চারদিক-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখবেন তো? by নাঈমুল ইসলাম
সূর্যগ্রহণ যেকোনো মানুষের কাছেই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার মতো একটি বিস্ময়কর গুরুত্বপূর্ণ নৈসর্গিক ঘটনা। ১৫ জানুয়ারি ২০১০ বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে একটি বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ২০৬৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে দেখা যাবে না।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে হলে আমাদের চাঁদের ছায়ার মধ্যে পুরোপুরি থাকতে হয় অর্থাত্ চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলে। কিন্তু বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলতে পারে না। ফলে চাঁদের চারদিকে সূর্যালোকের একটি সরু বলয়ের বা রিংয়ের মতো দেখায়। দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেছে এ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের মূল মধ্যরেখা। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ সীমানায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সর্বশেষ দক্ষিণ প্রান্ত থেকে দেখা যাবে এ বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায়। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বলয়গ্রাস দেখা যাবে। তা ছাড়া দেশের সব স্থান থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিত্সু চক্র তৈরি করেছে ২৭ হাজার সোলার ফিল্টার বা সৌরচশমা; যেন সাধারণ মানুষ অনায়াসে ও নিরাপদে এ সূর্যগ্রহণ দেখতে পারে। তৈরি করা হয়েছে ৫০টি প্রজেকশন টেলিস্কোপও। এবার দেশের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প
অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। ক্যাম্পে থাকবে কনরাডো সোলার টেলিস্কোপ, ৮ ইঞ্চি মিড ক্রাসিগ্রেইন, দেশের সর্ববৃহত্ ৮ ইঞ্চি প্রতিসরণ টেলিস্কোপ, ৫০টি প্রজেকশন টেলিস্কোপ এবং দেশে তৈরি ২৮ হাজার সোলার ফিল্টার। তা ছাড়া এলসিডি প্রজেকশনের মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সর্বসাধারণের পর্যবেক্ষণের জন্য সব ব্যবস্থা অনুসন্ধিত্সু চক্র করেছে।
বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ স্থান: দেশের সর্বদক্ষিণের ভূখণ্ড ছেড়াদ্বীপের (সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অংশ)। শুধু বিজ্ঞানীরা এ স্থান থেকে সূর্যগ্রহণ-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করবেন।
গ্রহণ শুরু: দুপুর ১২টা বেজে ৪৪ মিনিটে। বলয় গ্রহণের স্থায়িত্ব আট মিনিট ১০ সেকেন্ড প্রায়।
গ্রহণ শেষ: বিকেল চারটা।
ঢাকায় মূল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার প্রাঙ্গণে। যাঁরা সোলার ফিল্টার সংগ্রহ করতে চান, তাঁদের ক্যাম্পগুলোতে সকাল ১০টার মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
চোখ সাবধান: সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো মারাত্মক ক্ষতিকর। সূর্য থেকে আলো ও তাপ ছাড়াও আলফা, বিটা, গামা, অতিবেগুনি রশ্মি ইত্যাদি নির্গত হয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুব অল্প সময়েই চোখের রেটিনার আলোকসংবেদী রড ও ‘কোণ কোষের’ মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। চোখের এ মারাত্মক ক্ষতি সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে তা চোখকে আক্রান্ত করে। তাই কখনোই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো যাবে না।
যেগুলো ফিল্টার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না: সব ধরনের মেডিকেল এক্সপোজড এক্স-রে ফিল্ম, কম্পিউটারের ফ্লপি ডিস্কের ফিল্ম, সিডি, রঙিন বা সাদাকালো ফিল্মের নেগেটিভ, অডিও-ভিডিও ক্যাসেটের ফিতা, যেকোনো ধরনের ঘোলা কাচ, কালো সানগ্লাস প্রভৃতি।
সূর্যগ্রহণ দেখার কয়েকটি সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি
একটা বাক্সের এক দিকে ফুটো করে অন্য পাশে একটি সাদা কাগজ দিয়ে সূর্যালোকের প্রতিফলন ঘটিয়ে পিন হলো বাক্সের মধ্যে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ছোট দুরবিনে আইপিসের সামনে একটি সাদা কাগজ রেখে সূর্যালোকের প্রতিফলন করে নিরাপদে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
