যেন রূপকথার এক জয় by তারেক মাহমুদ
একটা বড় ব্যতিক্রম ঘটে গেল কাল। জয়ের পর নিয়ম মেনে কাঁধে কাঁধ ধরে ড্রেসিংরুমে কোরাসে গাওয়া হচ্ছে ‘আমরা করব জয়।’ কিন্তু মাঝখানে কেউ নেই। বাংলাদেশ দলের এই বিজয়সংগীতের মাঝখানে রাখা হয় জয়ের নায়ককে। অথচ কাল কেউ নেই!
থাকবে কী করে? ম্যাচ জেতানো নায়কই যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না! কে জেতালেন ম্যাচ? সাকিব আল হাসান, নাসির হোসেন নাকি মুশফিকুর রহিম? শুরুটা ভালো করে দেওয়ায় তামিম ইকবালও নায়ক হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেন। অন্যভাবে দেখলে ম্যাচের নায়ক তো শচীন টেন্ডুলকারও হতে পারেন! এই ম্যাচেই না শততম সেঞ্চুরি করলেন ব্যাটিং জিনিয়াস!
শচীন টেন্ডুলকার এমনিতেই মহানায়ক। শততম সেঞ্চুরি সিংহাসনটিকে অলংকৃত করেছে আরও। কিন্তু টেন্ডুলকার যে রকম বিনয়ী, শততম সেঞ্চুরির রাতে নিশ্চিতভাবেই নায়কের আসনটি ছেড়ে দিয়ে থাকবেন সাকিব-মুশফিকদের। সেঞ্চুরি করেছেন, ম্যাচ জেতানোর নায়ক তো হতে পারেননি! তাঁর সেঞ্চুরি বরং ক্রিকেট সমালোচকদের পাতে টক-মিষ্টি এক খাবারই তুলে দিল—ভারতের পরাজয়ে টেন্ডুলকারের ধীরতম সেঞ্চুরির অবদান কতখানি?
মুশফিকুর রহিম আগের দিনই বলেছিলেন, মিরপুরে ভারত ২৮০ রান করলেও জেতা সম্ভব। মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত করল তার চেয়ে ৯ রান বেশি, ২৮৯। তাতেও সমস্যা হয়নি। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্য পূরণ বাংলাদেশের। এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম জয় এখনই ফাইনালিস্ট বলতে দিচ্ছে না ভারতকে।
কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের নায়ক আসলে কে? তামিমের ৭০, জহুরুলের ৫৩, নাসিরের ৫৪, সাকিবের ৪৯ কিংবা মুশফিকুরের অপরাজিত ৪৬—কোনটাকে বাদ দেবেন! ভারতের ২৮৯ রান বাংলাদেশ ইনিংসের শুরু থেকেই মনে হয়েছে অতিক্রমযোগ্য। টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিতে তামিম যেমন অস্তিত্ব ফিরে পাওয়ার ঘোষণা দিলেন, মুশফিকের অধিনায়কোচিত ইনিংস মনে করিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত হোম সিরিজে জেতা টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিকে। নাসির জানালেন, তিনি সত্যিকারের এক অলরাউন্ডারই হয়ে উঠছেন। জহুরুলের ঘোষণা—দুই বছর ওয়ানডে না খেললেও এখনো হারিয়ে যাননি। আর সাকিব তো বরাবরই আছেন ঔজ্জ্বল্য নিয়ে। তবে কাল থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে স্টাম্পড হয়ে ট্র্যাজেডির নায়ক হয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা নিয়ে সাকিবই ম্যাচের নায়ক।
সাকিব ৪৯ রান করে আউট হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতে আর নেই। মুশফিকের ব্যাট সেটা হতে দেয়নি। ২৫ বলে অপরাজিত ৪৬-এ তিন চার তিন ছক্কা।্র৪৮তম ওভারে ইরফান পাঠানকে মারলেন পরপর দুটি। প্রাভিন কুমারের পরের ওভারের প্রথম বলে চার, পরের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে নিজের শেষ ছক্কাটা মেরে অধিনায়কই বের করে আনেন ম্যাচ। শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান, প্রাভিনের ওই এক ওভারেই এল ১৩। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দিন্দাকে বাউন্ডারি মেরে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
কেক কেটে টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরি উদ্যাপনের প্রস্তুতি ছিল ভারত শিবিরে। রাতে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়েছে কি না, সেই খবর আর জানার প্রয়োজন পড়েনি। টেন্ডুলকার এখন ট্র্যাজিক নায়ক। উৎসব তাঁর ভালো লাগার কথা নয়।
টেস্টে ৫১টা সেঞ্চুরি, ওয়ানডেটা ৪৮টা। আর মাত্র একটি যোগ হলেই টেন্ডুলকার নামটা উঠে যায় আরও উঁচু কোনো বেদিতে। কাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরি হওয়া নিয়ে সন্দেহ কারোরই ছিল না। শুধু জানা ছিল না অপেক্ষার প্রহর কত লম্বা হবে। আজ, কাল, পরশু নাকি অন্য কোনো দিন? আগে কেউ করেনি বলে জানা নেই, শততম সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য বুঝি এসবেই বাড়ে!
