পর্যটনস্থলগুলোতে আরও সতর্কতা জরুরি-সৈকতে মর্মান্তিক মৃত্যু
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমে তিন তরুণের মৃত্যুর ঘটনাটি মর্মান্তিক। তাঁদের সবার বয়সই ছিল ত্রিশের নিচে। অপার সম্ভাবনাময় জীবনের কর্মকোলাহল এমন অকালে এতটা আকস্মিকভাবে থেমে যাবে—ভাবা যায় না। আমরা এই অকালপ্রয়াত তিন তরুণের আত্মার শান্তি কামনা করি, তাঁদের স্বজনেরা এই শোক সামলে নেবেন, এই কামনা করি।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর নতুন নয়, কিন্তু এমন মৃত্যুর প্রতিটি খবরেই আমরা নাড়া খাই, ব্যথিত হই। মনে হয়, এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু যে সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমে গত আট বছরে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৭৫ জন, আর মুমূর্ষু অবস্থার উদ্ধার করা হয়েছে ছয় শতাধিক মানুষকে, সেখানে এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা যতই অনাকাঙ্ক্ষিত হোক, অপ্রত্যাশিত মোটেও নয়। বরং আমাদের সাবধানতা-সতর্কতার ঘাটতিই যেন প্রকটভাবে লক্ষ করা যায়। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এভাবে যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের প্রায় সবাই নবীন, তরুণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া। তাঁরা আনন্দ করতে গিয়ে শিকার হন মর্মান্তিক মৃত্যুর।
তিন তরুণ শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতের সি-ক্রাউন পয়েন্টে যখন নেমেছিলেন, তখন সাগরে ভাটা চলছিল। ভাটার সময় সাগরে নামা বিপজ্জনক—এই মর্মে সতর্কতা জ্ঞাপনের ব্যবস্থা সৈকতে রয়েছে। কিন্তু তাঁরা হয়তো সেটা খেয়াল করেননি; অথবা কেউ তাঁদের নিষেধও করেনি। আসলে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সামান্য যেটুকু ব্যবস্থা রয়েছে, তাঁরা সেখান থেকে বেশ দূরের একটা জায়গায় সাগরে নেমেছিলেন। ওইখানে কিছুদিন আগে একটি গুপ্ত খালের সৃষ্টি হয়েছে; ওই গুপ্ত খালে আটকা পড়েই তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাটি দুর্ঘটনা হলেও তা যে অনিবার্য ছিল, এমন কথা বলা যায় না। সৈকতের যেসব স্থানে পর্যটকদের চলাচল রয়েছে, তার সর্বত্র লাইফগার্ড থাকলে, জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ বিজ্ঞপ্তি বা সতর্কবাণী থাকলে অনেকেই সচেতন হতে পারতেন, ঝুঁকিগুলো এড়াতে পারতেন।
দুঃখের বিষয়, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তাবিধানের জন্য সরকারি কোনো ব্যবস্থা নেই; যে কয়েকটি লাইফগার্ড সংস্থা সেখানে কাজ করে, তার সবই বেসরকারি। আমরা মনে করি, সরকারি লাইফগার্ডের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আর যেটা করা দরকার তা হলো, সৈকতের বিভিন্ন স্থানে যেহেতু গুপ্ত খাল সৃষ্টি হয়েছে, তাই একটি নিরাপদ এলাকা বাছাই করে সাগরের জলসীমার একটি অংশ জাল দিয়ে ঘেরাও করে গোসল বা সাঁতারের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া। এ ধরনের মর্মান্তিক প্রাণহানি পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পর্যটকদের নিজেদেরও সচেতনতা প্রয়োজন, বিশেষত তরুণ পর্যটকদের।
তিন তরুণ শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতের সি-ক্রাউন পয়েন্টে যখন নেমেছিলেন, তখন সাগরে ভাটা চলছিল। ভাটার সময় সাগরে নামা বিপজ্জনক—এই মর্মে সতর্কতা জ্ঞাপনের ব্যবস্থা সৈকতে রয়েছে। কিন্তু তাঁরা হয়তো সেটা খেয়াল করেননি; অথবা কেউ তাঁদের নিষেধও করেনি। আসলে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সামান্য যেটুকু ব্যবস্থা রয়েছে, তাঁরা সেখান থেকে বেশ দূরের একটা জায়গায় সাগরে নেমেছিলেন। ওইখানে কিছুদিন আগে একটি গুপ্ত খালের সৃষ্টি হয়েছে; ওই গুপ্ত খালে আটকা পড়েই তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাটি দুর্ঘটনা হলেও তা যে অনিবার্য ছিল, এমন কথা বলা যায় না। সৈকতের যেসব স্থানে পর্যটকদের চলাচল রয়েছে, তার সর্বত্র লাইফগার্ড থাকলে, জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ বিজ্ঞপ্তি বা সতর্কবাণী থাকলে অনেকেই সচেতন হতে পারতেন, ঝুঁকিগুলো এড়াতে পারতেন।
দুঃখের বিষয়, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তাবিধানের জন্য সরকারি কোনো ব্যবস্থা নেই; যে কয়েকটি লাইফগার্ড সংস্থা সেখানে কাজ করে, তার সবই বেসরকারি। আমরা মনে করি, সরকারি লাইফগার্ডের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আর যেটা করা দরকার তা হলো, সৈকতের বিভিন্ন স্থানে যেহেতু গুপ্ত খাল সৃষ্টি হয়েছে, তাই একটি নিরাপদ এলাকা বাছাই করে সাগরের জলসীমার একটি অংশ জাল দিয়ে ঘেরাও করে গোসল বা সাঁতারের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া। এ ধরনের মর্মান্তিক প্রাণহানি পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পর্যটকদের নিজেদেরও সচেতনতা প্রয়োজন, বিশেষত তরুণ পর্যটকদের।
No comments