বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ
আজ ১৭ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯২তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ছাড়াও দিনটিকে আজ ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে গড়ব ঐকমত্য, আলোয় আলোয় উঠুক ভরে শিশুর ভবিষ্যৎ’। রাষ্ট্রীয় মর্যাদাসহ নানা আয়োজনে আজ দিনটি পালিত হবে।
এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনায় সব সময় ছিল বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। তাঁর অবদান বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। দিনটিতে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার শপথ নিতে হবে। এ জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’
দিনের কর্মসূচি: জাতির জনকের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালনে আজ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন। সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনাসভা আয়োজিত হবে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোও নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, আটান্নর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। সত্তরের নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করে এবং বঙ্গবন্ধুকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যায়। নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন স্বদেশভূমিতে ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। দিনটিতে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার শপথ নিতে হবে। এ জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’
দিনের কর্মসূচি: জাতির জনকের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালনে আজ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন। সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনাসভা আয়োজিত হবে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোও নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, আটান্নর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সামরিক শাসনবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। সত্তরের নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করে এবং বঙ্গবন্ধুকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যায়। নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন স্বদেশভূমিতে ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি।
No comments