হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসুন-নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার সুযোগ নেই। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দেন তিনি। একই দিন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের
বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ইতিমধ্যে তারা ৫ জুন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে। সরকার ও বিরোধী দলের এই মুখোমুখি অবস্থানে আমরা উদ্বিগ্ন। সরকারের অনড় অবস্থান কিংবা বিরোধী দলের হরতাল আহ্বান পরিস্থিতিকে নিঃসন্দেহে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে, যা কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকেই অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সেই রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হলেও আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ উপেক্ষণীয় নয়। আমরা বিরোধী দলের হরতাল আহ্বানের তীব্র বিরোধিতা করি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হরতাল-অবরোধ হলো শেষ রাজনৈতিক অস্ত্র। জাতীয় সংসদে না গিয়ে, জনমত গঠন না করে দেশবাসীর ওপর বিরোধী দলের হরতাল চাপিয়ে দেওয়া কেবল অনৈতিক নয়, জবরদস্তিও। হরতালে সরকারের পতন হয় না, অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়, জনদুর্ভোগ বাড়ে।
এ অবস্থায় সরকার ও বিরোধী দল—উভয়ের কাছে নমনীয় আচরণ প্রত্যাশিত। জনগণের জন্য যাঁরা রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন, তাঁদের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে সেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, দেশ পিছিয়ে যায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হয় প্রশ্নবিদ্ধ।
আমরা মনে করি, আলোচনার পথ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অনন্তকাল চলতে পারে না। আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে, যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়। নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার সংস্থা ও উপনির্বাচনগুলোও মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছে। তবে এখনো কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছে বলা যায় না। আশা করা যায়, আরও দু-একটি জাতীয় নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে না।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার বিকল্প নেই। নির্বাচন বা যেকোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ থাকতে পারে। এর ফয়সালা কোথায় হবে? সংসদই এর উপযুক্ত স্থান। বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বিএনপি সংসদে এসে কোনো প্রস্তাব দিলে তা বিবেচনা করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে হরতাল প্রত্যাহার করে বিরোধী দল সংসদে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য রাখবে—এটাই প্রত্যাশিত। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই যদি সরকার ও বিরোধী দলের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তা হলে সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকেই অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সেই রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হলেও আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ উপেক্ষণীয় নয়। আমরা বিরোধী দলের হরতাল আহ্বানের তীব্র বিরোধিতা করি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হরতাল-অবরোধ হলো শেষ রাজনৈতিক অস্ত্র। জাতীয় সংসদে না গিয়ে, জনমত গঠন না করে দেশবাসীর ওপর বিরোধী দলের হরতাল চাপিয়ে দেওয়া কেবল অনৈতিক নয়, জবরদস্তিও। হরতালে সরকারের পতন হয় না, অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়, জনদুর্ভোগ বাড়ে।
এ অবস্থায় সরকার ও বিরোধী দল—উভয়ের কাছে নমনীয় আচরণ প্রত্যাশিত। জনগণের জন্য যাঁরা রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন, তাঁদের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে সেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, দেশ পিছিয়ে যায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হয় প্রশ্নবিদ্ধ।
আমরা মনে করি, আলোচনার পথ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অনন্তকাল চলতে পারে না। আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে, যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়। নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার সংস্থা ও উপনির্বাচনগুলোও মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছে। তবে এখনো কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছে বলা যায় না। আশা করা যায়, আরও দু-একটি জাতীয় নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে না।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার বিকল্প নেই। নির্বাচন বা যেকোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ থাকতে পারে। এর ফয়সালা কোথায় হবে? সংসদই এর উপযুক্ত স্থান। বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বিএনপি সংসদে এসে কোনো প্রস্তাব দিলে তা বিবেচনা করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে হরতাল প্রত্যাহার করে বিরোধী দল সংসদে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য রাখবে—এটাই প্রত্যাশিত। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই যদি সরকার ও বিরোধী দলের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তা হলে সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
No comments