চালচিত্র-সংবিধান ছুড়ে ফেলাই নয়, নানান হুমকি আর অমঙ্গলের পদধ্বনি by শুভ রহমান

চারদিকে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য, হানাহানি, একেবারে পরপর নারী নির্যাতন, বিশেষ করে নৃশংস যৌন নির্যাতনে বিপুলসংখ্যক কিশোরী ও নারীর অসহায় শিকার হওয়া, আর অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনাও হঠাৎ করে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে। এগুলো যে অকারণে ঘটছে, সচেতন মানুষ তা মনে করতে পারছে না।


অদৃশ্য কোনো সুতার টানেই যেন একেবারে গোপালগঞ্জকেই বেছে নিয়ে সেখানে দুই গ্রুপের প্রচণ্ড হানাহানি বেধে গেল। সাভারের আমিনবাজারে শবেবরাতের রাতে নিছক বেড়াতে যাওয়া মেধাবী ছয় কিশোর ছাত্রকে ডাকাত বলে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হলো। তার আগে মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে ৪৪ কিশোর শিক্ষার্থীর প্রাণহানি গোটা জাতিকে এখনো শোকবিহ্বল করে রেখেছে। আর এর মধ্যেই কোথাও কিছু নেই নির্মীয়মাণ দালানের ইট মাথায় ভেঙে পড়ে অকালে মৃত্যু ঘটে গেল এক কলেজছাত্রের। আবার, আগারগাঁওয়ে রিকশারোহী তরুণ সাংবাদিক বেলাল আহমেদ পেছন থেকে মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করে নাগরিক মানুষের জীবনের নিরাপত্তাহীনতাকে একেবারে চরম প্রশ্নের সম্মুখীন করে গেলেন। কিভাবে এসব ঘটছে, কোথাও নিয়মশৃঙ্খলা বা নিয়ন্ত্রণ কেন ঠিকমতো কাজ করছে না, এ প্রশ্ন জনমানুষের মনে যখন সুতীব্র হয়ে উঠছে, তখনই বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া সব দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সীমা ছাড়িয়ে দেশের সংসদে সংশোধিত সংবিধানকে ক্ষমতায় যেতে পারলে ছুড়ে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দিয়ে বসেছেন। একদিকে সামাজিক অস্থিরতা ও নৈতিক অবক্ষয়, অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার এমন নগ্ন বহিঃপ্রকাশ দেশবাসীর মনকে অজানা আশঙ্কায় ভরিয়ে তুলছে। একটা অমঙ্গলের পদধ্বনি যেন শোনা যাচ্ছে। এ দেশে যতবারই অসাংবিধানিক শাসন চেপে বসেছে, নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অনুষদ হিসেবে সব সময়ই সামাজিক বিশৃঙ্খলা আর সংঘাত চরম আকার ধারণ করতে দেখা গেছে।
এ দেশের মানুষের এ রকম প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাই আছে, দেশ ও রাষ্ট্রের কিছু একটা বিপদ ঘনিয়ে এলে চারদিকে এ রকম আকস্মিক সব বিশৃঙ্খলা-সংঘাত-মৃত্যু ঘটতে শুরু করে। এর নেপথ্য কারণ বা প্রকৃত দায়ীকে খুঁজে বের করতে করতেই সেই সমূহ বিপদ একেবারে ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে। বিপদটা যেন ওত পেতেই থাকে এমন বিশৃঙ্খল একটা অবস্থা সৃষ্টির অপেক্ষায়। আমার তাই গেলবারের লেখায় শুধু শাসক মহাজোট নয়, গোটা প্রজাতন্ত্র তথা দেশ ও রাষ্ট্রকেই যেন টার্গেট করার একটা নেপথ্য ষড়যন্ত্র পাকিয়ে ওঠার যে আশঙ্কার কথা বলেছিলাম, সেটা নিছক অমূলক আর কল্পনাপ্রসূত মনে করতে পারছি না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে স্পেনে ফ্যাসিস্ট আগ্রাসনকে রুখতে ক্ষমতাসীন সাধারণতন্ত্র বা গণপ্রজাতন্ত্রকে রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক লেখক ব্রিগেড ফ্যাসিস্ট ফ্রাংকোর গণহত্যার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে রুখে দাঁড়িয়েছিল। শহীদ হয়েছিলেন র‌্যালফ ফকস, কডওয়েল প্রমুখ বরেণ্য সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী। এখানে এখন সে রকম ফ্যাসিবিরোধী প্রতিরোধ-সংগ্রাম গড়ে ওঠার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, যদিও এখন পর্যন্ত শাসক মহাজোটের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভিত্তি ব্যাপক ও সুদৃঢ়ই রয়েছে। অথচ একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্র আজ সত্যিই একটা ফ্যাসিস্ট হুমকির সম্মুখীন।
প্রধানমন্ত্রী সৌজন্যের খতিরেও এখনো আশাবাদী মনোভাব অক্ষুণ্ন রেখে বিরোধীদলীয় নেতার আচরণকে যতই নিছক অশালীন আর অপ্রত্যাশিত বলে লঘু করার চেষ্টা করুন, বিরোধীদলীয় নেতার উক্তির ভেতর দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও ফ্যাসিবাদী মনোভাবের যে প্রকাশ ঘটে গেছে, তা অত্যাসন্ন কোনো বিপদেরই আভাস দিচ্ছে।
কাণ্ডজ্ঞানের কথাটাও কি সংবিধানে লেখা থাকতে হবে!
