বসন্ত অন্তরে অন্দরে by শান্তা তাওহিদা
ক্যালেন্ডারের পাতায় চলেই এসেছে বসন্ত। প্রকৃতিতেও চলছে বসন্তবরণের আয়োজন। কুঞ্জে কুঞ্জে শুরু হয়ে গেছে পিউ পাপিয়ার কুহু গুঞ্জন। কনকবরন ফুলেল হাসিতে যখন হাসছে প্রকৃতি, তখন হলুদিয়া পাখি সাজতে দোষ কোথায়?
প্রকৃতিবিদ মোকারম হোসেন বলেন, ‘বসন্তকে আপন রঙে সাজাতেই যেন হলুদ ফুলেরা সোনা রং ধারণ করে।
প্রকৃতিবিদ মোকারম হোসেন বলেন, ‘বসন্তকে আপন রঙে সাজাতেই যেন হলুদ ফুলেরা সোনা রং ধারণ করে।
হলুদ রংটার ভেতর একটা আগুনলাগা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তাই একে কখনো কনকরঙা বলেও ডাকা হয়। সূর্যমুখী, গাঁদা, স্বর্ণ অশোক, ক্যালেনডুলা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাস, জারবারা, চেরি, দাদমর্দন, পমপম ফুলে ফুলে প্রকৃতি আজ রাঙা হয়ে সেজেছে।’
নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন বলেন, ‘বসন্তের রং মানেই যেন হলুদ। উজ্জ্বল হলুদরঙা ফুল ছাড়া যেন পূর্ণই হয় না বসন্তে বাঙালি নারীর সাজ। কারণ, বাঙালি নারীর লাবণ্যের সঙ্গে ফুলটা জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে।’
বাসন্তী সাজে আপনিও যোগ করে নিতে পারেন ফুলে ফুলে হলুদিয়া সাজ। তাঁতের শাড়িখানির নকশা পাড়ের সঙ্গে চমৎকার মানিয়ে যাবে এলোচুলে কানে গোঁজা জারবারা বা ক্যালেনডুলা। অথবা হাতখোঁপার একপাশে একটা সূর্যমুখী। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে দু-তিনটা পমপম কানে গুঁজে নিতে পারেন। অথবা একঢাল খোলা চুলে একগাছি সরষে ফুল।
চন্দ্রমল্লিকার দুল আর মালা করেও পরতে পারেন হাত আর গলায়। অথবা শুধু গাঁদা ফুলেই হোক না এবারের বাসন্তী সাজ। হাতে পেঁচিয়ে নিতে পারেন একটা হলদে মালা। শুধু সাজ-পোশাকেই হলুদ থাকবে কেন, আপনার ঘরখানিতেও লাগুক হলুদের ছোঁয়া। এখন তো আর বসন্তের মাতাল সমীরণে, জোছনা রাতে সবাই মিলে বনে যাওয়া হয়ে ওঠে না, তাই ঘরটাই হয়ে উঠুক রঙিন। অন্দরসাজের প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের পরিচালক গুলশান নাসরীন চৌধুরী দিয়েছেন হলুদ ফুলে ঘর সাজানোর নানা পরামর্শ।
‘আমাদের জীবনটা দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে উঠছে। একঘেয়ে ও যান্ত্রিক জীবনে পারিবারিক বাঁধনে আমাদের সাংস্কৃতিক দিবসগুলো একসঙ্গে উদ্যাপন খুব জরুরি। বসন্তের কোনো দিনে তাই পরিবারের সবাই মিলে হলুদ ফুল কিনতে বের হয়ে যেতে পারেন। তারপর সবাই মিলে আলপনা আর ফুলের সাজে গৃহকোণ করে তুলতে পারেন রঙিন।’
ঘরে প্রবেশপথের এক কোণে করা যেতে পারে হলুদ গাঁদা ও সবুজ পাতার মালায় আলপনা। এর মাঝে মাঝে জ্বালিয়ে দিতে পারেন মাটির প্রদীপ। বসার ঘরের এক কোনায় মাটির কিংবা কাচের পাত্রে কিছু হলুদ গ্লাডিওলাস আর জারবারা সাজিয়েও রাখতে পারেন। রঙে বৈচিত্র্য চাইলে দু-একটা লাল জারবারাও জুড়ে দেওয়া যায়। খাবার টেবিলে চন্দ্রমল্লিকা ও পমপম সাজাতে পারেন। প্রসাধন ঘরের এক কোণে রাখতে পারেন দুটি গ্লাডিওলাস। হলুদের মাঝেও রয়েছে রঙের বৈচিত্র্য। হালকা, গাঢ় বিভিন্ন ধরনের হলুদ গাঁদা কিংবা ক্যালেনডুলা একটা মাটির বড় পাত্রে পানিতে ভাসিয়েও দিতে পারেন।
