কারসাজি করে দাম বাড়ানো বন্ধ করুন-তেল নিয়ে তেলেসমাতি
চট্টগ্রাম বন্দরে ভোজ্যতেলের জাহাজ এসে ভিড়ে আছে, অথচ খালাস করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বাজেটের হাওয়া আর রমজানের আমেজ শুরু হতে না হতেই জিনিসপত্রের দাম চড়তে থাকা যেন ‘নিয়মে’ পরিণত হয়েছে। তবে প্রায়ই তা করা হয় অনিয়ম ও কারসাজির মাধ্যমে।
বন্দরে আসা জাহাজের তেল খালাস না করা তেমনই এক কারসাজি, যা করছেন কোনো কোনো আমদানিকারক। এদের সঙ্গে বন্দরের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে চলেছে। খলের যুক্তির অভাব হয় না, আমদানিকারকদেরও হচ্ছে না। তাঁরা সরকারি শুল্কের দোহাই থেকে শুরু করে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিবিধ অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন। যে ব্যবসায়ীর ভোজ্যতেল খালাসের অপেক্ষায়, তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্য আমদানিকারকেরা ১০ শতাংশ শুল্ক দিলেও তাঁকে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে প্রকৃতই বৈষম্য হয়ে থাকলে দ্রুত তার প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হয়ে থাকলে তার দায় কেন সাধারণ ভোক্তারা ভোগ করবেন?
গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে চট্টগ্রাম বন্দরে দুই আমদানিকারকের তিনটি জাহাজ অলসভাবে সমুদ্রে ভেসে আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়া সত্ত্বেও তারা তেল খালাস করতে জেটিতে আসছে না। আমদানিকারকেরা শুল্ক নিয়ে শুল্ক বিভাগের সঙ্গে ঝামেলার কথা তুলছেন, অথচ শুল্ক বিভাগকে তাঁরা এ নিয়ে কিছুই জানাননি বলে সংবাদে উল্লেখ আছে। তাই দেশের পাইকারি খাদ্যপণ্যের বিরাট বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দুই দিনে সয়াবিনের দাম প্রতি মণে ৬০-৭০ এবং খুচরা বাজারে চার-পাঁচ টাকা বেড়েছে। বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ানো, ক্রেতা অধিকার লঙ্ঘন করা বা মজুদদারি করা অপরাধ। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জিজ্ঞাসা, পণ্য খালাস নিয়ে এসব তেলেসমাতি কবে রহিত হবে? চট্টগ্রামে তেল খালাসে গড়িমসির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভোজ্যতেল অর্থাৎ সয়াবিন ও পাম অয়েলের মতো তেল আবশ্যকীয় উপাদান ছাড়া বাঙালির রান্নাই চলে না। অথচ এসব খাদ্যপণ্য দেশে তেমন উৎপাদিত হয় না। ফলে ভোক্তারা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। সামনে রমজান মাস। এ সময়ে ডাল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। সরকার প্রতিবছর টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য আমদানি করে বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখার কথা বললেও বাস্তবে তার তেমন প্রতিফলন লক্ষ করা যায় না। এ কারণেই এবারে সরকারকে আগেভাগে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাজার নিয়ে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে যতটা সোচ্চার, কার্যক্ষেত্রে ততটাই নিষ্ক্রিয় থাকেন। অতিমুনাফালোভী ও কালোবাজারিদের দাপটের মধ্যে সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম অরক্ষিত রাখা সরকারের দায়িত্বের/প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। বাজার নিয়ন্ত্রণে দুর্বল তদারকি ব্যবস্থাকে সবল ও সচল করতে হবে। এর পাশাপাশি নানা ছলছুতায় যারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও বিকল্প নেই।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে চলেছে। খলের যুক্তির অভাব হয় না, আমদানিকারকদেরও হচ্ছে না। তাঁরা সরকারি শুল্কের দোহাই থেকে শুরু করে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিবিধ অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন। যে ব্যবসায়ীর ভোজ্যতেল খালাসের অপেক্ষায়, তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্য আমদানিকারকেরা ১০ শতাংশ শুল্ক দিলেও তাঁকে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে প্রকৃতই বৈষম্য হয়ে থাকলে দ্রুত তার প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হয়ে থাকলে তার দায় কেন সাধারণ ভোক্তারা ভোগ করবেন?
গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে চট্টগ্রাম বন্দরে দুই আমদানিকারকের তিনটি জাহাজ অলসভাবে সমুদ্রে ভেসে আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়া সত্ত্বেও তারা তেল খালাস করতে জেটিতে আসছে না। আমদানিকারকেরা শুল্ক নিয়ে শুল্ক বিভাগের সঙ্গে ঝামেলার কথা তুলছেন, অথচ শুল্ক বিভাগকে তাঁরা এ নিয়ে কিছুই জানাননি বলে সংবাদে উল্লেখ আছে। তাই দেশের পাইকারি খাদ্যপণ্যের বিরাট বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দুই দিনে সয়াবিনের দাম প্রতি মণে ৬০-৭০ এবং খুচরা বাজারে চার-পাঁচ টাকা বেড়েছে। বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ানো, ক্রেতা অধিকার লঙ্ঘন করা বা মজুদদারি করা অপরাধ। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জিজ্ঞাসা, পণ্য খালাস নিয়ে এসব তেলেসমাতি কবে রহিত হবে? চট্টগ্রামে তেল খালাসে গড়িমসির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভোজ্যতেল অর্থাৎ সয়াবিন ও পাম অয়েলের মতো তেল আবশ্যকীয় উপাদান ছাড়া বাঙালির রান্নাই চলে না। অথচ এসব খাদ্যপণ্য দেশে তেমন উৎপাদিত হয় না। ফলে ভোক্তারা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। সামনে রমজান মাস। এ সময়ে ডাল, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। সরকার প্রতিবছর টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য আমদানি করে বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখার কথা বললেও বাস্তবে তার তেমন প্রতিফলন লক্ষ করা যায় না। এ কারণেই এবারে সরকারকে আগেভাগে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাজার নিয়ে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে যতটা সোচ্চার, কার্যক্ষেত্রে ততটাই নিষ্ক্রিয় থাকেন। অতিমুনাফালোভী ও কালোবাজারিদের দাপটের মধ্যে সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম অরক্ষিত রাখা সরকারের দায়িত্বের/প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। বাজার নিয়ন্ত্রণে দুর্বল তদারকি ব্যবস্থাকে সবল ও সচল করতে হবে। এর পাশাপাশি নানা ছলছুতায় যারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও বিকল্প নেই।
No comments