প্রণবের সফরে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তিস্তার পানি by আশরাফুল হক রাজীব
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফরে তিস্তা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হবে। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইবে বাংলাদেশ। অভিন্ন এ নদীর পানিবণ্টন চুক্তির ওপর নির্ভর করছে দুই দেশের অনেক অমীমাংসিত ইস্যু মীমাংসার সম্ভাবনা।
পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সফরে তিস্তা নিয়ে কথা হবে_এটাই স্বাভাবিক। এই ইস্যুর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িয়ে আছে।' আগামী ৫ মে শনিবার রাতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৬ মে রবিবার তিনি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন। ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠেয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ শেষে তিনি বাংলাদেশে আসবেন। ম্যানিলায় অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও অংশ নেবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের অর্থমন্ত্রী একসঙ্গে বাংলাদেশে রওনা হবেন।
এদিকে গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি প্রতিনিধিদল তিস্তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফরের আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মনোভাব জানার জন্যই প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। কারণ এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। মনমোহন সিং গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের সব আয়োজন করা হলেও মমতার বাধায় তা হয়নি। প্রাথমিক আলোচনায় দুই দেশ পানিবণ্টনের হারের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাধা দেন মমতা। তাঁরও ওই সফরে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। তিনি না আসায় মনমোহন একাই বাংলাদেশে আসেন এবং চুক্তি করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কারণে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ায় ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে বাংলাদেশ। মনমোহনের সফরেই ট্রানজিট চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে নদীপথ, রেলপথ ও সড়কপথে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট চাইছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ওই অঞ্চলে পণ্য পরিবহন করতে চায়। ট্রানজিট বাস্তবায়নের অগ্রগতি না থাকলেও গত সপ্তাহে ভারত ট্রানজিট বাস্তবায়নের জন্য আট সদস্যের আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশও চলতি সপ্তাহে এ ধরনের কমিটি গঠন করবে। ভারত ট্রানজিট না পেলেও ১৯৭২ সাল থেকেই নৌ ট্রানজিটের সুবিধা ভোগ করছে।
মনমোহনের সফরের আট মাস পেরিয়ে গেলেও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিতে অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দেশের অনেক অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান হচ্ছে না। দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পরও কর্মকর্তা পর্যায়ে অনেক বৈঠক হয়েছে; কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকও নিয়মমাফিক হয়নি। প্রতিবছরই কমিশনের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বারবার তাগিদ দিয়েও ভারতের সাড়া মেলেনি। তিস্তাসহ ভারত-বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি নদীর (পদ্মা) চুক্তি রয়েছে। যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে আরো ৯টি নদী নিয়ে আলোচনা করার কথা। কিন্তু বৈঠক না হওয়ার কারণে এসব নদী নিয়েও কোনো অগ্রগতি নেই। বাংলাদেশ সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের জন্য ভারতকে তাগিদ দেয়। ওই তাগিদেরও কোনো জবাব মেলেনি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন সফরে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের জন্যও তাগিদ দেবে বাংলাদেশ।
ভারতের সিকিম রাজ্যের কংস হিমবাহে উৎপত্তি হয়ে তিনটি নদীর স্রোত মিশে তৈরি হয়েছে ত্রিস্রোত বা তিস্তা। এই স্রোতপ্রবাহ বাংলাদেশের রংপুরে এসে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিশেছে। বাংলাদেশ-ভারত মিলে তিস্তার দৈর্ঘ্য ৩৬৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ভারতে প্রবাহিত হয়েছে ২৪৯ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে ১১৭ কিলোমিটার।
এদিকে গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি প্রতিনিধিদল তিস্তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফরের আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মনোভাব জানার জন্যই প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। কারণ এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। মনমোহন সিং গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের সব আয়োজন করা হলেও মমতার বাধায় তা হয়নি। প্রাথমিক আলোচনায় দুই দেশ পানিবণ্টনের হারের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাধা দেন মমতা। তাঁরও ওই সফরে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। তিনি না আসায় মনমোহন একাই বাংলাদেশে আসেন এবং চুক্তি করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কারণে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ায় ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে বাংলাদেশ। মনমোহনের সফরেই ট্রানজিট চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে নদীপথ, রেলপথ ও সড়কপথে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট চাইছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ওই অঞ্চলে পণ্য পরিবহন করতে চায়। ট্রানজিট বাস্তবায়নের অগ্রগতি না থাকলেও গত সপ্তাহে ভারত ট্রানজিট বাস্তবায়নের জন্য আট সদস্যের আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশও চলতি সপ্তাহে এ ধরনের কমিটি গঠন করবে। ভারত ট্রানজিট না পেলেও ১৯৭২ সাল থেকেই নৌ ট্রানজিটের সুবিধা ভোগ করছে।
মনমোহনের সফরের আট মাস পেরিয়ে গেলেও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিতে অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দেশের অনেক অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান হচ্ছে না। দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের পরও কর্মকর্তা পর্যায়ে অনেক বৈঠক হয়েছে; কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকও নিয়মমাফিক হয়নি। প্রতিবছরই কমিশনের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বারবার তাগিদ দিয়েও ভারতের সাড়া মেলেনি। তিস্তাসহ ভারত-বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি নদীর (পদ্মা) চুক্তি রয়েছে। যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে আরো ৯টি নদী নিয়ে আলোচনা করার কথা। কিন্তু বৈঠক না হওয়ার কারণে এসব নদী নিয়েও কোনো অগ্রগতি নেই। বাংলাদেশ সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের জন্য ভারতকে তাগিদ দেয়। ওই তাগিদেরও কোনো জবাব মেলেনি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন সফরে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের জন্যও তাগিদ দেবে বাংলাদেশ।
ভারতের সিকিম রাজ্যের কংস হিমবাহে উৎপত্তি হয়ে তিনটি নদীর স্রোত মিশে তৈরি হয়েছে ত্রিস্রোত বা তিস্তা। এই স্রোতপ্রবাহ বাংলাদেশের রংপুরে এসে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিশেছে। বাংলাদেশ-ভারত মিলে তিস্তার দৈর্ঘ্য ৩৬৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ভারতে প্রবাহিত হয়েছে ২৪৯ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে ১১৭ কিলোমিটার।
No comments