জরিমানা গুনবে সরকার!-নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র
সরকার যখন ভাড়াভিত্তিক ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখনই নানা মহল থেকে আপত্তি উঠেছিল। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দ্রুত বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এর বিকল্প নেই। আর যেহেতু গ্যাসের সংকট আছে, তাই এগুলো তরল জ্বালানিভিত্তিক করারও বিকল্প নেই। কিন্তু এখন সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
যে সাতটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার কথা, সেগুলো হলো—গোপালগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, ফরিদপুর, দাউদকান্দি ও রাজশাহীর তিনটি। এই সাতটি কেন্দ্রে মোট ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত ডিজেল ও ফার্নেস তেল সরবরাহ করতে হবে নৌ ও রেলপথে। কিন্তু নৌপথের নাব্যতা সংকট, সেতুর উচ্চতা কম এবং প্রয়োজনীয় রেলপথ ও ওয়াগন-সংকটের কারণে এখনো তা নিশ্চত করা যায়নি বলে গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। হাতে সময় আছে মাত্র দুই মাস। এর মধ্যে জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে না পারলে কেন্দ্রগুলো যেমন উৎপাদনে যেতে পারবে না, তেমনি চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ সরকারকে দুই দিক থেকেই লোকসান গুনতে হবে। প্রথমত, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমদানি করা জ্বালানি তেলের ভর্তুকি। দ্বিতীয়ত, বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের কারণে জরিমানা পরিশোধ। দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে সরকারকে প্রায় ২২ টাকা করে ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে। প্রতি লিটার ফার্নেস তেলে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে আট টাকা। জনগণ সেই বাড়তি চাপও মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল যদি যথাসময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে যেতে পারত।
এ নিয়ে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও রেলপথ বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি তেল পৌঁছানোর দায়িত্ব বিপিসির হলেও সুষ্ঠু পরিবহনব্যবস্থা তো থাকতে হবে। জ্বালানি তেল নিশ্চিয়ই আকাশপথে যাবে না, যাবে নৌ অথবা রেলপথে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই দুই মন্ত্রণালয়ের কাজে ঘাটতি আছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট নদীপথগুলো খনন করেনি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় রেল-ইঞ্জিন ও ওয়াগনের ব্যবস্থা করতে পারেনি।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী? নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জ্বালানি সরবরাহের বাধাগুলো দূর করা। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সময় নিশ্চয়ই সেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার পরও কেন শেষ মুহূর্তে এসে জটিলতা দেখা দিল? এর জবাব মন্ত্রীদ্বয়কে দিতে হবে অথবা বলতে হবে, কারা এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শুরুর আগেই জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এ জন্য যদি সরকারকে জরিমানা দিতে হয়, সেই জরিমানা আদায় করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নয়।
এ নিয়ে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও রেলপথ বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি তেল পৌঁছানোর দায়িত্ব বিপিসির হলেও সুষ্ঠু পরিবহনব্যবস্থা তো থাকতে হবে। জ্বালানি তেল নিশ্চিয়ই আকাশপথে যাবে না, যাবে নৌ অথবা রেলপথে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই দুই মন্ত্রণালয়ের কাজে ঘাটতি আছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট নদীপথগুলো খনন করেনি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় রেল-ইঞ্জিন ও ওয়াগনের ব্যবস্থা করতে পারেনি।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী? নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জ্বালানি সরবরাহের বাধাগুলো দূর করা। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সময় নিশ্চয়ই সেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার পরও কেন শেষ মুহূর্তে এসে জটিলতা দেখা দিল? এর জবাব মন্ত্রীদ্বয়কে দিতে হবে অথবা বলতে হবে, কারা এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শুরুর আগেই জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এ জন্য যদি সরকারকে জরিমানা দিতে হয়, সেই জরিমানা আদায় করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নয়।
No comments