আগামী দিনগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা-চড়া বাজারদর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে
বাজারদর সন্তোষজনক অবস্থায় নেই, থাকতে পারছে না। চড়া হয়ে রয়েছে। এটি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের। বিশেষত, চালের দাম যেভাবে বেড়েছে, তা খানিকটা বিস্ময়করই বটে। এবং যথারীতি দাম বাড়ার যুক্তিসংগত কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আবার শীতকালীন শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে বাজারে আসতে আরম্ভ হওয়ার পরও এসবের দাম সেভাবে কমছে না। পাশাপাশি বেড়েছে আটা, চিনি ও পামতেলের দাম। ফলে সাধারণ মানুষের নিয়মিত খাদ্যগ্রহণের ব্যয় বেড়ে গেছে। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে একই সঙ্গে চড়া দরে চাল কিনতে বাধ্য হওয়ার জন্য ক্রেতাদের হতাশা ও ক্ষোভের কথাও প্রকাশ পেয়েছে। বিষয়টি কিছুটা উদ্বেগজনকও বটে।
বস্তুত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে বিশৃঙ্খলা অনেক পুরোনো সমস্যা। সরকার এই বিশৃঙ্খলা দূর করার ক্ষেত্রে খুব কম সময়ই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এর ফলে সাধারণ মানুষকে বারবার ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সরকার একদিকে কৃষকদের উত্সাহিত করার জন্য ধান-চালের দর কিছুটা উঁচু রাখতে চায়, অন্যদিকে দেশের মানুষকে কমমূল্যে চাল খাওয়াতে চায়। এ দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা যথেষ্ট দুরূহ কাজ। বর্তমান সরকার শুরু থেকেই কৃষি খাতে ভর্তুকি ও সমর্থন বাড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষকেরা কতটা ন্যায্য দাম পেয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর তাই কৃষি নিয়ে সরকারের যাবতীয় প্রয়াসের সুফল জনগণ কতটা ও কত দিন পাবে, তাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সুতরাং, বাজারশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের আরও কাজ যে বাকি আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে। খাদ্যপণ্যে আমরা বহুলাংশে আমদানিনির্ভর হওয়ায় এটি দেশের ভেতরে খাদ্যের দামে প্রভাব ফেলবে। তা ছাড়া ভারতসহ কোনো কোনো দেশ চাল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে আবার প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রবাহসহ বিভিন্ন কারণে মুদ্রাবাজারে অর্থের জোগানও বাড়ছে। এগুলোর সমন্বিত প্রভাবে আগামী দিনগুলোতে দেশের ভেতর মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির হার পৌনে সাত শতাংশে চলে গেছে, যদিও গড় হার পাঁচ শতাংশের সামান্য ওপরে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বাড়িয়ে দিতে পারে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনাকে সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছে। নীতিনির্ধারকেরা পুরো বিষয়টি যত দ্রুত আমলে নেবেন, তত দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ লাঘব করার কাজটি করা সম্ভব হবে।
বস্তুত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে বিশৃঙ্খলা অনেক পুরোনো সমস্যা। সরকার এই বিশৃঙ্খলা দূর করার ক্ষেত্রে খুব কম সময়ই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এর ফলে সাধারণ মানুষকে বারবার ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সরকার একদিকে কৃষকদের উত্সাহিত করার জন্য ধান-চালের দর কিছুটা উঁচু রাখতে চায়, অন্যদিকে দেশের মানুষকে কমমূল্যে চাল খাওয়াতে চায়। এ দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা যথেষ্ট দুরূহ কাজ। বর্তমান সরকার শুরু থেকেই কৃষি খাতে ভর্তুকি ও সমর্থন বাড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষকেরা কতটা ন্যায্য দাম পেয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর তাই কৃষি নিয়ে সরকারের যাবতীয় প্রয়াসের সুফল জনগণ কতটা ও কত দিন পাবে, তাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সুতরাং, বাজারশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের আরও কাজ যে বাকি আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে। খাদ্যপণ্যে আমরা বহুলাংশে আমদানিনির্ভর হওয়ায় এটি দেশের ভেতরে খাদ্যের দামে প্রভাব ফেলবে। তা ছাড়া ভারতসহ কোনো কোনো দেশ চাল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে আবার প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রবাহসহ বিভিন্ন কারণে মুদ্রাবাজারে অর্থের জোগানও বাড়ছে। এগুলোর সমন্বিত প্রভাবে আগামী দিনগুলোতে দেশের ভেতর মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির হার পৌনে সাত শতাংশে চলে গেছে, যদিও গড় হার পাঁচ শতাংশের সামান্য ওপরে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বাড়িয়ে দিতে পারে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনাকে সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছে। নীতিনির্ধারকেরা পুরো বিষয়টি যত দ্রুত আমলে নেবেন, তত দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ লাঘব করার কাজটি করা সম্ভব হবে।
No comments