রাজনৈতিক বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়-নতুন ব্যাংক খুলতে চাপ
দেশে নতুন ব্যাংক খোলার প্রয়োজনীয়তা আছে কি নেই, সে বিষয়টি পুরোপুরি অর্থনৈতিক। কিন্তু এ নিয়ে জোর রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। শনিবার ডেইলি স্টার-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন ব্যাংক খোলার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাজনৈতিক চাপের মধ্যে আছে।
ইতিমধ্যে ব্যাংকে ৮২টি দরখাস্ত জমা পড়েছে, যার অধিকাংশ ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সাংসদ ও নেতাদের নামে।
১৭ জুলাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্য নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন। বৈঠকের পর তিনি বলেছিলেন, নতুন ব্যাংক খোলার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সমীক্ষা করবে এবং আগামী মাসে (আগস্ট) প্রতিবেদন দেবে। অথচ অর্থমন্ত্রী ২৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেন, সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছায় নতুন ব্যাংক হচ্ছে।
রাজনৈতিক ইচ্ছায়ই যদি নতুন ব্যাংক হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমীক্ষার কী প্রয়োজন? সমীক্ষায় নেতিবাচক মত এলে কি সরকার নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থেকে সরে আসবে? ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৩১ ধারায় ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২-এ সরকার বিভিন্ন নির্দেশনার ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা দিতে পারবে বলে যে কথা বলা হয়েছিল, ২০০৩ সালে তা তুলে নেওয়া হয়। ফলে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত হয়।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণায় ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলেছেন, অর্থনীতির আকার বেড়েছে। কতটা বেড়েছে? বর্তমানে দেশে ৪৯টি ব্যাংক আছে, যার মধ্যে ৩০টি বেসরকারি। এ ছাড়া বিদেশি মালিকানাধীন নয়টি ব্যাংক আছে। এসব ব্যাংক গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না—এমন অভিযোগ কোনো মহল থেকেই ওঠেনি। সে ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে এত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন কী? অন্তত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমীক্ষা প্রতিবেদন পর্যন্ত সরকারের অপেক্ষা করা উচিত। অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের অংশ বলে যে মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না। কিন্তু সরকার আইন করে যাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া উচিত। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের বেলায় রাজনৈতিক প্রভাব বা চাপ বাঞ্ছনীয় নয়।
অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার একাধিক মন্দ নজির রয়েছে। দলীয় লোকদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্তও কম নয়। আবার অসাধু উদ্যোক্তাদের পাল্লায় পড়ে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল; যার খেসারত কেবল গ্রাহকদেরই দিতে হয়নি, সরকারকেও দিতে হয়েছে। কোথাও বা প্রশাসক বসিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংক খুললে তা অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার না করে বিপদও ডেকে আনতে পারে।
১৭ জুলাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্য নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন। বৈঠকের পর তিনি বলেছিলেন, নতুন ব্যাংক খোলার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সমীক্ষা করবে এবং আগামী মাসে (আগস্ট) প্রতিবেদন দেবে। অথচ অর্থমন্ত্রী ২৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেন, সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছায় নতুন ব্যাংক হচ্ছে।
রাজনৈতিক ইচ্ছায়ই যদি নতুন ব্যাংক হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমীক্ষার কী প্রয়োজন? সমীক্ষায় নেতিবাচক মত এলে কি সরকার নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থেকে সরে আসবে? ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৩১ ধারায় ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২-এ সরকার বিভিন্ন নির্দেশনার ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা দিতে পারবে বলে যে কথা বলা হয়েছিল, ২০০৩ সালে তা তুলে নেওয়া হয়। ফলে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত হয়।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণায় ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলেছেন, অর্থনীতির আকার বেড়েছে। কতটা বেড়েছে? বর্তমানে দেশে ৪৯টি ব্যাংক আছে, যার মধ্যে ৩০টি বেসরকারি। এ ছাড়া বিদেশি মালিকানাধীন নয়টি ব্যাংক আছে। এসব ব্যাংক গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না—এমন অভিযোগ কোনো মহল থেকেই ওঠেনি। সে ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে এত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন কী? অন্তত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমীক্ষা প্রতিবেদন পর্যন্ত সরকারের অপেক্ষা করা উচিত। অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের অংশ বলে যে মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না। কিন্তু সরকার আইন করে যাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া উচিত। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের বেলায় রাজনৈতিক প্রভাব বা চাপ বাঞ্ছনীয় নয়।
অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার একাধিক মন্দ নজির রয়েছে। দলীয় লোকদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্তও কম নয়। আবার অসাধু উদ্যোক্তাদের পাল্লায় পড়ে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল; যার খেসারত কেবল গ্রাহকদেরই দিতে হয়নি, সরকারকেও দিতে হয়েছে। কোথাও বা প্রশাসক বসিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংক খুললে তা অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার না করে বিপদও ডেকে আনতে পারে।
No comments