ফি বছর হজযাত্রী পরিবহনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে কেন?-বিমান লিজ নিয়ে নয়ছয়
জাতীয় পতাকাবাহী পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের খবরের শিরোনাম হওয়া নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সংস্থাটির সুনামের চেয়ে দুর্নামের পাল্লাই দিনকে দিন ভারী হচ্ছে। বিগত জোট সরকারের আমলে বারবার বিমান অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির শিকার হয়ে যাত্রী হারিয়েছে, লোকসান দিয়েছে।
এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রার অনুমতিও বাতিল হয়েছে। বিমানবিষয়ক সর্বশেষ সংবাদ হলো, হজযাত্রী পরিবহনের জন্য উড়োজাহাজ ভাড়া নিয়ে অস্বচ্ছ কার্যকলাপ।
হজের মৌসুম এলেই বাংলাদেশ বিমানের নাইজেরীয় আকাশ পরিবহন সংস্থা কাবোর প্রতি প্রেম জেগে উঠতে দেখা যায়। গত শুক্রবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে, আসন্ন হজযাত্রার জন্য বিতর্কিত কাবোর উড়োজাহাজ ভাড়া করার ব্যাপারে বিমানসংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী অতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ জন্য তিন দফা দরপত্র আহ্বান করাও হয়ে গেছে। অথচ বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ নিয়ে আপত্তি উঠেছে। এখন চলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সরাসরি প্রস্তাব আহ্বান করা। গত বছরও নাইজেরীয় এ সংস্থার বিমান ভাড়া করা নিয়ে সংসদীয় কমিটি বনাম বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে উঠেছিল। পরে মন্ত্রীর অনমনীয়তায় কাবোর তদবির ব্যর্থ হয়। এ বছরও সেই কাবোর বিমান বেশি ভাড়ায় নেওয়ার বন্দোবস্ত চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিমানের জন্য উড়োজাহাজ ভাড়া করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা কাবোর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
বিমান ভাড়ার জন্য গৃহীত দরপত্রে কাবোর দরপ্রস্তাব ছিল তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তা সত্ত্বেও কাবোর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কারণ কী? অতীতে কাবো এয়ারলাইনসের গর্হিত আচরণের জন্য একে বিমানের কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাবও উঠেছিল। ২০ বছরের চেয়ে বেশি পুরোনো হওয়ায় সৌদি আরব এই উড়োজাহাজকে তাদের দেশে যেতে আপত্তি করে। উপরন্তু উড়োজাহাজটির চালকদের লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা থাকায় সৌদি কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটকও করেছিল। বিমান পরিবহনবিষয়ক সংসদীয় কমিটিকে এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।
আগের অনিয়মের ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক এ ঘটনা প্রমাণ করে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস একটি মহলের দুর্নীতির রাহুগ্রাসে বিপন্ন। এদের প্রতিহত করা এবং বিমানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ব্যাপকভিত্তিক উদ্যোগের প্রয়োজন এখন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিমানকে বারবার অমর্যাদা ও লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করা এখন মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটি উভয়েরই দায়িত্ব।
হজের মৌসুম এলেই বাংলাদেশ বিমানের নাইজেরীয় আকাশ পরিবহন সংস্থা কাবোর প্রতি প্রেম জেগে উঠতে দেখা যায়। গত শুক্রবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে, আসন্ন হজযাত্রার জন্য বিতর্কিত কাবোর উড়োজাহাজ ভাড়া করার ব্যাপারে বিমানসংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী অতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ জন্য তিন দফা দরপত্র আহ্বান করাও হয়ে গেছে। অথচ বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ নিয়ে আপত্তি উঠেছে। এখন চলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সরাসরি প্রস্তাব আহ্বান করা। গত বছরও নাইজেরীয় এ সংস্থার বিমান ভাড়া করা নিয়ে সংসদীয় কমিটি বনাম বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে উঠেছিল। পরে মন্ত্রীর অনমনীয়তায় কাবোর তদবির ব্যর্থ হয়। এ বছরও সেই কাবোর বিমান বেশি ভাড়ায় নেওয়ার বন্দোবস্ত চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিমানের জন্য উড়োজাহাজ ভাড়া করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা কাবোর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
বিমান ভাড়ার জন্য গৃহীত দরপত্রে কাবোর দরপ্রস্তাব ছিল তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তা সত্ত্বেও কাবোর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কারণ কী? অতীতে কাবো এয়ারলাইনসের গর্হিত আচরণের জন্য একে বিমানের কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাবও উঠেছিল। ২০ বছরের চেয়ে বেশি পুরোনো হওয়ায় সৌদি আরব এই উড়োজাহাজকে তাদের দেশে যেতে আপত্তি করে। উপরন্তু উড়োজাহাজটির চালকদের লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা থাকায় সৌদি কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটকও করেছিল। বিমান পরিবহনবিষয়ক সংসদীয় কমিটিকে এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।
আগের অনিয়মের ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক এ ঘটনা প্রমাণ করে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস একটি মহলের দুর্নীতির রাহুগ্রাসে বিপন্ন। এদের প্রতিহত করা এবং বিমানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ব্যাপকভিত্তিক উদ্যোগের প্রয়োজন এখন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিমানকে বারবার অমর্যাদা ও লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করা এখন মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটি উভয়েরই দায়িত্ব।
No comments