সরকারের কোপানলে অধিকারঃ আপত্তি কোথায়?
দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানবাধিকার সংস্থাই এ ব্যাপারে সোচ্চার নয়। বিভিন্ন মহল থেকে যখন এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে তখন একটি সক্রিয় মানবাধিকার সংস্থা সরকারি বাধা-নিষেধের বেড়াজালে আটকে গেল।
জানা গেছে, বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর একটি প্রকল্প আবারও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ফলে দেশে দেড়শ’ মানবাধিকার সংগঠনের মধ্যে হাতেগোনা যে ক’টি সংস্থা মানবাধিকার নিয়ে নানা ঝুঁকির মধ্যেও কাজ করে আসছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম এ সংস্থাটির কার্যক্রম বহুলাংশে বাধাগ্রস্ত হলো। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অধিকার-এর আলোচ্য মানবাধিকার প্রকল্পটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এভাবে বাতিল করে দেয়ার অর্থ হচ্ছে ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারের নামে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক বা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির মৃত্যু বন্ধ করতে বর্তমান সরকার মোটেও আন্তরিক নয়।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কথা উল্লেখ করে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো সংস্থাটির ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। গত বছর ৩১ আগস্ট এনজিও ব্যুরো একই কারণে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। অবশেষে অধিকারের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশে অব্যাহত ছিল প্রকল্পটির কর্মকাণ্ড। এবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে একই কারণে বেঁকে বসেছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ডেনমার্কের অর্থায়নে ২০০৯ সাল থেকে উল্লিখিত প্রকল্পের কাজ চলে আসছিল। ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ না বাড়ালে এর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, জরুরি সরকারের আমলেও অধিকারকে নানা ধরনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। বিশেষত রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করায় ‘অধিকার’ কার্যালয় থেকে এক পরিচালককে ধরে নিয়ে গিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তবে তখনও এর কোনো প্রকল্প বন্ধ করা হয়নি।
মানবাধিকার সংস্থার কাজ হচ্ছে যে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ এবং তা উপস্থাপনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকটি ফুটিয়ে তোলার মধ্যেই তার কাজ সীমাবদ্ধ নয়। এ ব্যাপারে দেশের দায়িত্বশীল মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রয়োজনবোধে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে কথা বলে। অনেক সময় যৌক্তিক ও ইতিবাচক এবং অধিকতর মানবিক আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করাও তাদের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া বিদ্যমান আইনে কঠোরতা ও অসঙ্গতি থাকলে তা সংশোধনের অনুরোধও জানায় সরকারের কাছে। অর্থাত্ সুশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি দেশের জনগণকেও সচেতন করতে প্রচেষ্টা চালায়। এসব ব্যাপারে অধিকার অনেক মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
বর্তমান সরকার অধিকার-এর যে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়াতে অপারগতা প্রকাশ করছে সে প্রকল্পটি একটি মানবাধিকারবিষয়ক প্রশিক্ষণমূলক প্রকল্প। মানবাধিকার সংরক্ষণ, লঙ্ঘন ও প্রতিরোধ বিষয়ে জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণ দেয়া হতো এ প্রকল্পের মাধ্যমে। এর জেলাভিত্তিক কর্মশালায় জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশ কর্মকর্তা এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অংশ নিতেন।
দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অধিকার বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও নির্যাতন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ইত্যাদির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। মানবাধিকারের পক্ষে রয়েছেন, এমন সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংগঠনটি একটি মানবাধিকার গ্রুপ গড়তে সচেষ্ট বলেও জানা গেছে। তাহলে আপত্তি কোথায়? সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সত্য প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের কথা পুনরুল্লেখ করেছেন। বলেছেন, আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সবার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থাকবে। কেউ অন্যায়ের শিকার হবে না। দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিশেষ করে অধিকার-এর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। সেক্ষেত্রে আলোচ্য প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপারগতা প্রকাশের কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কথা উল্লেখ করে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো সংস্থাটির ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। গত বছর ৩১ আগস্ট এনজিও ব্যুরো একই কারণে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। অবশেষে অধিকারের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশে অব্যাহত ছিল প্রকল্পটির কর্মকাণ্ড। এবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে একই কারণে বেঁকে বসেছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ডেনমার্কের অর্থায়নে ২০০৯ সাল থেকে উল্লিখিত প্রকল্পের কাজ চলে আসছিল। ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। মেয়াদ না বাড়ালে এর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, জরুরি সরকারের আমলেও অধিকারকে নানা ধরনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। বিশেষত রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করায় ‘অধিকার’ কার্যালয় থেকে এক পরিচালককে ধরে নিয়ে গিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তবে তখনও এর কোনো প্রকল্প বন্ধ করা হয়নি।
মানবাধিকার সংস্থার কাজ হচ্ছে যে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ এবং তা উপস্থাপনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকটি ফুটিয়ে তোলার মধ্যেই তার কাজ সীমাবদ্ধ নয়। এ ব্যাপারে দেশের দায়িত্বশীল মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রয়োজনবোধে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে কথা বলে। অনেক সময় যৌক্তিক ও ইতিবাচক এবং অধিকতর মানবিক আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করাও তাদের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া বিদ্যমান আইনে কঠোরতা ও অসঙ্গতি থাকলে তা সংশোধনের অনুরোধও জানায় সরকারের কাছে। অর্থাত্ সুশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি দেশের জনগণকেও সচেতন করতে প্রচেষ্টা চালায়। এসব ব্যাপারে অধিকার অনেক মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
বর্তমান সরকার অধিকার-এর যে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়াতে অপারগতা প্রকাশ করছে সে প্রকল্পটি একটি মানবাধিকারবিষয়ক প্রশিক্ষণমূলক প্রকল্প। মানবাধিকার সংরক্ষণ, লঙ্ঘন ও প্রতিরোধ বিষয়ে জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণ দেয়া হতো এ প্রকল্পের মাধ্যমে। এর জেলাভিত্তিক কর্মশালায় জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশ কর্মকর্তা এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অংশ নিতেন।
দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অধিকার বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও নির্যাতন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ইত্যাদির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। মানবাধিকারের পক্ষে রয়েছেন, এমন সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংগঠনটি একটি মানবাধিকার গ্রুপ গড়তে সচেষ্ট বলেও জানা গেছে। তাহলে আপত্তি কোথায়? সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সত্য প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের কথা পুনরুল্লেখ করেছেন। বলেছেন, আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সবার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থাকবে। কেউ অন্যায়ের শিকার হবে না। দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিশেষ করে অধিকার-এর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। সেক্ষেত্রে আলোচ্য প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপারগতা প্রকাশের কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।
No comments