দস্যুদের পাকড়াও করতে হবে-গাছ উজাড়
গাছ কাটার বিরুদ্ধে আইন করা হবে বলে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণা যে বনদস্যুদের চৈতন্যোদয় ঘটাতে পারেনি, চট্টগ্রামের চকরিয়া ও বগুড়ার ধুনটের ঘটনাই তার প্রমাণ। চকরিয়ার বিভিন্ন সড়কের পাশের গাছ নির্বিচারে কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা।
গত দুই মাসে কয়েক শ গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। আট থেকে দশ বছর আগে বন বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কের দুই পাশে ও বেড়িবাঁধের কয়েক কিলোমিটারে গাছের চারা রোপণ করে। গাছগুলো এখন বেশ বড়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই দুর্বৃত্তরা গাছ কাটার অভিযানে নামে। তাদের সঙ্গে এলাকার জনপ্রতিনিধির ছেলে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। সরকারি জমিতে লাগানো গাছ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। তারা সে দায়িত্ব পালন করলে দুর্বৃত্তরা এভাবে গাছ কাটতে পারত না। কয়েকটি সড়কের পাশের গাছ দুর্বৃত্তরা সাবাড় করে দিলেও মামলা হয়েছে মাত্র একটি সড়কের পাশের গাছ কাটা নিয়ে। সেই মামলার ফলও শূন্য। গাছদস্যুরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তারা আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
অন্যদিকে ধুনটে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নাটাবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষী বটবৃক্ষটি বিক্রি করে দিয়েছেন কমিটির সভাপতি। তাঁর খুঁটির জোর কোথায়? তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপিরও সভাপতি। আর গাছটির ক্রেতা হচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই মেরুতে অবস্থান করলেও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে এক। অন্য কারও কাছে গাছটি বিক্রি করলে বিএনপির নেতা বিরোধিতার মুখোমুখি হতেন। আওয়ামী লীগ নেতার মুখ বন্ধ করে দিলেন তাঁকে সুবিধার বখরা দিয়ে। এ রকম ভাগ-বাটোয়ারার ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে অবৈধ কাজ বৈধ করে নিচ্ছেন। কমিটির সভাপতি হলেই তিনি বিদ্যালয়ের সম্পত্তিকে নিজের ভাবতে পারেন না।
চকরিয়ার গাছদস্যুদের ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা যা বলেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রেপ্তারের চেষ্টা কি অনন্তকাল চলবে? আমরা কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করতে হবে। বন বিভাগকে পাহারা জোরদার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ গাছ চুরি করতে না পারে।
অন্যদিকে ধুনটে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নাটাবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষী বটবৃক্ষটি বিক্রি করে দিয়েছেন কমিটির সভাপতি। তাঁর খুঁটির জোর কোথায়? তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপিরও সভাপতি। আর গাছটির ক্রেতা হচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই মেরুতে অবস্থান করলেও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে এক। অন্য কারও কাছে গাছটি বিক্রি করলে বিএনপির নেতা বিরোধিতার মুখোমুখি হতেন। আওয়ামী লীগ নেতার মুখ বন্ধ করে দিলেন তাঁকে সুবিধার বখরা দিয়ে। এ রকম ভাগ-বাটোয়ারার ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে অবৈধ কাজ বৈধ করে নিচ্ছেন। কমিটির সভাপতি হলেই তিনি বিদ্যালয়ের সম্পত্তিকে নিজের ভাবতে পারেন না।
চকরিয়ার গাছদস্যুদের ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা যা বলেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রেপ্তারের চেষ্টা কি অনন্তকাল চলবে? আমরা কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করতে হবে। বন বিভাগকে পাহারা জোরদার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ গাছ চুরি করতে না পারে।
No comments