রহিমদের ‘বাদশা’ হওয়া ঠেকাবে কে?-শেয়ারবাজারের ‘রহিম বাদশা’
শেয়ারবাজারে বড় ধরনের কারসাজি হয়েছে, এ তো সবারই জানা। অন্তত সেই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ভালো করেই জানেন, যাঁরা এ বাজারে বিনিয়োগ করে এখন পথে বসেছেন। এই কারসাজি বড় ও নানামুখী। তা না হলে পুঁজিবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা হাওয়া করে দেওয়া কি মুখের কথা! বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম এসেছে এই
কারসাজির সঙ্গে। এখন শোনা গেল এক ‘রহিম বাদশার’ কথা, শেয়ারবাজারে তাঁর কীর্তি রূপবান ছবির মতোই এক রূপকথা। তিনি বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
আসল নাম আবদুর রহিম হলেও কারসাজিতে সফল এই ‘নায়কের’ নাম শেয়ারবাজারের সবার কাছে এখন রহিম বাদশা। কাগজে-কলমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুর রহিম কীভাবে শেয়ারবাজারে কারসাজি করেছেন, তা জানা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক তদন্তে। তিনি কীভাবে ছোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়ে কারসাজির মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছেন, তা বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। যে শেয়ারের দাম বাড়ার কথা নয়, তা-ই তিনি বাড়িয়েছেন নিজেই কেনাবেচা করে, দাম যে আরও বাড়বে, তা ছড়িয়ে দিয়েছেন এসএমএসের মাধ্যমে। সুযোগ বুঝে বিক্রি করে বের হয়ে গেছেন।
ডিএসইর অনুসন্ধানে রহিম বাদশাবিষয়ক যে তথ্য বের হয়েছে, তা এসইসিকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই। এসইসির পক্ষ থেকে আশ্বাসও মিলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত একজন ‘বাদশার’ বিরুদ্ধে কতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, আমরা জানি না। তবে যেকোনো গল্পেরই ‘মরাল অব দ্য টেল’ বলে একটি বিষয় থাকে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য রহিম বাদশার গল্পের উপদেশটা তবে কী? শেয়ারবাজারে ‘রহিম বাদশারা’ ছিলেন, আছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। রহিম বাদশার কৌশল যেহেতু সবাই জেনে গেছে, তাই নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হতে পারেন অন্য কোনো ‘বাদশা’। তাই চোখ-কান খোলা রেখে ও ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করতে হবে—এটাই হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের প্রতি উপদেশ। কিন্তু রহিমদের ‘বাদশা’ হওয়া ঠেকানোর কি তবে কোনো পথ নেই? পুনর্গঠিত বর্তমান এসইসি যদি ‘সর্ষের মধ্যে ভূতের’ অবস্থা থেকে সরে আসতে পারে, তবে আবদুর রহিমদের ‘রহিম বাদশা’ হয়ে ওঠা কঠিন হবে।
আসল নাম আবদুর রহিম হলেও কারসাজিতে সফল এই ‘নায়কের’ নাম শেয়ারবাজারের সবার কাছে এখন রহিম বাদশা। কাগজে-কলমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুর রহিম কীভাবে শেয়ারবাজারে কারসাজি করেছেন, তা জানা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক তদন্তে। তিনি কীভাবে ছোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়ে কারসাজির মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছেন, তা বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। যে শেয়ারের দাম বাড়ার কথা নয়, তা-ই তিনি বাড়িয়েছেন নিজেই কেনাবেচা করে, দাম যে আরও বাড়বে, তা ছড়িয়ে দিয়েছেন এসএমএসের মাধ্যমে। সুযোগ বুঝে বিক্রি করে বের হয়ে গেছেন।
ডিএসইর অনুসন্ধানে রহিম বাদশাবিষয়ক যে তথ্য বের হয়েছে, তা এসইসিকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই। এসইসির পক্ষ থেকে আশ্বাসও মিলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত একজন ‘বাদশার’ বিরুদ্ধে কতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, আমরা জানি না। তবে যেকোনো গল্পেরই ‘মরাল অব দ্য টেল’ বলে একটি বিষয় থাকে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য রহিম বাদশার গল্পের উপদেশটা তবে কী? শেয়ারবাজারে ‘রহিম বাদশারা’ ছিলেন, আছেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। রহিম বাদশার কৌশল যেহেতু সবাই জেনে গেছে, তাই নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হতে পারেন অন্য কোনো ‘বাদশা’। তাই চোখ-কান খোলা রেখে ও ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করতে হবে—এটাই হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের প্রতি উপদেশ। কিন্তু রহিমদের ‘বাদশা’ হওয়া ঠেকানোর কি তবে কোনো পথ নেই? পুনর্গঠিত বর্তমান এসইসি যদি ‘সর্ষের মধ্যে ভূতের’ অবস্থা থেকে সরে আসতে পারে, তবে আবদুর রহিমদের ‘রহিম বাদশা’ হয়ে ওঠা কঠিন হবে।
No comments