সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত উপাচার্য চাই-জাহাঙ্গীরনগরে শিক্ষকদের আন্দোলন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে যে আন্দোলন করছেন, তার যৌক্তিকতা অস্বীকার করা যাবে না। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, দলীয়করণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আছে।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা অবিলম্বে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন, অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের হত্যার তদন্তকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে শেষোক্তটি ছাড়া বাকিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই এখতিয়ারে পড়ে। আগামী রোববার থেকে শিক্ষকেরা আন্দোলনে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক নাসিম আখতার হোসাইন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তখনই ধর্মঘটের মতো চরম পথ বেছে নেন যখন তাঁদের হাতে বিকল্প থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগে থেকে তাঁদের দাবিগুলো বিবেচনায় নিলে শিক্ষকদের আন্দোলনে যেতে হতো না।
কয়েক মাস আগে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র জুবায়ের আহমদের মৃত্যু ঘটে। সেখানে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ আছে, যার একটি আবার উপাচার্যের আশীর্বাদপুষ্ট। উপাচার্যের আশীর্বাদপুষ্ট গ্রুপের হাতে জুবায়ের নিহত হন বলে অভিযোগ আছে।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। তিনি কেন দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বেন? কেনই বা ছাত্রসংগঠনের উপদলীয় কোন্দলের সঙ্গে তাঁর নাম আসবে? ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ মানলে জাহাঙ্গীরনগরসহ অন্তত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত উপাচার্য থাকার কথা। কিন্তু একটিতেও নেই। নেই নির্বাচিত ছাত্র সংসদও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির এটিও বড় কারণ। নির্বাচিত উপাচার্য সিনেট তথা নির্বাচিত সংস্থার কাছে দায়বদ্ধ থাকতেন। এখন তিনি একজনের কাছেই দায়বদ্ধ—তাঁর নিয়োগকর্তা।
অবিলম্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায়সংগত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। উপাচার্যের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। অবিলম্বে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচিত উপাচার্য ও ছাত্র সংসদ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজকর্মে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আসবে, তেমনি অনিয়ম ও দুর্নীতিও হ্রাস পাবে। কমবে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনটির দৌরাত্ম্যও।
কেবল জাহাঙ্গীরনগর নয়, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্বাচিত উপাচার্য চাই।
কয়েক মাস আগে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র জুবায়ের আহমদের মৃত্যু ঘটে। সেখানে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ আছে, যার একটি আবার উপাচার্যের আশীর্বাদপুষ্ট। উপাচার্যের আশীর্বাদপুষ্ট গ্রুপের হাতে জুবায়ের নিহত হন বলে অভিযোগ আছে।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। তিনি কেন দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বেন? কেনই বা ছাত্রসংগঠনের উপদলীয় কোন্দলের সঙ্গে তাঁর নাম আসবে? ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ মানলে জাহাঙ্গীরনগরসহ অন্তত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত উপাচার্য থাকার কথা। কিন্তু একটিতেও নেই। নেই নির্বাচিত ছাত্র সংসদও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির এটিও বড় কারণ। নির্বাচিত উপাচার্য সিনেট তথা নির্বাচিত সংস্থার কাছে দায়বদ্ধ থাকতেন। এখন তিনি একজনের কাছেই দায়বদ্ধ—তাঁর নিয়োগকর্তা।
অবিলম্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায়সংগত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। উপাচার্যের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। অবিলম্বে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচিত উপাচার্য ও ছাত্র সংসদ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজকর্মে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আসবে, তেমনি অনিয়ম ও দুর্নীতিও হ্রাস পাবে। কমবে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনটির দৌরাত্ম্যও।
কেবল জাহাঙ্গীরনগর নয়, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্বাচিত উপাচার্য চাই।
No comments