দরদাম
নগরের প্রায় সব ফুলের দোকানেই মিলবে হলুদিয়া ফুলের দেখা। হলুদ গাঁদার মালা পাবেন ২০-২৫ টাকায়। চায়না গাঁদার মালা ২০-২৫, গ্লাডিওলাস ১৮-২০, পমপম আঁটি ২৫-৩০, চেরি ১০-২৫, চন্দ্রমল্লিকা ৮-১০, জারবারা ২৫-৩০, ক্যালেনডুলা আঁটি ২০-৩০ টাকায়।
নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন বলেন, ‘বসন্তের রং মানেই যেন হলুদ। উজ্জ্বল হলুদরঙা ফুল ছাড়া যেন পূর্ণই হয় না বসন্তে বাঙালি নারীর সাজ। কারণ, বাঙালি নারীর লাবণ্যের সঙ্গে ফুলটা জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে।’
বাসন্তী সাজে আপনিও যোগ করে নিতে পারেন ফুলে ফুলে হলুদিয়া সাজ। তাঁতের শাড়িখানির নকশা পাড়ের সঙ্গে চমৎকার মানিয়ে যাবে এলোচুলে কানে গোঁজা জারবারা বা ক্যালেনডুলা। অথবা হাতখোঁপার একপাশে একটা সূর্যমুখী। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে দু-তিনটা পমপম কানে গুঁজে নিতে পারেন। অথবা একঢাল খোলা চুলে একগাছি সরষে ফুল।
চন্দ্রমল্লিকার দুল আর মালা করেও পরতে পারেন হাত আর গলায়। অথবা শুধু গাঁদা ফুলেই হোক না এবারের বাসন্তী সাজ। হাতে পেঁচিয়ে নিতে পারেন একটা হলদে মালা। শুধু সাজ-পোশাকেই হলুদ থাকবে কেন, আপনার ঘরখানিতেও লাগুক হলুদের ছোঁয়া। এখন তো আর বসন্তের মাতাল সমীরণে, জোছনা রাতে সবাই মিলে বনে যাওয়া হয়ে ওঠে না, তাই ঘরটাই হয়ে উঠুক রঙিন। অন্দরসাজের প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের পরিচালক গুলশান নাসরীন চৌধুরী দিয়েছেন হলুদ ফুলে ঘর সাজানোর নানা পরামর্শ।
‘আমাদের জীবনটা দিন দিন যান্ত্রিক হয়ে উঠছে। একঘেয়ে ও যান্ত্রিক জীবনে পারিবারিক বাঁধনে আমাদের সাংস্কৃতিক দিবসগুলো একসঙ্গে উদ্যাপন খুব জরুরি। বসন্তের কোনো দিনে তাই পরিবারের সবাই মিলে হলুদ ফুল কিনতে বের হয়ে যেতে পারেন। তারপর সবাই মিলে আলপনা আর ফুলের সাজে গৃহকোণ করে তুলতে পারেন রঙিন।’
ঘরে প্রবেশপথের এক কোণে করা যেতে পারে হলুদ গাঁদা ও সবুজ পাতার মালায় আলপনা। এর মাঝে মাঝে জ্বালিয়ে দিতে পারেন মাটির প্রদীপ। বসার ঘরের এক কোনায় মাটির কিংবা কাচের পাত্রে কিছু হলুদ গ্লাডিওলাস আর জারবারা সাজিয়েও রাখতে পারেন। রঙে বৈচিত্র্য চাইলে দু-একটা লাল জারবারাও জুড়ে দেওয়া যায়। খাবার টেবিলে চন্দ্রমল্লিকা ও পমপম সাজাতে পারেন। প্রসাধন ঘরের এক কোণে রাখতে পারেন দুটি গ্লাডিওলাস। হলুদের মাঝেও রয়েছে রঙের বৈচিত্র্য। হালকা, গাঢ় বিভিন্ন ধরনের হলুদ গাঁদা কিংবা ক্যালেনডুলা একটা মাটির বড় পাত্রে পানিতে ভাসিয়েও দিতে পারেন।
দরদাম
নগরের প্রায় সব ফুলের দোকানেই মিলবে হলুদিয়া ফুলের দেখা। হলুদ গাঁদার মালা পাবেন ২০-২৫ টাকায়। চায়না গাঁদার মালা ২০-২৫, গ্লাডিওলাস ১৮-২০, পমপম আঁটি ২৫-৩০, চেরি ১০-২৫, চন্দ্রমল্লিকা ৮-১০, জারবারা ২৫-৩০, ক্যালেনডুলা আঁটি ২০-৩০ টাকায়।
No comments