কালকের আগে সর্বশেষ, মানে ৯৯তম সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। মাঝখানে চলে গেছে ৩৩টা ম্যাচ। চলে গেছে ইংল্যান্ড সফর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ আর অস্ট্রেলিয়া সফর। টেন্ডুলকার থেকে গেছেন সেঞ্চুরি ছাড়া। ২০১১-এর ১২ মার্চ নাগপুরে করা ৯৯তম সেঞ্চুরির পর এক বছরের অপেক্ষা এবং সেই অপেক্ষার অবসান আবার এমন একটা দলের বিপক্ষে, যাদের সঙ্গে এর আগে একটাও ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছিল না টেন্ডুলকারের। সেটা হয়ে যাওয়ার পর এবারের এশিয়া কাপেরই সবচেয়ে বড় ঘটনা হয়ে থাকবে একশতম একশ।
টেন্ডুলকার কি আগে থেকেই জানতেন, গৌরবমাল্য গলায় উঠবে এশিয়া কাপেই? নাকি অপেক্ষায় অপেক্ষায় হয়ে পড়েছিলেন ক্লান্ত! ইনিংসের ৪৩.৪ ওভারে সাকিবের বলটা স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই ১ এবং তাতেই পূর্ণ শততম সেঞ্চুরি। কিন্তু সেঞ্চুরির পর তাঁর উদ্যাপন দেখে মনেই হয়নি, উপলক্ষটা পৃথিবী নামক গ্রহে এ-ই প্রথম এল। অভ্যাসবশে আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন, ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন ড্রেসিংরুমের দিকে...এই তো! ছোট্ট একটা লাফ, হেলমেট তুলে ব্যাট উঁচিয়ে ধরায় আরেকটু অহংকার কি ফুটিয়ে তোলা যেত না? এটা তো আর দশটা সেঞ্চুরির মতো নয়, শততম সেঞ্চুরি!
টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি, মিরপুরের অমন ব্যাটিং উইকেট। তার পরও ভারতের রান কেন ‘মাত্র’ ২৮৯? আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওপেনার গৌতম গম্ভীর দলের ২৫ রানে ফিরে গেলে বিরাট কোহলি আর সুরেশ রায়নাকে নিয়ে টেন্ডুলকারই এগিয়ে নিয়েছেন ভারতকে। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে ১৪৮ আর তৃতীয় উইকেটে রায়নার সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি। উইকেটে নেমেই শফিউলের বলে কড়া এলবিডব্লুর আবেদন থেকে বেঁচে যাওয়া ছাড়া কোহলির ৮২ বলে ৬৬ রান নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই, বিতর্ক হবে না রায়নার ৩৮ বলে ৫১ নিয়েও। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের আলোচনার খোরাক হতে পারে কেবল টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরিই।
ভারত জিতলে অবশ্য ওটা নিয়েই কাব্য হতো। যা-ই হোক, মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যু দিবসে আরেকটি ভারত-বধ আবারও বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা ওড়াল। ম্যাচ শেষে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের লাউড স্পিকারে বাজছিল ‘জয় বাংলা বাংলার জয়।’ বাইরে হাজারো মানুষের উল্লাস। বিজয়ের এই সংগীতে যেন নায়কের অভাব নেই!
