সীমান্তে একতরফা সেনা সমাবেশ মিয়ানমারের-আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি by ওমর ফারুক ও রফিকুল ইসলাম
বাংলাদেশকে কিছু না জানিয়েই সীমান্তে সেনা সমাবেশ করছে মিয়ানমার। তিন-চার দিন ধরেই সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের অস্বাভাবিক তৎপরতা চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এমনকি তারা নো ম্যান্স ল্যান্ডের ভেতরেও ঢুকে পড়ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী,
কোনো দেশের সীমান্তের আট কিলোমিটারের মধ্যে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য অবস্থান নিতে পারবেন না। একান্ত প্রয়োজন হলে সে ক্ষেত্রে পাশের দেশের অনুমতি নিতে হয়। সীমান্তে মিয়ানমারের একতরফা সেনা সমাবেশে তেমন উত্তেজনা দেখা না দিলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)
সতর্কাবস্থায় রয়েছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের আকস্মিক সামরিক তৎপরতায় বাংলাদেশি জেলে ও কাঠুরিয়াদের সীমান্ত এলাকা ও নাফ নদে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে উখিয়ার পালংখালী পর্যন্ত নাফ নদ, ঘুমধুম থেকে লেমুছড়ি পর্যন্ত পাহাড়ি সীমানাসহ উভয় দেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমানা বিরোধপূর্ণ।
বিজিবির এক কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, মিয়ানমার সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে- এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে। বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা কী করতে চায়, সেদিকে সারাক্ষণই নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
বিজিবির চট্টগ্রাম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. বশিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে গত রাতে বলেন, 'বিজিবি সব সময়ের জন্য সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থাকে। যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।'
একটি সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় তিন-চার দিন আগে থেকে মিয়ানমারের সেনা সমাবেশ দেখা যাচ্ছে। এ খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বাহিনী জানতে পারে, মিয়ানমারের সেনারা দল বেঁধে পালা করে সীমান্ত এলাকায় আসা-যাওয়া করছে। কখনো কখনো তারা নো ম্যান্স ল্যান্ড পর্যন্তও চলে আসছে। সংশ্লিষ্ট একজন জানান, মিয়ানমার কী কারণে সীমান্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতি দেখে বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে অধিনায়ক পর্যায়ে বুধবার সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় সেনা সমাবেশ ঘটানোর কারণ জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমারের অধিনায়ক সেনা সমাবেশের কথা অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের কাছে ভুল তথ্য রয়েছে।
কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম বদরুদ্দোজা গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক আদালতের রায় হওয়ার দুই দিন আগে থেকে আমরা সীমান্তে টহল জোরদার করেছি। টেকনাফ এলাকায় সীমান্তে মিয়ানমারের কোনো সেনা চোখে পড়েনি।'
আরেকটি সূত্রে জানা যায়, বিজিবির আহ্বানে আরাকান সীমান্তের ওপারে ঘুমধুমে মঙ্গলবার দুপুরে নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির পতাকা বৈঠক হয়। ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের ওই পতাকা বৈঠকের পর কক্সবাজারের ১৭ বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান জানান, নাসাকা বাহিনী সীমান্তে সেনা মোতায়েনের খবর জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জার্মানির হামবুর্গে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালে উভয় দেশের সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিরোধপূর্ণ সীমানার নিরাপত্তা নিয়ে অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমার সীমান্তে সেনা টহল ও অবস্থান বৃদ্ধি করে।
সতর্কাবস্থায় রয়েছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের আকস্মিক সামরিক তৎপরতায় বাংলাদেশি জেলে ও কাঠুরিয়াদের সীমান্ত এলাকা ও নাফ নদে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে উখিয়ার পালংখালী পর্যন্ত নাফ নদ, ঘুমধুম থেকে লেমুছড়ি পর্যন্ত পাহাড়ি সীমানাসহ উভয় দেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমানা বিরোধপূর্ণ।
বিজিবির এক কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, মিয়ানমার সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে- এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে। বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা কী করতে চায়, সেদিকে সারাক্ষণই নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
বিজিবির চট্টগ্রাম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. বশিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে গত রাতে বলেন, 'বিজিবি সব সময়ের জন্য সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থাকে। যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।'
একটি সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় তিন-চার দিন আগে থেকে মিয়ানমারের সেনা সমাবেশ দেখা যাচ্ছে। এ খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বাহিনী জানতে পারে, মিয়ানমারের সেনারা দল বেঁধে পালা করে সীমান্ত এলাকায় আসা-যাওয়া করছে। কখনো কখনো তারা নো ম্যান্স ল্যান্ড পর্যন্তও চলে আসছে। সংশ্লিষ্ট একজন জানান, মিয়ানমার কী কারণে সীমান্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতি দেখে বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে অধিনায়ক পর্যায়ে বুধবার সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় সেনা সমাবেশ ঘটানোর কারণ জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমারের অধিনায়ক সেনা সমাবেশের কথা অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের কাছে ভুল তথ্য রয়েছে।
কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম বদরুদ্দোজা গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক আদালতের রায় হওয়ার দুই দিন আগে থেকে আমরা সীমান্তে টহল জোরদার করেছি। টেকনাফ এলাকায় সীমান্তে মিয়ানমারের কোনো সেনা চোখে পড়েনি।'
আরেকটি সূত্রে জানা যায়, বিজিবির আহ্বানে আরাকান সীমান্তের ওপারে ঘুমধুমে মঙ্গলবার দুপুরে নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির পতাকা বৈঠক হয়। ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের ওই পতাকা বৈঠকের পর কক্সবাজারের ১৭ বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান জানান, নাসাকা বাহিনী সীমান্তে সেনা মোতায়েনের খবর জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জার্মানির হামবুর্গে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালে উভয় দেশের সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিরোধপূর্ণ সীমানার নিরাপত্তা নিয়ে অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমার সীমান্তে সেনা টহল ও অবস্থান বৃদ্ধি করে।
No comments