এসব দাবি নিয়েই গত বুধবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাঁদের কর্মসূচি চলছিল। কী কারণে সেখানে পুরুষ-পুলিশ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ল, তা বোধগম্য নয়। ছাত্রীদের অভিযোগ, সেই সব পুলিশের হাতে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রী লাঞ্ছিত হয়েছেন। প্রথমত, প্রতিবাদ ও মতপ্রকাশ যতক্ষণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ তা অধিকার। তাই পুলিশের অতি সক্রিয় হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। দ্বিতীয়ত, সেখানে নারী-পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কেন ছাত্রীদের ওপর পুরুষ-পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হলো?
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নানা ভয়ভীতি এবং অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সিট বাতিলের অভিযোগ উঠেছে। এসবের দায়দায়িত্ব অবশ্যই প্রশাসনের, তথা কলেজ অধ্যক্ষের। অতীতে বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে মদদ দেওয়া এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈরী আচরণের অভিযোগ এসেছে। গত কয়েক মাসে কলেজটির ছাত্রীনিবাসে ছাত্রলীগের বারবার সন্ত্রাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। আমরা আশা করি, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত, ইডেনে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অনিয়ম ও অন্যায় চিহ্নিত করতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনও জরুরি। সবার আগে ক্যাম্পাস থেকে পুরুষ-পুলিশ সরিয়ে নিতে হবে। ইডেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এসব এখন জরুরি।
No comments