সাক্ষাৎকার-প্রধানমন্ত্রী সব শুনেছেন, তিনি যা করার করবেন by মইন উদ্দীন খান বাদল
প্রথম আলো: চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে আপনি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কেন?
মইন উদ্দীন খান বাদল: উনার (নুরুল ইসলাম বিএসসি) সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কারণ আমরা একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী নই এবং একই লেভেলে (স্তর) রাজনীতি করি না। আমি রাস্তায় রাজনীতি করা মানুষ।
মইন উদ্দীন খান বাদল: উনার (নুরুল ইসলাম বিএসসি) সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কারণ আমরা একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী নই এবং একই লেভেলে (স্তর) রাজনীতি করি না। আমি রাস্তায় রাজনীতি করা মানুষ।
আমার সঙ্গে একজন ব্যবসায়ীর (সাংসদ নুরুল ইসলাম) দ্বন্দ্ব হবে কেন?
প্রথম আলো: তবুও আপনাদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ ও বিরোধের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। একটু ব্যাখা করবেন কি?
মইন উদ্দীন খান বাদল: আসলে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত হয়ে আমার কাছে এসেছে। এ কারণে তাঁদের পক্ষে আমি দাঁড়িয়েছি। তিনি (নুরুল ইসলাম বিএসসি) আমার এলাকার লোকজনের জায়গা দখল করে নিলে আমাকে তো প্রতিবাদ করতেই হবে। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, ঘটনাটি নিয়ে বিচার বিভাগীয় বা সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। আমার এলাকার লোকজনের অভিযোগ মিথ্যে হলে তাঁদের পক্ষে দাঁড়ানোটা আমার অপরাধ হয়েছে, যা আমি অস্বীকার করব না। কিন্তু তাঁকে (নুরুল ইসলাম বিএসসি) বলতে হবে তিনি জায়গা দখল করেছেন কি করেননি।
প্রথম আলো: আপনি তাহলে প্রধানমন্ত্রীকেও নালিশ দিয়েছেন? শুনে প্রধানমন্ত্রী কী বললেন?
মইন উদ্দীন খান বাদল: প্রধানমন্ত্রী সব শুনেছেন। তিনি যা করার করবেন। তবে ২৭ মে (আজ রোববার) ১৪ দলের সভায় বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা হবে।
প্রথম আলো: আপনি সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বিরুদ্ধে জায়গা দখলের কথা বললেন। এটা আসলে কিসের জায়গা?
মইন উদ্দীন খান বাদল: জায়গা দখলের অভিযোগ এলাকাবাসীর। এটা আমার অভিযোগ নয়। অনন্যা আবাসিক এলাকার পাশে সাজিয়া বিলের ধানি জমি দখল করে সেখানে ‘সানোয়ারা সিটি’ নামের একটি হাউজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন তাঁরা। আমার এলাকার লোকজনের জায়গা দখল হলে তাঁরা আমার কাছে আসে। কারণ তাঁরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমি তাঁদের পক্ষে অবস্থান নিই।
প্রথম আলো: সাজিয়া বিলের জায়গা দখল হয়েছে বলে যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা কি আদালতে গেছেন? কিংবা আপনি তাঁদের আদালতে যেতে বলেছেন?
মইন উদ্দীন খান বাদল: দেশের প্রচলিত ব্যবস্থা সম্পর্কে কি আপনার ধারণা আছে? এলাকার মানুষ কী অবস্থায় আছেন এবং তাঁরা কতটুকু চাপ সহ্য করতে পারবেন? ওরা আসলে গরিব মানুষ। তাই এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা আমার কাছে এসেছেন।
প্রথম আলো: আপনি আইন প্রণেতা। আদালতের ওপর তো সবার আস্থা থাকা দরকার। জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ হলে আদালতে তা নিষ্পত্তি হওয়া উচিত নয় কি?