১৪ নম্বর ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়ে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যায়। তবে ১৪ নম্বর পাওয়া না গেলে ১১ নম্বর ওয়েল্ডিং গ্লাস ডাবল করে নিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
পানিতে প্রতিফলন করে অর্থাত্ বড় গামলা বা পাত্রে পানি নিয়ে তাতে একটু হলুদ দিয়ে ঘোলা করে খোলা আকাশের নিচে সূর্যের ছায়ার প্রতিফলন করে সহজেই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
বলয় সূর্যগ্রহণ ক্যাম্পে যোগদান ও সোলার ফিল্টার সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন: মহাকাশ বিভাগ, অনুসন্ধিত্সু চক্র, ১ সিদ্ধেশ্বরী লেন (নিচতলা), শান্তিনগর, ঢাকা। ফোন: ০২- ৭২৭৫৮৮৫, ০১৯২৭৬৪০০৯২। ই-মেইল: achokro@gmail.com, www.achokro.org।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিত্সু চক্র তৈরি করেছে ২৭ হাজার সোলার ফিল্টার বা সৌরচশমা; যেন সাধারণ মানুষ অনায়াসে ও নিরাপদে এ সূর্যগ্রহণ দেখতে পারে। তৈরি করা হয়েছে ৫০টি প্রজেকশন টেলিস্কোপও। এবার দেশের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প
অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। ক্যাম্পে থাকবে কনরাডো সোলার টেলিস্কোপ, ৮ ইঞ্চি মিড ক্রাসিগ্রেইন, দেশের সর্ববৃহত্ ৮ ইঞ্চি প্রতিসরণ টেলিস্কোপ, ৫০টি প্রজেকশন টেলিস্কোপ এবং দেশে তৈরি ২৮ হাজার সোলার ফিল্টার। তা ছাড়া এলসিডি প্রজেকশনের মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সর্বসাধারণের পর্যবেক্ষণের জন্য সব ব্যবস্থা অনুসন্ধিত্সু চক্র করেছে।
বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ স্থান: দেশের সর্বদক্ষিণের ভূখণ্ড ছেড়াদ্বীপের (সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অংশ)। শুধু বিজ্ঞানীরা এ স্থান থেকে সূর্যগ্রহণ-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করবেন।
গ্রহণ শুরু: দুপুর ১২টা বেজে ৪৪ মিনিটে। বলয় গ্রহণের স্থায়িত্ব আট মিনিট ১০ সেকেন্ড প্রায়।
গ্রহণ শেষ: বিকেল চারটা।
ঢাকায় মূল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার প্রাঙ্গণে। যাঁরা সোলার ফিল্টার সংগ্রহ করতে চান, তাঁদের ক্যাম্পগুলোতে সকাল ১০টার মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
চোখ সাবধান: সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো মারাত্মক ক্ষতিকর। সূর্য থেকে আলো ও তাপ ছাড়াও আলফা, বিটা, গামা, অতিবেগুনি রশ্মি ইত্যাদি নির্গত হয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুব অল্প সময়েই চোখের রেটিনার আলোকসংবেদী রড ও ‘কোণ কোষের’ মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। চোখের এ মারাত্মক ক্ষতি সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে তা চোখকে আক্রান্ত করে। তাই কখনোই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো যাবে না।
যেগুলো ফিল্টার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না: সব ধরনের মেডিকেল এক্সপোজড এক্স-রে ফিল্ম, কম্পিউটারের ফ্লপি ডিস্কের ফিল্ম, সিডি, রঙিন বা সাদাকালো ফিল্মের নেগেটিভ, অডিও-ভিডিও ক্যাসেটের ফিতা, যেকোনো ধরনের ঘোলা কাচ, কালো সানগ্লাস প্রভৃতি।
সূর্যগ্রহণ দেখার কয়েকটি সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি
একটা বাক্সের এক দিকে ফুটো করে অন্য পাশে একটি সাদা কাগজ দিয়ে সূর্যালোকের প্রতিফলন ঘটিয়ে পিন হলো বাক্সের মধ্যে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ছোট দুরবিনে আইপিসের সামনে একটি সাদা কাগজ রেখে সূর্যালোকের প্রতিফলন করে নিরাপদে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
১৪ নম্বর ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়ে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যায়। তবে ১৪ নম্বর পাওয়া না গেলে ১১ নম্বর ওয়েল্ডিং গ্লাস ডাবল করে নিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
পানিতে প্রতিফলন করে অর্থাত্ বড় গামলা বা পাত্রে পানি নিয়ে তাতে একটু হলুদ দিয়ে ঘোলা করে খোলা আকাশের নিচে সূর্যের ছায়ার প্রতিফলন করে সহজেই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
বলয় সূর্যগ্রহণ ক্যাম্পে যোগদান ও সোলার ফিল্টার সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন: মহাকাশ বিভাগ, অনুসন্ধিত্সু চক্র, ১ সিদ্ধেশ্বরী লেন (নিচতলা), শান্তিনগর, ঢাকা। ফোন: ০২- ৭২৭৫৮৮৫, ০১৯২৭৬৪০০৯২। ই-মেইল: achokro@gmail.com, www.achokro.org।
No comments