সমবায়ভিত্তিক নিরাপদ আবাসন গড়ে তুলুন-আবাসিক ভবনের আতঙ্কিত মানুষ
নিমতলীর অভিশপ্ত ভবনের নিচতলায় অতিমাত্রায় দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের মজুদ ছিল। রোববার প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবনের মালিক বিছানার ফোম ও জুতার সোল তৈরির কাজে ব্যবহূত দুই ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ব্যবসা করতেন। তিনিই ওই মারাত্মক রাসায়নিক পদার্থ এনে নিজের বাসায় রেখেছিলেন।
আগুনের কাছে এলে রাসায়নিক পদার্থগুলো প্রচণ্ড উত্তাপ ছড়ায়। ধারণা করা হয়, বিয়েবাড়ির রান্নার আয়োজন থেকে রাসায়নিক পদার্থ উত্তপ্ত হয়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সবকিছু পরিষ্কার হবে। কিন্তু আপাতত দেখা যাচ্ছে, আবাসিক ভবনে দাহ্য পদার্থ রাখার কারণে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ির মালিকেরা মনে করেন, নিজের বাড়িতে যা খুশি রাখবেন, তাতে কার কী? কিন্তু রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণ, গুদামজাত করা ও পরিবহনের সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। আবাসিক ভবনে এসব বিপজ্জনক বস্তু রাখা প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। যিনি ব্যবসা করেন, তাঁকে রাসায়নিক পদার্থের বিপদ সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। এখানে অজ্ঞতার কোনো স্থান নেই।
নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষের চোখ খুলে যাওয়া উচিত। এ মুহূর্তে একটি ঝটিকা জরিপ চালিয়ে পুরান ঢাকাসহ সমগ্র মহানগরের কোন কোন এলাকায় এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থের মজুদ রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। অনেক আবাসিক এলাকার কোনো বাসার সামান্য খোলা প্রাঙ্গণ মবিলের মতো দাহ্য পদার্থের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানে আগুনের সামান্য ফুলকি থেকে জ্বলে উঠতে পারে একেকটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এসব বিপজ্জনক স্থান চিহ্নিত ও দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা করা না হলে বারবার নিমতলীর মতো ভয়াবহ মৃত্যু হানা দেবে এ মহানগরে।
পুরান ঢাকায়ই শুধু নয়, নতুন ঢাকার বেগুনবাড়ি, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, আরামবাগ, বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নবিত্তদের বস্তি তো আছেই, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে-ওঠা বহুতল ভবনের ‘অভিজাত বস্তি’ও রয়েছে। কোথাও ভবন হেলে পড়ছে, আবার কোনো কাঁচা বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে, অসহায় মানুষ জীবন দিচ্ছে। পুরান ঢাকার ঘনবসতি এলাকায় বিদ্যুতের তারগুলো এমনভাবে জড়াজড়ি করে রয়েছে যে অলৌকিক কারণ ছাড়া কারও বাঁচার কথা নয়। গত ছয় মাসে শুধু রাজধানী ঢাকায়ই ৮৮১টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর পরও কি সরকার ও কর্তৃপক্ষ নির্লিপ্ত থাকবে?
