রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-আহত ছাত্রলীগকর্মীর মৃত্যু, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) গত সোমবার প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল আজিজ খান গতকাল শুক্রবার মারা গেছেন। এ ঘটনার পর উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। আবাসিক ছাত্রদের গতকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে এবং আবাসিক ছাত্রীদের আজ শনিবার দুপুরের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপাচার্য সিরাজুল করিম প্রথম আলোকে জানান, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীসহ সবার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তী সময়ে ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হবে।
নিহত আবদুল আজিজ খান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার বাড়াই-ভিকরা গ্রামে। তাঁর বাবা আতাউর রহমান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তিন ভাইয়ের মধ্যে আজিজ ছিলেন মেজ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, আজিজ খান গত সোমবার তাঁর বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রনির সঙ্গে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় যান নাশতা করার জন্য। এ সময় সেলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব, পলাশ, জয়সহ ছয়-সাতজনের সঙ্গে প্রথমে তাঁদের বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনি ও আজিজকে তাঁরা লাঠি ও লোহার রোড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
আজিজের ভাই আলিম খান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় আজিজকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে বৃহস্পতিবার নিজ বাড়ির পাশে সাভারের হাবিব ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আলিম খান বলেন, শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁর ভাইকে মাথায় লোহার রোড ও হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে পেটায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন জানান, এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপাচার্য সিরাজুল করিম প্রথম আলোকে জানান, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীসহ সবার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তী সময়ে ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হবে।
নিহত আবদুল আজিজ খান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার বাড়াই-ভিকরা গ্রামে। তাঁর বাবা আতাউর রহমান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তিন ভাইয়ের মধ্যে আজিজ ছিলেন মেজ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, আজিজ খান গত সোমবার তাঁর বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রনির সঙ্গে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় যান নাশতা করার জন্য। এ সময় সেলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব, পলাশ, জয়সহ ছয়-সাতজনের সঙ্গে প্রথমে তাঁদের বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনি ও আজিজকে তাঁরা লাঠি ও লোহার রোড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
আজিজের ভাই আলিম খান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় আজিজকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে বৃহস্পতিবার নিজ বাড়ির পাশে সাভারের হাবিব ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আলিম খান বলেন, শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁর ভাইকে মাথায় লোহার রোড ও হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে পেটায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হোসেন জানান, এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments