পরিকল্পিত নগরায়ণ না হলে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে-এ মৃত্যুর জবাব কী
বেগুনবাড়িতে পাঁচতলা ভবন উপড়ে ২৫ জনের মৃত্যুর পরপরই পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নগরবাসীর জীবন যে কত তুচ্ছ, সে কথাই মনে করিয়ে দেয়। ঘরে-বাইরে নিয়ত এখানে মৃত্যু হানা দেয়। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী,
বৃহস্পতিবার রাতে একটি ভবনে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগে এবং মুহূর্তে তা পাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সরু গলি ও পাশাপাশি ভবন থাকার কারণে সেখানকার বাসিন্দারা আটকা পড়েন। ভবনগুলো পরিণত হয় মৃত্যুকূপে। রাত নয়টার দিকে আগুন লাগলেও দমকল বাহিনী রাত ১২টার আগে তা নেভাতে সক্ষম হয়নি। পুলিশ এ পর্যন্ত ১২০টি লাশ উদ্ধার করেছে।
এ মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী? দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও তার কুশীলবেরা। তাঁদের মধ্যে যেমন বাড়ির মালিক আছেন, তেমনি আছেন রাজউকের কর্মকর্তা, আছেন ডিসিসির কর্তাব্যক্তিরাও। এত সরু রাস্তার পাশে কীভাবে বহুতল ভবন গড়ে উঠল? কারা গড়লেন? কীভাবে রাজউক গায়ে গায়ে লাগা ভবন নির্মাণের অনুমতি দিল? একটি ভবন নির্মাণ করতে হলে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। সেখানকার বাড়ির মালিকেরা কি তা মেনেছিলেন? না মানলে রাজউক কীভাবে অনুমতি দিল? বিনা অনুমতিতে বাড়ি নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিতে হবে। এভাবে বেঘোরে মানুষ মারা যাবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
নিমতলীতে আগুনে পুড়ে যে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু মারা গেছে, তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমরা জানাই গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা। এই মর্মবিদারক ঘটনা কেবল শোকসন্তপ্ত পরিবারকেই শোকাহত করেনি, ব্যথিত করেছে গোটা দেশবাসীকে। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে সরকার আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে দুর্ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে। কিন্তু তা স্বজনহারাদের কান্না থামাতে পারবে কি?
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে কমিটি গঠিত হলেও তার প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় আছে। প্রতিবারই দুর্ঘটনার পর প্রশাসনে কিছুটা নড়াচড়া লক্ষ করা যায়। তারপর সবকিছু আগের মতো চলতে থাকে। এবারে তেমনটি হবে না বলে আশা করি। যাঁদের ‘সামান্য ভুলে’ এ অসামান্য ক্ষতি হলো, তাঁদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। আর কত দুর্ঘটনার শিকার হবে সাধারণ মানুষ? মানবসৃষ্ট এ বিপর্যয় রোধে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। মহানগরে যেসব অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ও অসহায় মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলবে না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যত্রতত্র অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ না করতে পারে, সে ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে তার আগে অবশ্যই সরষের ভেতরে যে ভূত আছে, তা তাড়ানো জরুরি।
এ মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী? দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও তার কুশীলবেরা। তাঁদের মধ্যে যেমন বাড়ির মালিক আছেন, তেমনি আছেন রাজউকের কর্মকর্তা, আছেন ডিসিসির কর্তাব্যক্তিরাও। এত সরু রাস্তার পাশে কীভাবে বহুতল ভবন গড়ে উঠল? কারা গড়লেন? কীভাবে রাজউক গায়ে গায়ে লাগা ভবন নির্মাণের অনুমতি দিল? একটি ভবন নির্মাণ করতে হলে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। সেখানকার বাড়ির মালিকেরা কি তা মেনেছিলেন? না মানলে রাজউক কীভাবে অনুমতি দিল? বিনা অনুমতিতে বাড়ি নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিতে হবে। এভাবে বেঘোরে মানুষ মারা যাবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
নিমতলীতে আগুনে পুড়ে যে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু মারা গেছে, তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমরা জানাই গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা। এই মর্মবিদারক ঘটনা কেবল শোকসন্তপ্ত পরিবারকেই শোকাহত করেনি, ব্যথিত করেছে গোটা দেশবাসীকে। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে সরকার আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে দুর্ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে। কিন্তু তা স্বজনহারাদের কান্না থামাতে পারবে কি?
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে কমিটি গঠিত হলেও তার প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় আছে। প্রতিবারই দুর্ঘটনার পর প্রশাসনে কিছুটা নড়াচড়া লক্ষ করা যায়। তারপর সবকিছু আগের মতো চলতে থাকে। এবারে তেমনটি হবে না বলে আশা করি। যাঁদের ‘সামান্য ভুলে’ এ অসামান্য ক্ষতি হলো, তাঁদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। আর কত দুর্ঘটনার শিকার হবে সাধারণ মানুষ? মানবসৃষ্ট এ বিপর্যয় রোধে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। মহানগরে যেসব অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ও অসহায় মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলবে না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যত্রতত্র অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ না করতে পারে, সে ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে তার আগে অবশ্যই সরষের ভেতরে যে ভূত আছে, তা তাড়ানো জরুরি।
No comments