সাক্ষাতের পর জানালেন তাহসিনা রুশদীর-ইলিয়াসকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও সন্তানদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইলিয়াসের স্বজনদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইলিয়াসকে খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ইলিয়াসের স্ত্রী ও সন্তানরা এসব কথা জানিয়েছেন।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সাংবাদিকদের বলেন, 'ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন।'
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইলিয়াসের স্বজনদের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী ছিলেন না। ছিলেন না আওয়ামী লীগের কোনো নেতাও। একান্ত সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াসের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
সাক্ষাৎ শেষে তাহসিনা রুশদীর লুনা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শুধু একটি দলেরই প্রধান নন, তিনি সরকারেরও প্রধান। এ ছাড়া স্বজন হারানোর ব্যথা যে কতটা কষ্টদায়ক, তা তিনি জানেন। রাজনীতি আর দলের উর্ধ্বে থেকেই আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছি আমার স্বামীকে খুঁজে বের করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আমার কথা শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে তাঁর প্রচেষ্টা আছে এবং থাকবে।'
লুনা আরো বলেন, নানাজন নানা কথা বলছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর স্বামীর অবস্থান নিয়ে কেউই তাঁকে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। এই কদিনে তাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্যই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।
তাহসিনা রুশদীর লুনার সঙ্গে তাঁর বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস অর্ণব (১৭), ছোট ছেলে লাবিব ইলিয়াস শারার (১৫), একমাত্র মেয়ে সাইয়ারা নাওয়াল (৬) ছিল। তাদের সঙ্গে গণভবনে যান ইলিয়াস আলীর ছোট ভাই আশকীর আলী ও তাহসিনা রুশদীর লুনার বোন দিনারা শারমিন। সাক্ষাৎকালে এর বাইরে কেউই ছিলেন না বলে জানান ইলিয়াসের স্বজনরা।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৩৫ মিনিটের একান্ত সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াসের স্ত্রীকে বলেন, রাজনীতির চেয়ে মানবতা অনেক ঊর্ধ্বে, এই মানবতাকে প্রাধান্য দিয়েই সরকারের দায়িত্ব কোনো নাগরিক নিখোঁজ হলে তাঁকে খুঁজে বের করা। শাকিল বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের।
ইলিয়াসের ছেলে লাবিব ইলিয়াস শারার কালের কণ্ঠকে জানায়, গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তারা গণভবনে যায়। সেখানে তাদের বসতে দেওয়া হয়। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন প্রায় আধাঘণ্টা। প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াসের স্ত্রী ও সন্তানদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। আন্তরিকভাবে সবার সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেন যেকোনো উপায়ে তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করে দেন। এ ছাড়া তাঁদের আর কোনো চাওয়া নেই। ওই সময় অশ্রুসিক্ত লুনাকে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান ইলিয়াসের স্বজনরা।
গত সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন।
খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ : এদিকে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। গত রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইলিয়াসের স্বজনদের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী ছিলেন না। ছিলেন না আওয়ামী লীগের কোনো নেতাও। একান্ত সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াসের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
সাক্ষাৎ শেষে তাহসিনা রুশদীর লুনা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শুধু একটি দলেরই প্রধান নন, তিনি সরকারেরও প্রধান। এ ছাড়া স্বজন হারানোর ব্যথা যে কতটা কষ্টদায়ক, তা তিনি জানেন। রাজনীতি আর দলের উর্ধ্বে থেকেই আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছি আমার স্বামীকে খুঁজে বের করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আমার কথা শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে তাঁর প্রচেষ্টা আছে এবং থাকবে।'
লুনা আরো বলেন, নানাজন নানা কথা বলছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর স্বামীর অবস্থান নিয়ে কেউই তাঁকে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। এই কদিনে তাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্যই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।
তাহসিনা রুশদীর লুনার সঙ্গে তাঁর বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস অর্ণব (১৭), ছোট ছেলে লাবিব ইলিয়াস শারার (১৫), একমাত্র মেয়ে সাইয়ারা নাওয়াল (৬) ছিল। তাদের সঙ্গে গণভবনে যান ইলিয়াস আলীর ছোট ভাই আশকীর আলী ও তাহসিনা রুশদীর লুনার বোন দিনারা শারমিন। সাক্ষাৎকালে এর বাইরে কেউই ছিলেন না বলে জানান ইলিয়াসের স্বজনরা।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৩৫ মিনিটের একান্ত সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াসের স্ত্রীকে বলেন, রাজনীতির চেয়ে মানবতা অনেক ঊর্ধ্বে, এই মানবতাকে প্রাধান্য দিয়েই সরকারের দায়িত্ব কোনো নাগরিক নিখোঁজ হলে তাঁকে খুঁজে বের করা। শাকিল বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের।
ইলিয়াসের ছেলে লাবিব ইলিয়াস শারার কালের কণ্ঠকে জানায়, গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তারা গণভবনে যায়। সেখানে তাদের বসতে দেওয়া হয়। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন প্রায় আধাঘণ্টা। প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াসের স্ত্রী ও সন্তানদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। আন্তরিকভাবে সবার সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেন যেকোনো উপায়ে তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করে দেন। এ ছাড়া তাঁদের আর কোনো চাওয়া নেই। ওই সময় অশ্রুসিক্ত লুনাকে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান ইলিয়াসের স্বজনরা।
গত সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন।
খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ : এদিকে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। গত রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।
No comments