ভারত: ৫০ ওভারে ২৮৯/৫; বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৯৩/৫। ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
শচীন টেন্ডুলকার এমনিতেই মহানায়ক। শততম সেঞ্চুরি সিংহাসনটিকে অলংকৃত করেছে আরও। কিন্তু টেন্ডুলকার যে রকম বিনয়ী, শততম সেঞ্চুরির রাতে নিশ্চিতভাবেই নায়কের আসনটি ছেড়ে দিয়ে থাকবেন সাকিব-মুশফিকদের। সেঞ্চুরি করেছেন, ম্যাচ জেতানোর নায়ক তো হতে পারেননি! তাঁর সেঞ্চুরি বরং ক্রিকেট সমালোচকদের পাতে টক-মিষ্টি এক খাবারই তুলে দিল—ভারতের পরাজয়ে টেন্ডুলকারের ধীরতম সেঞ্চুরির অবদান কতখানি?
মুশফিকুর রহিম আগের দিনই বলেছিলেন, মিরপুরে ভারত ২৮০ রান করলেও জেতা সম্ভব। মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত করল তার চেয়ে ৯ রান বেশি, ২৮৯। তাতেও সমস্যা হয়নি। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্য পূরণ বাংলাদেশের। এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম জয় এখনই ফাইনালিস্ট বলতে দিচ্ছে না ভারতকে।
কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের নায়ক আসলে কে? তামিমের ৭০, জহুরুলের ৫৩, নাসিরের ৫৪, সাকিবের ৪৯ কিংবা মুশফিকুরের অপরাজিত ৪৬—কোনটাকে বাদ দেবেন! ভারতের ২৮৯ রান বাংলাদেশ ইনিংসের শুরু থেকেই মনে হয়েছে অতিক্রমযোগ্য। টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিতে তামিম যেমন অস্তিত্ব ফিরে পাওয়ার ঘোষণা দিলেন, মুশফিকের অধিনায়কোচিত ইনিংস মনে করিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত হোম সিরিজে জেতা টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিকে। নাসির জানালেন, তিনি সত্যিকারের এক অলরাউন্ডারই হয়ে উঠছেন। জহুরুলের ঘোষণা—দুই বছর ওয়ানডে না খেললেও এখনো হারিয়ে যাননি। আর সাকিব তো বরাবরই আছেন ঔজ্জ্বল্য নিয়ে। তবে কাল থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে স্টাম্পড হয়ে ট্র্যাজেডির নায়ক হয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা নিয়ে সাকিবই ম্যাচের নায়ক।
সাকিব ৪৯ রান করে আউট হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতে আর নেই। মুশফিকের ব্যাট সেটা হতে দেয়নি। ২৫ বলে অপরাজিত ৪৬-এ তিন চার তিন ছক্কা।্র৪৮তম ওভারে ইরফান পাঠানকে মারলেন পরপর দুটি। প্রাভিন কুমারের পরের ওভারের প্রথম বলে চার, পরের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে নিজের শেষ ছক্কাটা মেরে অধিনায়কই বের করে আনেন ম্যাচ। শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান, প্রাভিনের ওই এক ওভারেই এল ১৩। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দিন্দাকে বাউন্ডারি মেরে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
কেক কেটে টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরি উদ্যাপনের প্রস্তুতি ছিল ভারত শিবিরে। রাতে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়েছে কি না, সেই খবর আর জানার প্রয়োজন পড়েনি। টেন্ডুলকার এখন ট্র্যাজিক নায়ক। উৎসব তাঁর ভালো লাগার কথা নয়।
টেস্টে ৫১টা সেঞ্চুরি, ওয়ানডেটা ৪৮টা। আর মাত্র একটি যোগ হলেই টেন্ডুলকার নামটা উঠে যায় আরও উঁচু কোনো বেদিতে। কাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরি হওয়া নিয়ে সন্দেহ কারোরই ছিল না। শুধু জানা ছিল না অপেক্ষার প্রহর কত লম্বা হবে। আজ, কাল, পরশু নাকি অন্য কোনো দিন? আগে কেউ করেনি বলে জানা নেই, শততম সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য বুঝি এসবেই বাড়ে!