ঘনবসতি এলাকাগুলোর জমির মালিকেরা নিজ উদ্যোগে ছোট ছোট সমবায় গড়ে তুলতে পারেন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে একেকটি আবাসিক এলাকা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। রাজউকের নিয়ম মেনে চারপাশে পর্যাপ্ত জমি ছেড়ে বহুতল ভবন নির্মিত হবে। জমির মালিকানার অনুপাতে ফ্ল্যাট—এ নীতির ভিত্তিতে আবাসিক প্রকল্প নেওয়া সম্ভব। সরকারের উচিত, এ ধরনের উদ্যোগে ব্যাংকঋণ সহজলভ্য করা। রাজউকের উচিত, স্থাপত্যবিদ ও প্রকৌশলী দিয়ে সাহায্য করা। এগুলো হবে সমবায়ভিত্তিক আবাসিক প্রকল্প। প্রচলিত ‘হাউজিং’ ব্যবসার মুনাফা দ্বারা চালিত না হয়ে সমবায়ভিত্তিক পারস্পরিক কল্যাণ সাধনই হবে এর মূল প্রেরণা। এভাবে নিজেদের জন্য নিজেরা নিরাপদ আবাসিক এলাকা গড়ে তুলতে পারেন। কিন্তু এ জন্য রাজউককে পুরোনো ধ্যান-ধারণা পরিত্যাগ করে এগিয়ে আসতে হবে কল্যাণধর্মী নতুন পরিকল্পনা নিয়ে। নগর পরিকল্পনাবিদেরা এ ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সবকিছু পরিষ্কার হবে। কিন্তু আপাতত দেখা যাচ্ছে, আবাসিক ভবনে দাহ্য পদার্থ রাখার কারণে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ির মালিকেরা মনে করেন, নিজের বাড়িতে যা খুশি রাখবেন, তাতে কার কী? কিন্তু রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণ, গুদামজাত করা ও পরিবহনের সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। আবাসিক ভবনে এসব বিপজ্জনক বস্তু রাখা প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। যিনি ব্যবসা করেন, তাঁকে রাসায়নিক পদার্থের বিপদ সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। এখানে অজ্ঞতার কোনো স্থান নেই।
নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষের চোখ খুলে যাওয়া উচিত। এ মুহূর্তে একটি ঝটিকা জরিপ চালিয়ে পুরান ঢাকাসহ সমগ্র মহানগরের কোন কোন এলাকায় এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থের মজুদ রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। অনেক আবাসিক এলাকার কোনো বাসার সামান্য খোলা প্রাঙ্গণ মবিলের মতো দাহ্য পদার্থের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানে আগুনের সামান্য ফুলকি থেকে জ্বলে উঠতে পারে একেকটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এসব বিপজ্জনক স্থান চিহ্নিত ও দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা করা না হলে বারবার নিমতলীর মতো ভয়াবহ মৃত্যু হানা দেবে এ মহানগরে।
পুরান ঢাকায়ই শুধু নয়, নতুন ঢাকার বেগুনবাড়ি, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, আরামবাগ, বাসাবোসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নবিত্তদের বস্তি তো আছেই, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে-ওঠা বহুতল ভবনের ‘অভিজাত বস্তি’ও রয়েছে। কোথাও ভবন হেলে পড়ছে, আবার কোনো কাঁচা বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে, অসহায় মানুষ জীবন দিচ্ছে। পুরান ঢাকার ঘনবসতি এলাকায় বিদ্যুতের তারগুলো এমনভাবে জড়াজড়ি করে রয়েছে যে অলৌকিক কারণ ছাড়া কারও বাঁচার কথা নয়। গত ছয় মাসে শুধু রাজধানী ঢাকায়ই ৮৮১টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর পরও কি সরকার ও কর্তৃপক্ষ নির্লিপ্ত থাকবে?
ঘনবসতি এলাকাগুলোর জমির মালিকেরা নিজ উদ্যোগে ছোট ছোট সমবায় গড়ে তুলতে পারেন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে একেকটি আবাসিক এলাকা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। রাজউকের নিয়ম মেনে চারপাশে পর্যাপ্ত জমি ছেড়ে বহুতল ভবন নির্মিত হবে। জমির মালিকানার অনুপাতে ফ্ল্যাট—এ নীতির ভিত্তিতে আবাসিক প্রকল্প নেওয়া সম্ভব। সরকারের উচিত, এ ধরনের উদ্যোগে ব্যাংকঋণ সহজলভ্য করা। রাজউকের উচিত, স্থাপত্যবিদ ও প্রকৌশলী দিয়ে সাহায্য করা। এগুলো হবে সমবায়ভিত্তিক আবাসিক প্রকল্প। প্রচলিত ‘হাউজিং’ ব্যবসার মুনাফা দ্বারা চালিত না হয়ে সমবায়ভিত্তিক পারস্পরিক কল্যাণ সাধনই হবে এর মূল প্রেরণা। এভাবে নিজেদের জন্য নিজেরা নিরাপদ আবাসিক এলাকা গড়ে তুলতে পারেন। কিন্তু এ জন্য রাজউককে পুরোনো ধ্যান-ধারণা পরিত্যাগ করে এগিয়ে আসতে হবে কল্যাণধর্মী নতুন পরিকল্পনা নিয়ে। নগর পরিকল্পনাবিদেরা এ ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।
No comments