রাবণের প্রত্যাবর্তন কাম্য নয়-টিআর-কাবিখা কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা চাই
কথায় আছে, 'যে যায় লঙ্কা, সেই হয় রাবণ'। আমাদের দুর্ভাগ্য, অতি পুরনো সেই অপ্রিয় সত্যটিই বারবার নতুনভাবে আমাদের সামনে এসে হাজির হচ্ছে। দেশে অনেক দিন থেকেই কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা), টেস্ট রিলিফসহ (টিআর) নানা রকম কর্মসূচি চালু রয়েছে।
এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য অতি মহৎ_দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষকে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে সহায়তা করা। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ এর বিপরীত। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে একটি মহলকে সরকার তথা জনগণের অর্থ লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী মোটাতাজাকরণ কর্মসূচি। এ ক্ষেত্রে বিগত জোট সরকার এবং বর্তমান মহাজোট সরকারের মধ্যে আমরা চরিত্রগত তেমন কোনো পার্থক্য লক্ষ করছি না। এসব কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তখনো ছিল না, এখনো নেই।
আমরা সম্ভবত ভুলে যাইনি, বাংলাদেশ পরপর পাঁচ বছর দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের কপালে প্রথম সেই কলঙ্কতিলক আঁকা হয়েছিল ২০০১ সালে। আওয়ামী লীগের শেষ বছরের দুর্নীতির জন্যই আমরা বড় দুর্নীতিবাজ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হয়েছিলাম। সারা জাতি সেদিন লজ্জায় কুঁকড়ে গেলেও আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীরা বড় গলায় টিআইবির গুষ্ঠি উদ্ধার করেছিলেন। বিএনপি তখন টিআইবির রিপোর্ট নিয়ে বড়ই উৎসাহী ছিল। কিন্তু পর পর আরো চার বছর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন থেকে গেল এবং শেষ বছরে একই নম্বর পেয়েও দ্বিতীয় হলো। আর তখন গুষ্টি উদ্ধার ও বগল বাজানোর কাজটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অদল-বদল করে নিয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শত দোষ থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কিছুটা পরিবর্তন এসেছিল পরবর্তী সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। আর সে কারণেই সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নেমে এসেছিল ১২তম ও ১৪তম স্থানে। কিন্তু এখন যেসব লক্ষণ আমরা চারপাশে দেখতে পাচ্ছি, তাতে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, আবারও কি আমরা সেই সেরার কলঙ্কতিলক ললাটে ধারণ করতে যাচ্ছি! কারণ, শুধু টিআর-কাবিখা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতির পরিমাণ বেড়ে গেছে।
দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা নয়, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর সংস্কার করতে হবে। তাদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর তা কোনো অসাংবিধানিক বা অস্থায়ী সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাবে, এমন প্রত্যাশা আমরা করি না। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের কাছ থেকেই সেই পরিবর্তন আশা করি। আর সে কারণেই বিগত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার সুনির্দিষ্ট যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, মানুষ তাতে আশ্বস্ত হয়েছিল। মানুষ মহাজোটকে বিপুল ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিল। কিন্তু মানুষ ক্রমেই হতাশ হচ্ছে। কেবলই রাবণের প্রত্যাবর্তন দেখতে পাচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
আমরা সম্ভবত ভুলে যাইনি, বাংলাদেশ পরপর পাঁচ বছর দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের কপালে প্রথম সেই কলঙ্কতিলক আঁকা হয়েছিল ২০০১ সালে। আওয়ামী লীগের শেষ বছরের দুর্নীতির জন্যই আমরা বড় দুর্নীতিবাজ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হয়েছিলাম। সারা জাতি সেদিন লজ্জায় কুঁকড়ে গেলেও আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীরা বড় গলায় টিআইবির গুষ্ঠি উদ্ধার করেছিলেন। বিএনপি তখন টিআইবির রিপোর্ট নিয়ে বড়ই উৎসাহী ছিল। কিন্তু পর পর আরো চার বছর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন থেকে গেল এবং শেষ বছরে একই নম্বর পেয়েও দ্বিতীয় হলো। আর তখন গুষ্টি উদ্ধার ও বগল বাজানোর কাজটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অদল-বদল করে নিয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শত দোষ থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কিছুটা পরিবর্তন এসেছিল পরবর্তী সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। আর সে কারণেই সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নেমে এসেছিল ১২তম ও ১৪তম স্থানে। কিন্তু এখন যেসব লক্ষণ আমরা চারপাশে দেখতে পাচ্ছি, তাতে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, আবারও কি আমরা সেই সেরার কলঙ্কতিলক ললাটে ধারণ করতে যাচ্ছি! কারণ, শুধু টিআর-কাবিখা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতির পরিমাণ বেড়ে গেছে।
দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা নয়, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর সংস্কার করতে হবে। তাদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর তা কোনো অসাংবিধানিক বা অস্থায়ী সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাবে, এমন প্রত্যাশা আমরা করি না। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের কাছ থেকেই সেই পরিবর্তন আশা করি। আর সে কারণেই বিগত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার সুনির্দিষ্ট যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, মানুষ তাতে আশ্বস্ত হয়েছিল। মানুষ মহাজোটকে বিপুল ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিল। কিন্তু মানুষ ক্রমেই হতাশ হচ্ছে। কেবলই রাবণের প্রত্যাবর্তন দেখতে পাচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
No comments