'সংবিধান ছুড়ে ফেলা যাবে না-এমন কথা সংবিধানে লেখা নেই।' 'সংবিধান সম্পর্কে কোনো কিছু বললেই, সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়ার কথা বললেই তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হবে কেন?', 'সংবিধানে এ জন্য সর্বোচ্চ দণ্ড তথা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।'-বিজ্ঞ ব্যারিস্টার এবং বহু দলে বিচরণ করে ফেরা বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ও ভাষণে অগ্র-পশ্চাৎ না ভেবেই নিজ দলের নেত্রীকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে এমন বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর এই ডিফেন্স কাউন্সেলিংয়ে জাতি থ। কী, বলছেন কী! সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়া যে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, এটা তো একটা কাণ্ডজ্ঞানের কথা। সেটাও সংবিধানে লেখা থাকতে হবে! তারও আইনগত ভিত্তি দরকার! তা না হলে সংবিধান সত্যিই ছুড়ে ফেলে দেওয়াও চলতে পারে! অদ্ভুত যুক্তি বটে।
দেশের সাম্প্রতিক গণঅনশন কর্মসূচি পালনকালে প্রধান বিরোধী দলের নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্ভবত ঝোঁকের মাথায় কিংবা হতাশা ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে মুখ ফসকেই বলে ফেলেছেন, ভবিষ্যতে এই সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় খুব একটা সুস্থ মস্তিষ্কে যে এ রকম অর্বাচীনসুলভ কথা, যা কারো পক্ষে, বিশেষ করে কোনো জনপ্রতিনিধির পক্ষে বলা সম্ভব, সেটাই কারো কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে না। অথচ সেই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাই সবার চোখের সামনে ঘটে গেছে। টিভি চ্যানেলগুলোতে এবং পরদিন জাতীয় দৈনিকগুলোতে এ কথা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। স্বভাবিকভাবেই খুবই তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে জনমনে এ কথায়।
প্রথম দিন হয়তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতার এহেন উক্তিতে কিছুটা বিমূঢ় হয়ে পড়ে লঘুভাবে মন্তব্য করেছিলেন, সংবিধান ছুড়ে ফেলার মতো 'অশালীন' বক্তব্য 'অপ্রত্যাশিত'। কিন্তু ব্যাপারটি যে শুধু অশালীন আর অপ্রত্যাশিতই নয়, রীতিমতো রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সংবিধানবিশারদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের চক্ষু-উন্মীলক প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি বোধ করি এর সম্যক গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন। তার পরই প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় দফায় এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য রেখেছেন।
আসলে বিষয়টি ঠিক তা-ই। সংবিধানে লিখে রাখতে হয় না, সংবিধান ছুড়ে ফেলা যাবে না, ছুড়ে ফেললে তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহ। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তো যথার্থই বলেছেন, 'সংবিধান মানে স্বাধীনতা, সংবিধান মানে ৩০ লাখ শহীদ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত। তাহলে কি খালেদা জিয়া সংবিধান ছুড়ে ফেলার মাধ্যমে এ সবই ছুড়ে ফেলবেন? সংবিধান ছুড়ে ফেললে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। পাকিস্তান হয়ে যাবে। এ দেশ পাকিস্তান হয়ে যাক, জনগণ তা কখনো চান না।' (নয়া দিগন্ত, রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১১)
আসলেও সংবিধান নিয়ে খেলা, কোনো তামাশা চলে না। সংবিধান জনগণের আমানত, দেশ ও রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ দলিল। সংবিধান সংশোধন আর ছুড়ে ফেলা এক কথা নয়। সংবিধানের গণতন্ত্রায়ন যেমন হতে পারে, তেমনি প্রতিক্রিয়াশীল ধারা যোগ করে সংবিধানকে প্রতিক্রিয়াশীলও করে ফেলা যায়। গণতান্ত্রিক সংবিধান দেশকে এগিয়ে নেয়, প্রতিক্রিয়াশীল সংবিধান দেশকে পেছনে ঠেলে দেয়। বাহাত্তরের সংবিধান সবচেয়ে আদর্শ গণতান্ত্রিক সংবিধান। পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম সংশোধনী একে প্রতিক্রিয়াশীল সংবিধানে পরিণত করেছে। সর্বোচ্চ আদালত পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র অনেকখানি ফিরিয়ে দিয়েছেন। পঞ্চদশ সংশোধনী বাহাত্তরের গণতান্ত্রিক সংবিধানকে বহুলাংশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতিহাসে সংবিধান লঙ্ঘন ও অবমাননার অপরাধে ফাঁসি, গিলোটিন এবং ফায়ারিং স্কোয়াডে সর্বোচ্চ দণ্ড কার্যকর করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। সংবিধানের পরিপূর্ণ গণতন্ত্রায়নই দেশবাসীর কাম্য; এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষেই মাত্র সংবিধানের পূর্ণ গণতন্ত্রায়ন তথা গণতান্ত্রিক সংবিধান কায়েম করা সম্ভব।
