বিলাসবহুল গাড়িতে সিএনজি নিষিদ্ধ করার সুপারিশ
গণপরিবহন ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে বিলাসবহুল গাড়িতে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুটি (ধনী ও গরিবের জন্য) আলাদা দর নির্ধারণেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাজেট সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সিপিডির ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী। এ ছাড়া কমিটির সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, মো. তাজুল ইসলাম, এম এ মান্নান ও বেগম ফরিদা রহমান বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে লোটাস কামাল সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা নিশান পেট্রল, পাজেরোর মতো বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন তাঁদের গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সবার গাড়ি সিএনজি করার কোনো মানে হয় না। এ ধারণা একদমই ভুল। তাই শুধু গণপরিবহনের (বাস, অটোরিকশা ইত্যাদি) ক্ষেত্রে সিএনজি ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও শ্রেণীবিভাগ করতে হবে। ধনী ও গরিবের জন্য আলাদা দর নির্ধারণ করতে হবে। আর প্রান্তিক ও ধনী কৃষকদের বিদ্যুতের দরও আলাদা করতে হবে। এতে ভর্তুকি কমে আসবে এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি দাবি করেন।
চলমান বিদ্যুৎ সংকটের কথা স্বীকার করে কমিটির সভাপতি বলেন, 'আমরা সঠিক চাহিদা জানি না। যারা (পিডিবি) এটা করে, তারা সত্যিকার অর্থে কত চাহিদা তা নিরূপণ করতে পারেনি। তারা একেক সময় একেকটা বলে। আগে বলত, সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট, এখন জানিয়েছে আট হাজার মেগাওয়াট। এটার সঠিক তথ্য জানা দরকার।' কুইক রেন্টাল পদ্ধতি গ্রহণ ইতিবাচক ছিল দাবি করে তিনি বলেন, 'এ সময়ে চাহিদা যে হারে বেড়েছে তাতে কুইক রেন্টাল না থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতো। এটা না থাকলে আমরা চলমান বিদ্যুৎটুকুও পেতাম না।'
এক প্রশ্নের জবাবে লোটাস কামাল আমলাতান্ত্রিক সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরে বলেন, রাজনীতিবিদদের যেমন জবাবদিহিতা রয়েছে, তেমনি আমলাদেরও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনে বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশে পাঠানো, প্রশিক্ষণসহ বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় তিনি ফ্রান্স ও ব্রিটেনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, 'এসব দেশে আমলাদের জবাবদিহিতা রাখায় একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমাদেরও সেই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।' তিনি এডিপি বাস্তাবয়নে শ্লথগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির সদস্যরা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির মূল গতিধারাগুলোর বর্তমান হালচাল : এই নিরিখে বাজেটের জন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। আর দেশের শিল্প বিকাশে ক্যাপিটাল মেশিনারি ট্যাঙ্ ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার, শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার এবং বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তব প্রেক্ষিত বিবেচনা করে বাজেট প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার, পলিসি মাথায় রেখে ফলোআপ কার্যক্রম বাড়ানোর এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে আঞ্চলিক বৈষম্য ও আয় বৈষম্য কমিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কর না দেওয়ার প্রবণতারোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ কর প্রশাসনে দৃঢ়তা এনে জনগণের হয়রানিরোধসহ প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও বলা হয়।
বাজেট সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সিপিডির ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী। এ ছাড়া কমিটির সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, মো. তাজুল ইসলাম, এম এ মান্নান ও বেগম ফরিদা রহমান বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে লোটাস কামাল সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা নিশান পেট্রল, পাজেরোর মতো বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন তাঁদের গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সবার গাড়ি সিএনজি করার কোনো মানে হয় না। এ ধারণা একদমই ভুল। তাই শুধু গণপরিবহনের (বাস, অটোরিকশা ইত্যাদি) ক্ষেত্রে সিএনজি ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও শ্রেণীবিভাগ করতে হবে। ধনী ও গরিবের জন্য আলাদা দর নির্ধারণ করতে হবে। আর প্রান্তিক ও ধনী কৃষকদের বিদ্যুতের দরও আলাদা করতে হবে। এতে ভর্তুকি কমে আসবে এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি দাবি করেন।
চলমান বিদ্যুৎ সংকটের কথা স্বীকার করে কমিটির সভাপতি বলেন, 'আমরা সঠিক চাহিদা জানি না। যারা (পিডিবি) এটা করে, তারা সত্যিকার অর্থে কত চাহিদা তা নিরূপণ করতে পারেনি। তারা একেক সময় একেকটা বলে। আগে বলত, সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট, এখন জানিয়েছে আট হাজার মেগাওয়াট। এটার সঠিক তথ্য জানা দরকার।' কুইক রেন্টাল পদ্ধতি গ্রহণ ইতিবাচক ছিল দাবি করে তিনি বলেন, 'এ সময়ে চাহিদা যে হারে বেড়েছে তাতে কুইক রেন্টাল না থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতো। এটা না থাকলে আমরা চলমান বিদ্যুৎটুকুও পেতাম না।'
এক প্রশ্নের জবাবে লোটাস কামাল আমলাতান্ত্রিক সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরে বলেন, রাজনীতিবিদদের যেমন জবাবদিহিতা রয়েছে, তেমনি আমলাদেরও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনে বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশে পাঠানো, প্রশিক্ষণসহ বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় তিনি ফ্রান্স ও ব্রিটেনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, 'এসব দেশে আমলাদের জবাবদিহিতা রাখায় একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমাদেরও সেই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।' তিনি এডিপি বাস্তাবয়নে শ্লথগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির সদস্যরা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির মূল গতিধারাগুলোর বর্তমান হালচাল : এই নিরিখে বাজেটের জন্য প্রবৃদ্ধি অর্জন, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। আর দেশের শিল্প বিকাশে ক্যাপিটাল মেশিনারি ট্যাঙ্ ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার, শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার এবং বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তব প্রেক্ষিত বিবেচনা করে বাজেট প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার, পলিসি মাথায় রেখে ফলোআপ কার্যক্রম বাড়ানোর এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে আঞ্চলিক বৈষম্য ও আয় বৈষম্য কমিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কর না দেওয়ার প্রবণতারোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ কর প্রশাসনে দৃঢ়তা এনে জনগণের হয়রানিরোধসহ প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও বলা হয়।
No comments