মইন উদ্দীন খান বাদল: সানোয়ারা সিটি কর্তৃপক্ষ সাজিয়া বিলে ছোট্ট একখণ্ড জায়গা কেনে। পরে পাশের জায়গার মালিককে সানোয়ারা অফিসে ডেকে পাঠায়। কম দামে ওই জমি বিক্রি করতে চাপ সৃষ্টি করে। ভয়ভীতি দেখায়। নইলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এসব কারণে ওরা ভীতসন্ত্রস্ত। তাঁরা তো আইনের আশ্রয়ও নিতে ভয় পাচ্ছে।
প্রথম আলো: সানোয়ারা সিটি করার সময় আপনি নাকি দুটি প্লট ও মোটা অঙ্কের নগদ টাকা চেয়েছেন? তাঁরা দিতে রাজি হননি বলে আপনি এলাকার বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত লোকজনকে নিয়ে আন্দোলন করছেন?
মইন উদ্দীন খান বাদল: আমি কারোর কাছ থেকে প্লট বা টাকা চাইনি। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই। আমার বাবার করা বাড়িতে আমি থাকি। আর আন্দোলনকারীদের একজন আওয়ামী লীগের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আরেকজন বিমানের শ্রমিক লীগের নেতা। তাঁরা আবার জামায়াত-শিবির হলেন কবে? আসলে উনি (নুরুল ইসলাম) তো ব্যবসায়ী। উনার বাবা গরিব মানুষ ছিলেন। কাঠমিস্ত্রির ছেলে হয়ে উনি পড়াশোনা করেছেন। প্রথম জীবনে উনি শিক্ষকতা করতেন। পরে কাস্টমসে চাকরি করেছেন। সেই চাকরি চলে যাওয়ার পর উনি ব্যবসায় নেমেছেন। এসব আমাদের জানা আছে।
প্রথম আলো: আপনার চাচাও নাকি শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন।
মইন উদ্দীন খান বাদল: হ্যাঁ ছিলেন তো, শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। উনাকে দেশ স্বাধীনের পর আমি পাকড়াও করে জেলে ঢুকিয়েছি। আমার আরেক জেঠাও শান্তি কমিটিতে ছিলেন। তাঁকে দেশ স্বাধীনের পর আমার সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করে হত্যা করেছে। তাঁর কবর আমার বাড়ির সামনে আছে। আমার বাড়িতে গেলে ওই জেঠার কবর দেখতে পাবেন।
প্রথম আলো: তবুও আপনাদের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ ও বিরোধের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। একটু ব্যাখা করবেন কি?
মইন উদ্দীন খান বাদল: আসলে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত হয়ে আমার কাছে এসেছে। এ কারণে তাঁদের পক্ষে আমি দাঁড়িয়েছি। তিনি (নুরুল ইসলাম বিএসসি) আমার এলাকার লোকজনের জায়গা দখল করে নিলে আমাকে তো প্রতিবাদ করতেই হবে। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, ঘটনাটি নিয়ে বিচার বিভাগীয় বা সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। আমার এলাকার লোকজনের অভিযোগ মিথ্যে হলে তাঁদের পক্ষে দাঁড়ানোটা আমার অপরাধ হয়েছে, যা আমি অস্বীকার করব না। কিন্তু তাঁকে (নুরুল ইসলাম বিএসসি) বলতে হবে তিনি জায়গা দখল করেছেন কি করেননি।
প্রথম আলো: আপনি তাহলে প্রধানমন্ত্রীকেও নালিশ দিয়েছেন? শুনে প্রধানমন্ত্রী কী বললেন?
মইন উদ্দীন খান বাদল: প্রধানমন্ত্রী সব শুনেছেন। তিনি যা করার করবেন। তবে ২৭ মে (আজ রোববার) ১৪ দলের সভায় বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা হবে।
প্রথম আলো: আপনি সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির বিরুদ্ধে জায়গা দখলের কথা বললেন। এটা আসলে কিসের জায়গা?
