বিরোধী দলের সংসদে ফেরা-গণতন্ত্রের স্বার্থে সহনশীল হতে হবে
দীর্ঘদিনের বর্জন শেষে সংসদে ফিরতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। প্রধান বিরোধী দল সংসদ অধিবেশনে যোগ দিলে অন্যান্য বিরোধী দলও সংসদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে বলে ধারণা করা যেতে পারে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সংসদ বর্জনের টানা ৮৩ দিন পার হয়ে গেছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সংসদ বর্জনের টানা ৮৩ দিন পার হয়ে গেছে।
নবম সংসদের চলতি অধিবেশনের ৩০ কার্যদিবসসহ মোট ২৮৪ কার্যদিবসে বিএনপির শরিক দলগুলোর অনুপস্থিতি ২৩৩ কার্যদিবস। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতি মাত্র ছয় কার্যদিবস। এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিও ৮৩ দিন হয়ে গেছে। সংবিধান অনুযায়ী স্পিকারের অনুমতি ছাড়া টানা ৯০ দিন সংসদ অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। সেদিক থেকে গত বৃহস্পতিবারের অধিবেশনের পর বিরোধী দলের হাতে আছে আর মাত্র সাত কার্যদিবস। এই সাত কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে ফিরতে হবে বিরোধী দলকে। অন্যদিকে বিরোধী দলকে সংসদে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতেই সংসদ অধিবেশনের সময় বাড়ানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সংসদ হচ্ছে সব কিছুর কেন্দ্র। বিরোধী দল কিংবা সরকারি দল- সবাইকে জনগণ ভোট দিয়ে পাঠিয়েছে। গণতন্ত্রে সংসদের বাইরে থেকে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুললেও সংসদে আসতে হবে। সব কিছুই হতে হবে সংসদের মাধ্যমে। সংসদকে সব বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদই হচ্ছে শেষ আশ্রয়। এর বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করা যায়, বাংলাদেশে বিরোধী দলের সংসদ বর্জন যেন একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। এই রীতির বাইরে যেতে পারছে না বিরোধী দল। সংসদ বর্জনের পক্ষে বিরোধী দলের যুক্তি হচ্ছে, সংসদে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। শোনা হয় না যৌক্তিক কথা। কিন্তু তার পরও সংসদ বর্জন করে থাকার কোনো সুযোগ সংসদীয় গণতন্ত্রে নেই। এখানে সরকারি দল বিরোধী দলকে কোণঠাসা অবস্থায় ফেলে রাখলেও নিজেদের কথা বলার একমাত্র প্লাটফর্ম হচ্ছে সংসদ। সংসদে কথা বলার কোনো সুযোগ পাওয়া না গেলে সে কথাটাও দেশের জনগণকে জানাতে হবে। কিন্তু সংসদ বর্জন করে থাকা ঠিক হবে না। কারণ যাঁরা বিরোধী দলের সদস্যদের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব আছে। সংসদ বর্জন করে সেই দায়িত্ব পালন করা যায় না।
বিরোধী দল সংসদে ফিরছে এই ইতিবাচক আভাসের পর সরকারি দলেরও উচিত হবে সংসদে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা। সংসদে বিরোধী দলেরও অধিকার রয়েছে। কিন্তু কটাক্ষ করে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলকে কোণঠাসা করে রাখাটাও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ধারার বিরোধী। দেশে সমস্যার অন্ত নেই। সমস্যা সমাধানে ও দেশের উন্নয়নে সরকার এবং বিরোধী দলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকার যেমন দেশ পরিচালনা করবে, তেমনি বিরোধী দলকে সরকারের ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিতে হবে। বিরোধী দলের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ সংসদীয় গণতন্ত্রে নেই। অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে বিরোধী দলের ওপর নির্ভর করতে হয়। জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বিরোধী দলকে সরকারের পাশে দাঁড়াতে হয়। বিদেশে এর অনেক উদাহরণ আছে।
রবিবার বিরোধী দলের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকের পর বিরোধী দল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবে। আমরা আশা করতে চাই, এই যোগদানের পর আর বর্জনের জন্য সংসদ বর্জন হবে না। দেশের স্বার্থে সরকার ও বিরোধী দল একযোগে কাজ করে একটি উদাহরণ তৈরি করবে।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সংসদ হচ্ছে সব কিছুর কেন্দ্র। বিরোধী দল কিংবা সরকারি দল- সবাইকে জনগণ ভোট দিয়ে পাঠিয়েছে। গণতন্ত্রে সংসদের বাইরে থেকে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুললেও সংসদে আসতে হবে। সব কিছুই হতে হবে সংসদের মাধ্যমে। সংসদকে সব বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদই হচ্ছে শেষ আশ্রয়। এর বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করা যায়, বাংলাদেশে বিরোধী দলের সংসদ বর্জন যেন একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। এই রীতির বাইরে যেতে পারছে না বিরোধী দল। সংসদ বর্জনের পক্ষে বিরোধী দলের যুক্তি হচ্ছে, সংসদে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। শোনা হয় না যৌক্তিক কথা। কিন্তু তার পরও সংসদ বর্জন করে থাকার কোনো সুযোগ সংসদীয় গণতন্ত্রে নেই। এখানে সরকারি দল বিরোধী দলকে কোণঠাসা অবস্থায় ফেলে রাখলেও নিজেদের কথা বলার একমাত্র প্লাটফর্ম হচ্ছে সংসদ। সংসদে কথা বলার কোনো সুযোগ পাওয়া না গেলে সে কথাটাও দেশের জনগণকে জানাতে হবে। কিন্তু সংসদ বর্জন করে থাকা ঠিক হবে না। কারণ যাঁরা বিরোধী দলের সদস্যদের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব আছে। সংসদ বর্জন করে সেই দায়িত্ব পালন করা যায় না।
বিরোধী দল সংসদে ফিরছে এই ইতিবাচক আভাসের পর সরকারি দলেরও উচিত হবে সংসদে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা। সংসদে বিরোধী দলেরও অধিকার রয়েছে। কিন্তু কটাক্ষ করে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলকে কোণঠাসা করে রাখাটাও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ধারার বিরোধী। দেশে সমস্যার অন্ত নেই। সমস্যা সমাধানে ও দেশের উন্নয়নে সরকার এবং বিরোধী দলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকার যেমন দেশ পরিচালনা করবে, তেমনি বিরোধী দলকে সরকারের ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিতে হবে। বিরোধী দলের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ সংসদীয় গণতন্ত্রে নেই। অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে বিরোধী দলের ওপর নির্ভর করতে হয়। জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বিরোধী দলকে সরকারের পাশে দাঁড়াতে হয়। বিদেশে এর অনেক উদাহরণ আছে।
রবিবার বিরোধী দলের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকের পর বিরোধী দল সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবে। আমরা আশা করতে চাই, এই যোগদানের পর আর বর্জনের জন্য সংসদ বর্জন হবে না। দেশের স্বার্থে সরকার ও বিরোধী দল একযোগে কাজ করে একটি উদাহরণ তৈরি করবে।
No comments