বিপন্ন নদ-নদী-দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি
নদীমাতৃক বাংলাদেশের পরিচয়টিই যেন ঘুচে যাচ্ছে। এর বহুমুখী বিরূপ প্রভাব ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। ৬ মার্চ কালের কণ্ঠসহ একটি সহযোগী দৈনিকে এ সম্পর্কিত কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আমাদের কয়েকটি নদ-নদীর সংযোগ রয়েছে।
ভারত অনেক ক্ষেত্রেই এসব নদ-নদী থেকে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে- এ অভিযোগ পুরনো। পানির নায্য হিস্যা নিয়ে দেনদরবারও চলছে। কিন্তু সব কিছুই ঝুলে আছে, অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ এযাবৎকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। চুক্তি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ২৪টি লো-লিফট পাম্পের সাহায্যে ফেনী নদী থেকে অবিরাম পানি তোলার পর এটার নানা কৌশলে প্রতিদিন আরো দুই কিউসেক পানি নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। দেশের নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়ার এসব কারণের পাশাপাশি রয়েছে নদ-নদীর খনন কার্যক্রম নিয়মিত না হওয়া, ক্ষমতাবান দখলদার কর্তৃক নদ-নদী দখল, চর জেগে ওঠা ইত্যাদি। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে নদ-নদীর গুরুত্ব সর্বাধিক। জনজীবনের বহুমাত্রিক প্রয়োজনেও নদ-নদীর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। নদ-নদীর বিপন্ন দশা পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। এবার এই ভর সেচ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি না থাকায় কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা পড়েছে হুমকির মুখে। এর ধাক্কা গিয়ে পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতেও। নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কিংবা নদ-নদীতে পানি না থাকার কুফল আরো বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে- এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। কূটনৈতিক পর্যায়ে নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা জোরদার করার পাশাপাশি সরকারকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ভেবে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে অনতিবিলম্বে।
দখলমুক্ত করার পাশাপাশি ভরাট হয়ে যাওয়া নদ-নদীতে খনন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। খরা মৌসুমে সব শুকিয়ে যাচ্ছে আর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবন সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারণ নদ-নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নদ-নদীর বিপন্ন দশা কাটাতে হবে। দূষণের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই দূরদর্শী পরিকল্পিত উদ্যোগ। যেসব সংযোগ নদী থেকে ভারত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পানি নিয়ে যাচ্ছে, তাও ঠেকাতে হবে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে। এসব কোনো কিছু নিয়েই কালক্ষেপণের কোনো অবকাশ নেই। পানি বাস্তবিক কারণেই অনেক বড় সম্পদ। এ সম্পদের উৎস বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ এযাবৎকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। চুক্তি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ২৪টি লো-লিফট পাম্পের সাহায্যে ফেনী নদী থেকে অবিরাম পানি তোলার পর এটার নানা কৌশলে প্রতিদিন আরো দুই কিউসেক পানি নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। দেশের নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়ার এসব কারণের পাশাপাশি রয়েছে নদ-নদীর খনন কার্যক্রম নিয়মিত না হওয়া, ক্ষমতাবান দখলদার কর্তৃক নদ-নদী দখল, চর জেগে ওঠা ইত্যাদি। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে নদ-নদীর গুরুত্ব সর্বাধিক। জনজীবনের বহুমাত্রিক প্রয়োজনেও নদ-নদীর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। নদ-নদীর বিপন্ন দশা পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। এবার এই ভর সেচ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি না থাকায় কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা পড়েছে হুমকির মুখে। এর ধাক্কা গিয়ে পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতেও। নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কিংবা নদ-নদীতে পানি না থাকার কুফল আরো বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে- এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। কূটনৈতিক পর্যায়ে নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা জোরদার করার পাশাপাশি সরকারকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ভেবে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে অনতিবিলম্বে।
দখলমুক্ত করার পাশাপাশি ভরাট হয়ে যাওয়া নদ-নদীতে খনন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। খরা মৌসুমে সব শুকিয়ে যাচ্ছে আর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবন সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারণ নদ-নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নদ-নদীর বিপন্ন দশা কাটাতে হবে। দূষণের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই দূরদর্শী পরিকল্পিত উদ্যোগ। যেসব সংযোগ নদী থেকে ভারত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পানি নিয়ে যাচ্ছে, তাও ঠেকাতে হবে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে। এসব কোনো কিছু নিয়েই কালক্ষেপণের কোনো অবকাশ নেই। পানি বাস্তবিক কারণেই অনেক বড় সম্পদ। এ সম্পদের উৎস বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
No comments