অবশিষ্ট খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে-রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও খালব্যবস্থা
রাজধানীতে একটু বৃষ্টি হলেই অনেক এলাকা পানিতে ডুবে গিয়ে অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। মঙ্গলবারের সামান্য বৃষ্টির কারণে মহানগরের অনেক এলাকার জলাবদ্ধতার চিত্র সংবাদমাধ্যমে আবারও বর্ণিত হলো। বর্ষা মৌসুমে গোটা রাজধানীর কী দুরবস্থা হতে পারে, তা ভেবে শঙ্কিত হতে হয়।
জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণ পানি নিষ্কাশনে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা। ঢাকার পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এই মহানগরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশ কিছু খাল। সেই খালগুলো অবৈধ দখল ও ভরাট হতে হতে এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র কয়েকটি। কিন্তু সেগুলোরও বড়ই দুর্দশা।
তেমনই দুর্দশাগ্রস্ত একটি হলো কুতবখালী খাল, যার এক পাশে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, অন্য পাশে পূর্ব দোলাইরপাড় ও দনিয়া এলাকা। ওই পুরো এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই কুতুবখালী খাল। কিন্তু ময়লা-আবর্জনা ফেলে, ভরাট করে দোকানপাট বানিয়ে খালটিকে প্রায় গ্রাস করে ফেলা হয়েছে। একসময় খালটি ছিল ৫০-৬০ ফুট প্রশস্ত, কিন্তু এখন মাত্র সাত থেকে আট ফুট। একসময় গভীরতা ছিল প্রায় আট ফুট; কিন্তু এখন কোথাও পৌনে এক ফুট, কোথাও সোয়া দুই ফুট। অর্থাৎ কুতুবখালী খালটি আর খাল নেই, নর্দমায় পরিণত হয়েছে। অথচ একসময় এই খাল ছিল বেশ স্রোতস্বিনী: বড় বড় নৌকা চলাচল করত, প্রচুর মাছও ছিল।
এখন একটু বৃষ্টি হলেই কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা।
শুধু কুতুবখালী খাল নয়, ঢাকা মহানগরের ভেতর দিয়ে একসময় যে অজস্র খাল বয়ে যেত, সেগুলোর অধিকাংশই গ্রাস হয়ে গেছে একই প্রক্রিয়ায়। এক দিন বা দুই দিনে নয়, অনেক বছর ধরে চলেছে খাল ধ্বংসের ভয়াবহ অপরিণামদর্শী তৎপরতা। চলেছে দিনে-রাতে, এলাকার মানুষের চোখের সামনে, এমনকি এসব খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তাদেরও নাকের ডগায়। কি জনগণ, কি কর্তৃপক্ষ—কেউ মনে রাখেনি যে মহানগরের এই খালগুলো পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ, অনেকটা প্রাকৃতিক অবকাঠামোর মতো।
কুতুবখালী খালসহ রাজধানীর অবশিষ্ট খালগুলো পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ব্যাপক অভিযান চালানো দরকার। তাহলে বিপুল জনসংখ্যার এই মহানগরকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তেমনই দুর্দশাগ্রস্ত একটি হলো কুতবখালী খাল, যার এক পাশে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, অন্য পাশে পূর্ব দোলাইরপাড় ও দনিয়া এলাকা। ওই পুরো এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই কুতুবখালী খাল। কিন্তু ময়লা-আবর্জনা ফেলে, ভরাট করে দোকানপাট বানিয়ে খালটিকে প্রায় গ্রাস করে ফেলা হয়েছে। একসময় খালটি ছিল ৫০-৬০ ফুট প্রশস্ত, কিন্তু এখন মাত্র সাত থেকে আট ফুট। একসময় গভীরতা ছিল প্রায় আট ফুট; কিন্তু এখন কোথাও পৌনে এক ফুট, কোথাও সোয়া দুই ফুট। অর্থাৎ কুতুবখালী খালটি আর খাল নেই, নর্দমায় পরিণত হয়েছে। অথচ একসময় এই খাল ছিল বেশ স্রোতস্বিনী: বড় বড় নৌকা চলাচল করত, প্রচুর মাছও ছিল।
এখন একটু বৃষ্টি হলেই কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায় পুরো এলাকা।
শুধু কুতুবখালী খাল নয়, ঢাকা মহানগরের ভেতর দিয়ে একসময় যে অজস্র খাল বয়ে যেত, সেগুলোর অধিকাংশই গ্রাস হয়ে গেছে একই প্রক্রিয়ায়। এক দিন বা দুই দিনে নয়, অনেক বছর ধরে চলেছে খাল ধ্বংসের ভয়াবহ অপরিণামদর্শী তৎপরতা। চলেছে দিনে-রাতে, এলাকার মানুষের চোখের সামনে, এমনকি এসব খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তাদেরও নাকের ডগায়। কি জনগণ, কি কর্তৃপক্ষ—কেউ মনে রাখেনি যে মহানগরের এই খালগুলো পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ, অনেকটা প্রাকৃতিক অবকাঠামোর মতো।
কুতুবখালী খালসহ রাজধানীর অবশিষ্ট খালগুলো পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ব্যাপক অভিযান চালানো দরকার। তাহলে বিপুল জনসংখ্যার এই মহানগরকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
No comments