শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলাঃ গণতন্ত্রসম্মত নয়
রাজপথ আবারও রক্তে রঞ্জিত হলো। নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনকালে বিরোধীদলের ওপর পরিকল্পিতভাবে পুলিশের উন্মত্ত লাঠিচার্জ ও সংঘর্ষে শুধু রক্তই ঝরেনি, আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করেন এক হতভাগ্য ব্যক্তি।
রাজধানীতে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকালের এমন অঘটন কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সরকার কর্তৃক জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন ও বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদ এবং বিরোধীনেত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির কর্মসূচি ছিল পূর্বঘোষিত। রাজধানীতে মুক্তাঙ্গনের সমাবেশ শেষে প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের বাধা, সংঘর্ষ ও মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হয় ক্ষোভের সঞ্চার ঘটিয়ে। পুলিশের দু’দফা লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ও মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে পুলিশের মারমুখী লাঠিয়ালের ভূমিকা অতীতের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এছাড়া রাজশাহীতে বোমা হামলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সরকার দলীয়দের হামলায় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মহাজোট সরকারের আমলে পুলিশের এমন ভূমিকা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন বা বিচলিত হইনি। বরাবর পুলিশ যা করে থাকে এবারও তাই করেছে। সরকারের অঙ্গসংগঠনের ভূমিকাই পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। তা না হলে রাজপথ কেন রক্তে রঞ্জিত হবে? এর আগ তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বন্দর বিদ্যুত্ রক্ষা জাতীয় কমিটির মিছিলে পুলিশের উন্মত্ত হামলায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদসহ অনেকেই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। পুলিশের এই মারমুখী রূপ দেখে অনেকেই বিব্রতবোধ করেছিলেন। তাদের ধারণা ছিল, অতীতের স্বৈরাচারী ও অসাংবিধানিক সরকারের মতো পুলিশকে লাঠিয়ালের ভূমিকায় নামাবে না দিনবদলের সরকার। নির্বাচনের আগে ও পরে তেমনটাই ঘোষণা ছিল। সুশাসন, আইনের শাসন, গণতন্ত্র চর্চা নিয়ে মানুষ কিছুটা ইতিবাচকই হয়ে উঠেছিল। সরকার ও রাজনীতিকদের কাছ থেকেও সবাই তেমন আচরণই আশা করেছিল। সংশয় সত্ত্বেও বিরোধী দলের সংসদ অধিবেশনে ফিরে যাওয়া যতটা আশান্বিত করেছিল সংসদের ভেতরে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা ও কটূক্তি এবং সরকারের বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত মানুষকে ততটাই হতাশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা সরকারকে চাপের মুখে ফেললেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু পরিস্থিতি যেন পাল্টে দেয়। দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান এবং ৭ দিনের গণগ্রেফতারে ১৭ হাজার ছাত্র ও বিরোধী নেতাকর্মীকে আটক করা সত্যি অকল্পনীয়। সব কিছুই পরিচালিত হয়েছে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। ফলে সরকারের গণতান্ত্রিক মুখোশের পেছনের ভিন্ন চেহারাটাই প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
রাজধানীতে বিএনপির প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের হামলা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনা যদি উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের অংশ হয়ে থাকে তবে শঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। অতীতেও এমন হয়েছিল বলে তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে না। এমনিতেই দেশের অর্থনীতির খবর ভালো না। জ্বালানি সঙ্কট, বিনিয়োগ বন্ধাত্ব, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, চালসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিপদ কাটিয়ে উঠতে হলে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ অপরিহার্য। এর দায়িত্ব প্রধানত সরকারের। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অতীতে কী ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছিল, সে স্মৃতি মানুষের মন থেকে একেবারে মুছে যায়নি। তাই সেই অবস্থায় কেউ আর ফিরে যেতে চায় না। তবে এটাও মানতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়া কোনোভাবেই গণতন্ত্রসম্মত নয়। মানুষ সরকারের কাছে অগণতান্ত্রিক আচরণ আশা করে না। রাজপথে পুলিশের বাড়াবাড়ির তদন্ত এবং বিচারের দাবি খুবই সঙ্গত। বিরোধী দলের মাসব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচি পালনে যাতে এমন ন্যক্কারজনক অঘটনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার নিশ্চয়তা বিধানই হবে সরকারের দায়িত্ব এবং এটা গণতন্ত্রসম্মতও বটে।
মহাজোট সরকারের আমলে পুলিশের এমন ভূমিকা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন বা বিচলিত হইনি। বরাবর পুলিশ যা করে থাকে এবারও তাই করেছে। সরকারের অঙ্গসংগঠনের ভূমিকাই পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। তা না হলে রাজপথ কেন রক্তে রঞ্জিত হবে? এর আগ তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বন্দর বিদ্যুত্ রক্ষা জাতীয় কমিটির মিছিলে পুলিশের উন্মত্ত হামলায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদসহ অনেকেই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। পুলিশের এই মারমুখী রূপ দেখে অনেকেই বিব্রতবোধ করেছিলেন। তাদের ধারণা ছিল, অতীতের স্বৈরাচারী ও অসাংবিধানিক সরকারের মতো পুলিশকে লাঠিয়ালের ভূমিকায় নামাবে না দিনবদলের সরকার। নির্বাচনের আগে ও পরে তেমনটাই ঘোষণা ছিল। সুশাসন, আইনের শাসন, গণতন্ত্র চর্চা নিয়ে মানুষ কিছুটা ইতিবাচকই হয়ে উঠেছিল। সরকার ও রাজনীতিকদের কাছ থেকেও সবাই তেমন আচরণই আশা করেছিল। সংশয় সত্ত্বেও বিরোধী দলের সংসদ অধিবেশনে ফিরে যাওয়া যতটা আশান্বিত করেছিল সংসদের ভেতরে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা ও কটূক্তি এবং সরকারের বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত মানুষকে ততটাই হতাশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা সরকারকে চাপের মুখে ফেললেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু পরিস্থিতি যেন পাল্টে দেয়। দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান এবং ৭ দিনের গণগ্রেফতারে ১৭ হাজার ছাত্র ও বিরোধী নেতাকর্মীকে আটক করা সত্যি অকল্পনীয়। সব কিছুই পরিচালিত হয়েছে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। ফলে সরকারের গণতান্ত্রিক মুখোশের পেছনের ভিন্ন চেহারাটাই প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
রাজধানীতে বিএনপির প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের হামলা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনা যদি উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের অংশ হয়ে থাকে তবে শঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। অতীতেও এমন হয়েছিল বলে তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে না। এমনিতেই দেশের অর্থনীতির খবর ভালো না। জ্বালানি সঙ্কট, বিনিয়োগ বন্ধাত্ব, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, চালসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিপদ কাটিয়ে উঠতে হলে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ অপরিহার্য। এর দায়িত্ব প্রধানত সরকারের। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অতীতে কী ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছিল, সে স্মৃতি মানুষের মন থেকে একেবারে মুছে যায়নি। তাই সেই অবস্থায় কেউ আর ফিরে যেতে চায় না। তবে এটাও মানতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়া কোনোভাবেই গণতন্ত্রসম্মত নয়। মানুষ সরকারের কাছে অগণতান্ত্রিক আচরণ আশা করে না। রাজপথে পুলিশের বাড়াবাড়ির তদন্ত এবং বিচারের দাবি খুবই সঙ্গত। বিরোধী দলের মাসব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচি পালনে যাতে এমন ন্যক্কারজনক অঘটনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার নিশ্চয়তা বিধানই হবে সরকারের দায়িত্ব এবং এটা গণতন্ত্রসম্মতও বটে।
No comments