বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট বিব্রত-খোকনকে নিয়ে বিভক্ত আদেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের আগাম জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। একই সঙ্গে অন্য একটি বেঞ্চও 'এখতিয়ার নেই' বলে জামিন আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও দুপুরের পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপির জামিন আবেদনে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিঞা ও বিচাপরতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণে বিব্রতবোধ করেন। এ ছাড়া বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের বেঞ্চ 'এখতিয়ার নেই' বলে বিএনপির নেতাদের পক্ষের আইনজীবীদের ফিরিয়ে দেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার বেঞ্চে গতকাল বিকেলে ব্যারিস্টার খোকনের জামিনের আবেদনে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি ব্যারিস্টার খোকনকে ৯ মে পর্যন্ত জামিন দিয়ে এ সময়ের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। তবে কনিষ্ঠ বিচারপতি জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেন। এ আদেশের ফলে ব্যারিস্টার খোকনের জামিন আবেদনের বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অপর কোনো বেঞ্চে পাঠাবেন।
গত ৩০ এপ্রিল বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ছুটির দিনে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার আবেদনে রাজি হননি প্রধান বিচারপতি। তিনি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির পরামর্শ দেন। এ কারণে গতকাল তাঁরা নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির আবেদন করেন।
বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন নিয়ে গতকাল সকালে টি এইচ খান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত হন বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিঞার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণের আবেদন করেন। এ সময় সিনিয়র বিচারপতি বলেন, 'আমরা তালিকাভুক্ত জামিন আবেদন শুনছি। আপনাদেরটি তালিকায় নেই। এ কারণে আগামী রবিবার আসুন।' এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, 'এটা জরুরি বিষয়। পুলিশ ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশি করছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্যই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।' এরই মধ্যে বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি বলেন, 'এ আবেদনের ওপর শুনানি করতে বিব্রতবোধ করছি।'
এরপর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে যান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আগের আদালতের পরিস্থিতি উল্লেখ করে এই আদালতে বলেন, 'এ কারণে আপনার আদালতে এসেছি।' জবাবে আদালত বলেন, 'আমাদের জামিন শুনানির এখতিয়ার নেই।' এরপর মওদুদ আহমদ বলেন, 'আমরা শুনেছি, আপনাদেরকে সেই এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।' জবাবে আদালত বলেন, ''এ বিষয়ে আমরা 'অফিশিয়ালি' কিছু জানি না।'
এরপর হতাশ হয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে যান। সেখানে তাঁরা বৈঠক করেন। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ আহমদ বলেন, 'আইনের শাসন অনুযায়ী একজন নাগরিকের আদালতে এসে জামিন চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।' তিনি বলেন, 'হাইকোর্টের সামনে পাহারা বসানো হয়েছে। কোর্টগুলোর সামনেও সাদা পোশাকধারীদের দিয়ে ভরে দেওয়া হয়েছে। জামিনের জন্য বিএনপি নেতারা আদালতে আসতে পারছেন না।' তিনি আরো বলেন, 'পরিস্থিতি এমন যে আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি।' সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ।
এরপর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ সিনিয়র আইনজীবীরা আদালত এলাকা ছেড়ে গুলশানে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে। সেখান থেকে ফিরে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিনের আবেদনের শুনানি করা হয়।
বিভক্ত আদেশ : ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিন আবেদনে হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেওয়ার ফলে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। গতকাল আদালতে খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক এবং সরকার পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, 'আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি সংসদ সদস্যও বটে।'
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে এম কে রহমান বলেন, 'এটা দ্রুত বিচার আইনে করা মামলা। এই মামলায় সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বা অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়। এরই মধ্যে কয়েক দিন তো চলে গেছে। তা ছাড়া বারের সদস্য ও সংসদ সদস্য বিবেচনায় তঁথাকে জামিন দিলে অন্যরা সুযোগ পেয়ে যাবে।'
আদালতের এই আদেশের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হৈচৈ করে ওঠেন। এ সময় বিচারপতিও এজলাস ছেড়ে চলে যান। তাঁদের প্রস্থানের পর হৈচৈ আরো বেড়ে যায়। আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় ওই আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'আদালতের এই আদেশের পর আমরা আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে (ব্যারিস্টার খোকন) হয়রানি না করতে আদালতের নিকট নির্দেশনা প্রার্থনা করি। এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আশ্বস্ত করেন, তাঁকে হয়রানি করা হবে না।'
