অনিয়মই কি নিয়ম!
রক্ষক যখন ভক্ষক'_এমন একটা কথা চালু আছে বাংলায়। কিন্তু আইন করে সেই আইন নিজেরাই ভাঙলে তখন কী বলা যাবে? সংসদে বসে যাঁরা আইন পাস করেন, তাঁরা নিজেরা কি সেই আইনের ঊধর্ে্ব। আইন সবার জন্য সমান হওয়ার কথা। কিন্তু সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির আইনটি কেবল তাঁদেরই জন্য।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ প্রথম দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি এরশাদ ১৯৮৭ সালে। এরশাদের অনেক কিছু বাদ দিলেও এই সুযোগটিকে সংসদ সদস্যরা আজও টিকিয়ে রেখেছেন। অনেকে এটাকে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। অনেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনে বাইরে বিক্রি করে দেন, এমন অভিযোগ অনেক দিনের। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় এমন অনেক গাড়িও পাওয়া যায়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ সুযোগটি বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার আবার সেই সুযোগটি পুনরুজ্জীবিত করেছে।
সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির ব্যাপারে আপত্তিকর দিকটি ছিল, গাড়ির হাতবদল। কোনো সংসদ সদস্যের নামে বিদেশ থেকে গাড়ি আসার পর, সে গাড়ির মালিকানা বদলে যাওয়ার রেকর্ড বিগত দিনগুলোতে রয়েছে। সে অভিজ্ঞতা থেকেই এমপিদের মালিকানা হাতবদলের সুযোগ রাখা হয়নি গাড়ি আমদানির আইনে। কঠোর কিছু শর্তও আরোপ করা হয়। শুরুতে এমনটি বলা হয়েছিল, সংসদ সদস্যরা যে গাড়ি আমদানি করবেন, সেই গাড়ির নম্বর প্লেটে তাঁদের নিজ জেলা ও নির্বাচনী এলাকার নম্বর থাকবে। কিন্তু এরই মধ্যে গাড়ি আমদানি করেছেন এমন সংসদ সদস্যরা এই শর্ত মেনে চলছেন না। এ ক্ষেত্রে তাঁদের হাতে তৈরি অজুহাতও আছে। নিজ জেলার নাম ও নির্বাচনী এলাকার নম্বর থাকলে সে ক্ষেত্রে এলাকায় সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তাজনিত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। নিজ জেলা ও নির্বাচনী এলাকার নম্বর ছাড়াই সংসদ সদস্যরা বিআরটিএ থেকে তাঁদের আমদানি করা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিয়েছেন। বিআরটিএ এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি করেনি বলেই জানা গেছে।
তবে সংসদ সদস্যদের সবচেয়ে বড় আপত্তি, গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত অনেক শর্ত নিয়ে। এসব শর্তে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সিসির গাড়ির কথা। রহিত করা হয়েছিল বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির সুযোগ। বলা হয়, তিন হাজার সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানি করা যাবে। কিন্তু সংসদ সদস্যদের দাবির মুখে সরকার এই শর্ত থেকে সরে আসে। প্রথমে চার হাজার সিসি ও পরে সাড়ে চার হাজার সিসির গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। এসব গাড়ি থেকে এক একজন সংসদ সদস্য চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত শুল্ক মওকুফ পেয়েছেন। দেখা গেছে, মাত্র ১১৫টি গাড়ি থেকেই সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। সরকার সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়ার পরও একটি কঠিন শর্ত ছিল। সে শর্ত হচ্ছে, আমদানি করা গাড়ি হাতবদল করা যাবে না। কিন্তু এখন এ শর্ত নিয়ে সংসদ সদস্যদের ঘোর আপত্তি। তাঁরা এই শর্ত বাতিল করতে চাইছেন।
সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নকারী। দেশের জনগণ তাঁদের নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। জনগণের প্রতিনিধিও তাঁরা। জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখাটাই তাঁদের দায়িত্ব। কিন্তু শুল্কমুক্ত গাড়ির দিকেই যেন তাঁদের দৃষ্টি। এতে যে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে, দেশ বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে, সেদিকে যেন দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ নেই তাঁদের। আইন প্রণয়নকারী হয়ে আইন ভাঙার পথ কেমন করে খোঁজেন তাঁরা!
সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির ব্যাপারে আপত্তিকর দিকটি ছিল, গাড়ির হাতবদল। কোনো সংসদ সদস্যের নামে বিদেশ থেকে গাড়ি আসার পর, সে গাড়ির মালিকানা বদলে যাওয়ার রেকর্ড বিগত দিনগুলোতে রয়েছে। সে অভিজ্ঞতা থেকেই এমপিদের মালিকানা হাতবদলের সুযোগ রাখা হয়নি গাড়ি আমদানির আইনে। কঠোর কিছু শর্তও আরোপ করা হয়। শুরুতে এমনটি বলা হয়েছিল, সংসদ সদস্যরা যে গাড়ি আমদানি করবেন, সেই গাড়ির নম্বর প্লেটে তাঁদের নিজ জেলা ও নির্বাচনী এলাকার নম্বর থাকবে। কিন্তু এরই মধ্যে গাড়ি আমদানি করেছেন এমন সংসদ সদস্যরা এই শর্ত মেনে চলছেন না। এ ক্ষেত্রে তাঁদের হাতে তৈরি অজুহাতও আছে। নিজ জেলার নাম ও নির্বাচনী এলাকার নম্বর থাকলে সে ক্ষেত্রে এলাকায় সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তাজনিত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। নিজ জেলা ও নির্বাচনী এলাকার নম্বর ছাড়াই সংসদ সদস্যরা বিআরটিএ থেকে তাঁদের আমদানি করা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিয়েছেন। বিআরটিএ এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি করেনি বলেই জানা গেছে।
তবে সংসদ সদস্যদের সবচেয়ে বড় আপত্তি, গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত অনেক শর্ত নিয়ে। এসব শর্তে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সিসির গাড়ির কথা। রহিত করা হয়েছিল বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির সুযোগ। বলা হয়, তিন হাজার সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানি করা যাবে। কিন্তু সংসদ সদস্যদের দাবির মুখে সরকার এই শর্ত থেকে সরে আসে। প্রথমে চার হাজার সিসি ও পরে সাড়ে চার হাজার সিসির গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। এসব গাড়ি থেকে এক একজন সংসদ সদস্য চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত শুল্ক মওকুফ পেয়েছেন। দেখা গেছে, মাত্র ১১৫টি গাড়ি থেকেই সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। সরকার সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়ার পরও একটি কঠিন শর্ত ছিল। সে শর্ত হচ্ছে, আমদানি করা গাড়ি হাতবদল করা যাবে না। কিন্তু এখন এ শর্ত নিয়ে সংসদ সদস্যদের ঘোর আপত্তি। তাঁরা এই শর্ত বাতিল করতে চাইছেন।
সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নকারী। দেশের জনগণ তাঁদের নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। জনগণের প্রতিনিধিও তাঁরা। জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখাটাই তাঁদের দায়িত্ব। কিন্তু শুল্কমুক্ত গাড়ির দিকেই যেন তাঁদের দৃষ্টি। এতে যে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে, দেশ বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে, সেদিকে যেন দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ নেই তাঁদের। আইন প্রণয়নকারী হয়ে আইন ভাঙার পথ কেমন করে খোঁজেন তাঁরা!
No comments