মইন উদ্দীন খান বাদল: জায়গা দখলের অভিযোগ এলাকাবাসীর। এটা আমার অভিযোগ নয়। অনন্যা আবাসিক এলাকার পাশে সাজিয়া বিলের ধানি জমি দখল করে সেখানে ‘সানোয়ারা সিটি’ নামের একটি হাউজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন তাঁরা। আমার এলাকার লোকজনের জায়গা দখল হলে তাঁরা আমার কাছে আসে। কারণ তাঁরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমি তাঁদের পক্ষে অবস্থান নিই।
প্রথম আলো: সাজিয়া বিলের জায়গা দখল হয়েছে বলে যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা কি আদালতে গেছেন? কিংবা আপনি তাঁদের আদালতে যেতে বলেছেন?
মইন উদ্দীন খান বাদল: দেশের প্রচলিত ব্যবস্থা সম্পর্কে কি আপনার ধারণা আছে? এলাকার মানুষ কী অবস্থায় আছেন এবং তাঁরা কতটুকু চাপ সহ্য করতে পারবেন? ওরা আসলে গরিব মানুষ। তাই এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা আমার কাছে এসেছেন।
প্রথম আলো: আপনি আইন প্রণেতা। আদালতের ওপর তো সবার আস্থা থাকা দরকার। জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ হলে আদালতে তা নিষ্পত্তি হওয়া উচিত নয় কি?
মইন উদ্দীন খান বাদল: সানোয়ারা সিটি কর্তৃপক্ষ সাজিয়া বিলে ছোট্ট একখণ্ড জায়গা কেনে। পরে পাশের জায়গার মালিককে সানোয়ারা অফিসে ডেকে পাঠায়। কম দামে ওই জমি বিক্রি করতে চাপ সৃষ্টি করে। ভয়ভীতি দেখায়। নইলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এসব কারণে ওরা ভীতসন্ত্রস্ত। তাঁরা তো আইনের আশ্রয়ও নিতে ভয় পাচ্ছে।
প্রথম আলো: সানোয়ারা সিটি করার সময় আপনি নাকি দুটি প্লট ও মোটা অঙ্কের নগদ টাকা চেয়েছেন? তাঁরা দিতে রাজি হননি বলে আপনি এলাকার বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত লোকজনকে নিয়ে আন্দোলন করছেন?
মইন উদ্দীন খান বাদল: আমি কারোর কাছ থেকে প্লট বা টাকা চাইনি। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই। আমার বাবার করা বাড়িতে আমি থাকি। আর আন্দোলনকারীদের একজন আওয়ামী লীগের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আরেকজন বিমানের শ্রমিক লীগের নেতা। তাঁরা আবার জামায়াত-শিবির হলেন কবে? আসলে উনি (নুরুল ইসলাম) তো ব্যবসায়ী। উনার বাবা গরিব মানুষ ছিলেন। কাঠমিস্ত্রির ছেলে হয়ে উনি পড়াশোনা করেছেন। প্রথম জীবনে উনি শিক্ষকতা করতেন। পরে কাস্টমসে চাকরি করেছেন। সেই চাকরি চলে যাওয়ার পর উনি ব্যবসায় নেমেছেন। এসব আমাদের জানা আছে।
প্রথম আলো: আপনার চাচাও নাকি শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন।
মইন উদ্দীন খান বাদল: হ্যাঁ ছিলেন তো, শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। উনাকে দেশ স্বাধীনের পর আমি পাকড়াও করে জেলে ঢুকিয়েছি। আমার আরেক জেঠাও শান্তি কমিটিতে ছিলেন। তাঁকে দেশ স্বাধীনের পর আমার সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করে হত্যা করেছে। তাঁর কবর আমার বাড়ির সামনে আছে। আমার বাড়িতে গেলে ওই জেঠার কবর দেখতে পাবেন।
No comments