আদালতের এ আদেশের পর ব্যারিস্টার খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নিজের চেম্বারে অবস্থান করছিলেন।
বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের চার পাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি ফটকে পাহারা বসানো হয়। রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা আদালত এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার বেঞ্চে গতকাল বিকেলে ব্যারিস্টার খোকনের জামিনের আবেদনে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি ব্যারিস্টার খোকনকে ৯ মে পর্যন্ত জামিন দিয়ে এ সময়ের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। তবে কনিষ্ঠ বিচারপতি জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেন। এ আদেশের ফলে ব্যারিস্টার খোকনের জামিন আবেদনের বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অপর কোনো বেঞ্চে পাঠাবেন।
গত ৩০ এপ্রিল বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ছুটির দিনে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার আবেদনে রাজি হননি প্রধান বিচারপতি। তিনি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির পরামর্শ দেন। এ কারণে গতকাল তাঁরা নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির আবেদন করেন।
বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন নিয়ে গতকাল সকালে টি এইচ খান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত হন বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিঞার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণের আবেদন করেন। এ সময় সিনিয়র বিচারপতি বলেন, 'আমরা তালিকাভুক্ত জামিন আবেদন শুনছি। আপনাদেরটি তালিকায় নেই। এ কারণে আগামী রবিবার আসুন।' এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, 'এটা জরুরি বিষয়। পুলিশ ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশি করছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্যই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।' এরই মধ্যে বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি বলেন, 'এ আবেদনের ওপর শুনানি করতে বিব্রতবোধ করছি।'
এরপর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে যান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আগের আদালতের পরিস্থিতি উল্লেখ করে এই আদালতে বলেন, 'এ কারণে আপনার আদালতে এসেছি।' জবাবে আদালত বলেন, 'আমাদের জামিন শুনানির এখতিয়ার নেই।' এরপর মওদুদ আহমদ বলেন, 'আমরা শুনেছি, আপনাদেরকে সেই এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।' জবাবে আদালত বলেন, ''এ বিষয়ে আমরা 'অফিশিয়ালি' কিছু জানি না।'
এরপর হতাশ হয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে যান। সেখানে তাঁরা বৈঠক করেন। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ আহমদ বলেন, 'আইনের শাসন অনুযায়ী একজন নাগরিকের আদালতে এসে জামিন চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।' তিনি বলেন, 'হাইকোর্টের সামনে পাহারা বসানো হয়েছে। কোর্টগুলোর সামনেও সাদা পোশাকধারীদের দিয়ে ভরে দেওয়া হয়েছে। জামিনের জন্য বিএনপি নেতারা আদালতে আসতে পারছেন না।' তিনি আরো বলেন, 'পরিস্থিতি এমন যে আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি।' সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ।
এরপর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ সিনিয়র আইনজীবীরা আদালত এলাকা ছেড়ে গুলশানে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে। সেখান থেকে ফিরে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিনের আবেদনের শুনানি করা হয়।
বিভক্ত আদেশ : ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিন আবেদনে হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেওয়ার ফলে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। গতকাল আদালতে খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক এবং সরকার পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, 'আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি সংসদ সদস্যও বটে।'
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে এম কে রহমান বলেন, 'এটা দ্রুত বিচার আইনে করা মামলা। এই মামলায় সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বা অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়। এরই মধ্যে কয়েক দিন তো চলে গেছে। তা ছাড়া বারের সদস্য ও সংসদ সদস্য বিবেচনায় তঁথাকে জামিন দিলে অন্যরা সুযোগ পেয়ে যাবে।'
আদালতের এই আদেশের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হৈচৈ করে ওঠেন। এ সময় বিচারপতিও এজলাস ছেড়ে চলে যান। তাঁদের প্রস্থানের পর হৈচৈ আরো বেড়ে যায়। আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় ওই আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'আদালতের এই আদেশের পর আমরা আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে (ব্যারিস্টার খোকন) হয়রানি না করতে আদালতের নিকট নির্দেশনা প্রার্থনা করি। এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আশ্বস্ত করেন, তাঁকে হয়রানি করা হবে না।'
আদালতের এ আদেশের পর ব্যারিস্টার খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নিজের চেম্বারে অবস্থান করছিলেন।
বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের চার পাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি ফটকে পাহারা বসানো হয়। রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা আদালত এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
No comments