মৌলভীবাজারে ১০ ঝটিকা অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে: নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ১২শ’ অভিযানের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা অন্যতম স্পট হিসেবে গণ্য হলেও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ ব্যাপারে অবহিত নন। মৌলভীবাজারের র্যাব কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা এ নিয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে ইলিয়াস আলী উদ্ধারের ব্যাপারে জেলার বিভিন্ন স্থানে দশটিরও অধিক ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করছে। সূত্র মতে, র্যাবেরই একটি স্পেশাল টিম নিজেদের গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অপারেশনের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যেতে পারে এ আশঙ্কায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইলিয়াস আলী অপহৃত হয়েছেন কিংবা আত্মগোপনে রয়েছেন এ দু’টি ধারণাকে সামনে রেখেই তল্লাশি অভিযান চলছে। লোকালয়ের পরিবর্তে পাহাড়ি এলাকাতে এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বেশি। সূত্রমতে, ইতিমধ্যে কুলাউড়া উপজেলার লোহাইউনী, গাজীপুর এবং কাড়েরগজ, কমলগঞ্জের পাত্রখলা, আদমপুর, আলীনগর এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুবাড়ী, নূরজাহান ও রাজঘাট চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় স্পেশাল টিমের ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়েছে গভীর রাতে। অভিযান স্থলগুলোর মধ্যে রয়েছে চা বাগানের বাংলো, আনারস ও লেবু বাগানের স্থাপনা, পানপুঞ্জি ও বাগান সংলগ্ন বসতি। গত সংসদ নির্বাচনে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাজী মুজিবের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর সুসম্পর্ক থাকায় হাজী মুজিব সমর্থক একটি পানপুঞ্জিতেও তল্লাশি চলেছে। একইভাবে শ্রীমঙ্গলের একাধিক বিএনপি নেতার আনারস ও লেবু বাগানেও অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়ায় অবস্থিত বিএনপি নেতাদের মালিকানাধীন ৪টি বাগান বাংলোতেও তল্লাশি অভিযান সম্পন্ন হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করছে। এদিকে মৌলভীবাজার সদরে সাইফুর রহমানের মালিকানাধীন বাগানবাড়ী ও মৎস্য খামারে এখন পর্যন্ত কোন তল্লাশি অভিযান পরিচালিত না হলেও এগুলোতে নজরদারি চলছে। এখানে খালেদা রব্বানী সমর্থিত বিএনপির একাধিক নেতার বাড়ি ও বাসার প্রতি নজরদারি রয়েছে বলেও গুঞ্জন আছে। কমলগঞ্জের বনানীঘেরা ক্যামেলিয়া হাসপাতালে ইলিয়াস আলী অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন এমন গুজবে সেখানেও তল্লাশি হয়েছে।
No comments