কালকের আগে সর্বশেষ, মানে ৯৯তম সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। মাঝখানে চলে গেছে ৩৩টা ম্যাচ। চলে গেছে ইংল্যান্ড সফর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ আর অস্ট্রেলিয়া সফর। টেন্ডুলকার থেকে গেছেন সেঞ্চুরি ছাড়া। ২০১১-এর ১২ মার্চ নাগপুরে করা ৯৯তম সেঞ্চুরির পর এক বছরের অপেক্ষা এবং সেই অপেক্ষার অবসান আবার এমন একটা দলের বিপক্ষে, যাদের সঙ্গে এর আগে একটাও ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছিল না টেন্ডুলকারের। সেটা হয়ে যাওয়ার পর এবারের এশিয়া কাপেরই সবচেয়ে বড় ঘটনা হয়ে থাকবে একশতম একশ।
টেন্ডুলকার কি আগে থেকেই জানতেন, গৌরবমাল্য গলায় উঠবে এশিয়া কাপেই? নাকি অপেক্ষায় অপেক্ষায় হয়ে পড়েছিলেন ক্লান্ত! ইনিংসের ৪৩.৪ ওভারে সাকিবের বলটা স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই ১ এবং তাতেই পূর্ণ শততম সেঞ্চুরি। কিন্তু সেঞ্চুরির পর তাঁর উদ্যাপন দেখে মনেই হয়নি, উপলক্ষটা পৃথিবী নামক গ্রহে এ-ই প্রথম এল। অভ্যাসবশে আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন, ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন ড্রেসিংরুমের দিকে...এই তো! ছোট্ট একটা লাফ, হেলমেট তুলে ব্যাট উঁচিয়ে ধরায় আরেকটু অহংকার কি ফুটিয়ে তোলা যেত না? এটা তো আর দশটা সেঞ্চুরির মতো নয়, শততম সেঞ্চুরি!
টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি, মিরপুরের অমন ব্যাটিং উইকেট। তার পরও ভারতের রান কেন ‘মাত্র’ ২৮৯? আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওপেনার গৌতম গম্ভীর দলের ২৫ রানে ফিরে গেলে বিরাট কোহলি আর সুরেশ রায়নাকে নিয়ে টেন্ডুলকারই এগিয়ে নিয়েছেন ভারতকে। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে ১৪৮ আর তৃতীয় উইকেটে রায়নার সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি। উইকেটে নেমেই শফিউলের বলে কড়া এলবিডব্লুর আবেদন থেকে বেঁচে যাওয়া ছাড়া কোহলির ৮২ বলে ৬৬ রান নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই, বিতর্ক হবে না রায়নার ৩৮ বলে ৫১ নিয়েও। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের আলোচনার খোরাক হতে পারে কেবল টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরিই।
ভারত জিতলে অবশ্য ওটা নিয়েই কাব্য হতো। যা-ই হোক, মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যু দিবসে আরেকটি ভারত-বধ আবারও বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা ওড়াল। ম্যাচ শেষে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের লাউড স্পিকারে বাজছিল ‘জয় বাংলা বাংলার জয়।’ বাইরে হাজারো মানুষের উল্লাস। বিজয়ের এই সংগীতে যেন নায়কের অভাব নেই!
ভারত: ৫০ ওভারে ২৮৯/৫; বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৯৩/৫। ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
No comments