সদস্যপদ রক্ষার জন্য গেলে সেটি মন্দ নজির হবে-বিরোধী দলের সংসদে যোগদান
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির একজন সাংসদের বরাত দিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, রোববার জাতীয় সংসদের সভাকক্ষে বিএনপির সংসদীয় দলের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে সাংসদেরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে ওই দিনই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির সাংসদেরা সংসদের চলতি অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন।
একই সঙ্গে এও জানা গেছে, বিএনপি এ রকম সিদ্ধান্ত নিলে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও এলডিপির সাংসদেরা একই দিনে অধিবেশনে যোগ দেবেন। এটি একটি আশাব্যঞ্জক সংবাদ। দুই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক জোটের মধ্যে রাজপথে সম্প্রতি যে পাল্টাপাল্টি শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তাতে জনমনে নানা অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এখন বিরোধী দল সংসদে যোগ দিয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় বসলে সেটাই হবে রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তি ও জনগণের মঙ্গলার্থে একটি ন্যূনতম কার্যকর সমঝোতায় পৌঁছার প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক পথ।
আমাদের প্রত্যাশা, প্রধান বিরোধী দল সংসদে তাদের সব অভিযোগ, প্রস্তাব, দাবি তুলে ধরবে এবং সেসবের পক্ষে তাদের যুক্তিগুলো জোরের সঙ্গে উত্থাপন করবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার নিশ্চিত করবেন, বিরোধীদলীয় সাংসদেরা যেন সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী নিজ নিজ প্রাপ্য সময় ধরে কথা বলতে পারেন, কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হন। বিরোধী দলের একজন সদস্যও যেন এমন অভিযোগ তুলতে না পারেন যে সংসদে তাঁদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। সরকারি দলের সাংসদদের কাছ থেকেও আমরা প্রাসঙ্গিক আলোচনা, যুক্তি, পাল্টা যুক্তি প্রত্যাশা করি। সরকারি দলের সাংসদদের কথায় ও আচরণে এমন আন্তরিকতা প্রত্যাশিত যে বিরোধী দল সংসদে আসায় তাঁরা আনন্দিত হয়েছেন, এবং বিরোধী দলের সাংসদদের এই ফিরে আসা যেন স্থায়ী হয়, সে লক্ষ্যে তাঁরা তাঁদের কথাগুলো মন দিয়ে শুনবেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কী ধরনের সরকারব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে—এটিই এখনকার মূল বিতর্কের বিষয়। সংসদের বাইরে বিরোধী দল দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না। তার বিপরীতে সরকারপক্ষ দৃঢ়ভাবে বলে আসছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তনে তারা রাজি নয়। দুই পক্ষের অবস্থানই এখন পর্যন্ত অনড় বলে মনে হচ্ছে, এবং এটাই জনসাধারণের জন্য সবচেয়ে বড় ভাবনার বিষয়। গণতন্ত্র হচ্ছে আপসের শিল্পকলা; গণতন্ত্রে সব পক্ষকেই অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে কিছু ছাড় দিতে হয়; আপস-সমঝোতা ছাড়া গণতন্ত্র কার্যকর হতে পারে না। তাই বিরোধী দলকে আন্তরিকতা দেখাতে হবে যে তারা সত্যিকার অর্থেই একটা সমাধানের লক্ষ্যে সংসদে যোগ দিচ্ছে। জনগণের যেন মনে না হয়, এখানো কোনো লোক দেখানো ব্যাপার থাকতে পারে। একইভাবে সরকারি দলকেও একই রকম আন্তরিকতা দেখাতে হবে যে তারাও চায় গণতন্ত্র সচল থাকুক, সংসদ সত্যিকার অর্থে কার্যকর হোক।
আমাদের প্রত্যাশা, প্রধান বিরোধী দল সংসদে তাদের সব অভিযোগ, প্রস্তাব, দাবি তুলে ধরবে এবং সেসবের পক্ষে তাদের যুক্তিগুলো জোরের সঙ্গে উত্থাপন করবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার নিশ্চিত করবেন, বিরোধীদলীয় সাংসদেরা যেন সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী নিজ নিজ প্রাপ্য সময় ধরে কথা বলতে পারেন, কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হন। বিরোধী দলের একজন সদস্যও যেন এমন অভিযোগ তুলতে না পারেন যে সংসদে তাঁদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। সরকারি দলের সাংসদদের কাছ থেকেও আমরা প্রাসঙ্গিক আলোচনা, যুক্তি, পাল্টা যুক্তি প্রত্যাশা করি। সরকারি দলের সাংসদদের কথায় ও আচরণে এমন আন্তরিকতা প্রত্যাশিত যে বিরোধী দল সংসদে আসায় তাঁরা আনন্দিত হয়েছেন, এবং বিরোধী দলের সাংসদদের এই ফিরে আসা যেন স্থায়ী হয়, সে লক্ষ্যে তাঁরা তাঁদের কথাগুলো মন দিয়ে শুনবেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কী ধরনের সরকারব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে—এটিই এখনকার মূল বিতর্কের বিষয়। সংসদের বাইরে বিরোধী দল দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না। তার বিপরীতে সরকারপক্ষ দৃঢ়ভাবে বলে আসছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তনে তারা রাজি নয়। দুই পক্ষের অবস্থানই এখন পর্যন্ত অনড় বলে মনে হচ্ছে, এবং এটাই জনসাধারণের জন্য সবচেয়ে বড় ভাবনার বিষয়। গণতন্ত্র হচ্ছে আপসের শিল্পকলা; গণতন্ত্রে সব পক্ষকেই অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে কিছু ছাড় দিতে হয়; আপস-সমঝোতা ছাড়া গণতন্ত্র কার্যকর হতে পারে না। তাই বিরোধী দলকে আন্তরিকতা দেখাতে হবে যে তারা সত্যিকার অর্থেই একটা সমাধানের লক্ষ্যে সংসদে যোগ দিচ্ছে। জনগণের যেন মনে না হয়, এখানো কোনো লোক দেখানো ব্যাপার থাকতে পারে। একইভাবে সরকারি দলকেও একই রকম আন্তরিকতা দেখাতে হবে যে তারাও চায় গণতন্ত্র সচল থাকুক, সংসদ সত্যিকার অর্থে কার্যকর হোক।
No comments