আমরা আমাদের গেলবারের লেখায় পুরান ঢাকার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে দেখিয়েছিলাম, কিভাবে সমাজের ভেতরে ভেতরে জামায়াত-শিবিরের গোপন পাকিস্তানপন্থী ও জঙ্গি সৃষ্টির অপতৎপরতা চলছে। বিরোধীদলীয় নেতা বা তাঁর দলের দায়িত্বশীলদের কথাবার্তা, আচার-আচরণে ওই ধরনের নেপথ্য তৎপরতার কোনো ইন্ধন আছে কি না, সময় থাকতে সে ব্যাপারেও মহাজোট সরকারের সন্ধানী কার্যক্রম চালানো উচিত। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আবার ইতিমধ্যে মহাজোটে ফাটল ধরাতে এরশাদ এবং তাঁর দলের মহাজোট ছেড়ে বিরোধী শিবিরে যোগদানের বিভ্রান্তিকর এক আভাসও বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন। স্ট্র্যাটেজিটা মনে হচ্ছে, একদিকে পাকিস্তানি পতাকা পেছনে লুকিয়ে রেখে বাইরে গণতান্ত্রিক চেহারার একটা ভালোমানুষি মুখোশ ধারণ করে বর্তমান সংগ্রামের স্তরকে হঠাৎ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বদলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এক নবতর খেলার সূচনা করা। মওদুদ সাহেব সেই কাজটি শুরু করে দিয়েছেন।
বাহাত্তরের সংবিধান, যা ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সমৃদ্ধ ফসল, মানুষ যাতে সেদিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তিনি সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভ্রান্ত এক ধারণা নিয়ে মানুষ যাতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের বিধান, পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী তথা হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ও সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা, ধর্মনিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রভৃতির বিরোধিতা করে সেই অসম্ভব ও ব্যর্থ প্রচেষ্টায় মেতেছে বিএনপি।
মানুষ যখন কিছুতেই জ্বালাও-পোড়াও হরতালের ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে সায় দিল না, বিবেকবান সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও সচেতন নাগরিকরা যখন ওই নেতিবাচক রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখন গণঅনশন নামের প্রতারণামূলক আপাত ইতিবাচক রাজনীতির আশ্রয় নিয়ে বিএনপি নেত্রী এবং তাঁর দল তাঁদের আক্রমণের বর্শাফলক নিক্ষেপ শুরু করেছেন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ওপর। কিন্তু সংবিধান সংশোধনী বাতিলের সংগ্রাম করতে গিয়ে সংবিধানটাকেই ছুড়ে ফেলে দেওয়ার চরম ধৃষ্টতা দেখিয়ে এই তথাকথিত ইতিবাচক রাজনীতিকেও গণপ্রত্যাখ্যাতই হতে হচ্ছে। মানুষ জেনে গেছে, বিএনপি তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে সরেনি। তারা সামরিক শাসকদের মতোই দেশে অসাংবিধানিক শাসন কায়েম করতে চায়। ইতিহাসে যুগে যুগে সর্বত্রই দেখা গেছে, দেশের বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির সুযোগে গণবিরোধী শাসকরা বন্দুকের নলের মুখে সংবিধান, সংসদ এবং গণমানুষের সব অর্জনকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রক্তের বন্যায় দেশকে ভাসিয়ে দিয়েও ক্ষমতার মসনদে চেপে বসে। আমেরিকায় বা পাশ্চাত্য অনেক দেশেই সংবিধানকে গৃহযুদ্ধের সময় বাতিল করে অসাংবিধানিক শাসন কায়েমের চেষ্টা হয়েছিল। চেষ্টা হয়েছিল আফ্রিকান দেশগুলোতে বিভিন্ন সামরিক শাসকের বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখলের সময় জনগণের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব-ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তার শাসনে বেসামরিক শাসন ও সংবিধানকে বেয়োনেটের খোঁচায় বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে এবং চার জাতীয় নেতাকে কারাভ্যন্তরে নৃশংসভাবে হত্যা, বারবার গ্রেনেড ও সশস্ত্র হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতা-কর্মীকে, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার প্রমুখ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রাণনাশের বারবার চেষ্টা চালানো হয়েছে এ দেশে। অসাংবিধানিক শাসন এবং গণবিরোধী, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী সংবিধান চাপিয়ে দিয়ে দেশটাকে আবার পাকিস্তান বানানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের হুমকি এখনো অত্যন্ত বাস্তব। সেই খেলা এখনো থামছে না।

১৯.৭.২০১১

No comments

Powered by Blogger.