দুর্নীতিতে আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধ-পদ্মা সেতু দুর্নীতি আমাদের জাতীয় গর্ব

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর নতুন মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে বলেছিলেন, ‘এরা নতুন, দুর্নীতি সম্পর্কে এরা কিছু জানে না। আর এদের অনেকের এত টাকা যে এদের দুর্নীতি করার দরকারই হবে না।’ তখন আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। তাহলে কি এ দেশ থেকে ‘দুর্নীতি’ নামক শব্দটার অপমৃত্যু হবে? আমরা আর কখনো সরকারি দুর্নীতির কোনো খবর দেখব না?


আতঙ্কে কয়েক রাত আমাদের ঘুমই হয়নি। দুর্নীতি না থাকলে কত বড় ক্ষতি হবে গোটা দেশের, সেটা কি কেউ ভেবেছে? দুর্নীতি না হলে এ দেশের সাধারণ জনগণ বঞ্চিত হবে নানা রকম মজা থেকে। পত্রিকাগুলো থেকে বন্ধ হবে ফান ম্যাগাজিন, সেই সঙ্গে বিভাগীয় সম্পাদকের পোস্টটিও বিলুপ্ত হবে। তখন ওই সব সম্পাদককে দেখা যাবে বিভিন্ন জায়গায় স্ট্যান্ডআপ কমেডি করতে। এর সঙ্গে আছে দেশের অনেক তরুণ মেধাবী মুখ, যারা এসব জাতীয় দুর্নীতিকে পুঁজি করে নিজেদের আইডিয়া চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মাস শেষে যৎসামান্য সম্মানী নিয়ে বাসায় মুখরক্ষা করছে। ঠোঙাওয়ালাদের ঠোঙা বানানোর খরচ বেড়ে যেত, এতে ব্যবসা লাটে উঠত। কারণ, সাইজ করে কাটা কাগজ তো একমাত্র দেশের ফান ম্যাগাজিনগুলোই সরবরাহ করে। ঠোঙার ব্যবসা বন্ধ হলে আবার বাজারে চলে আসত পলিথিন, সেই পলিথিন থেকে দূষণ! দূষণের ফলে বসবাসের অযোগ্য হতো পৃথিবী। সামান্য দুর্নীতি বাঁচাতে পারে হাজারো মানুষের জীবন। সুতরাং, দুর্নীতি বন্ধ হলে বিষয়টি অত্যন্ত পরিতাপের হতো! যা-ই হোক, সবার এই আতঙ্ক চাপা দিয়ে আমাদের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আবারও বুঝিয়ে দিলেন, এ দেশ থেকে এত সহজে দুর্নীতি বিদায় নেবে না। যেদিন নেবে সেদিন হয়তবা এই পৃথিবীই টিকে থাকবে না।
জয় বাবা আবুল, করোনি তুমি কোনো ভুল, সেতুর টাকার হেতু করতে গিয়ে, রক্ষা করেছ জাত-কুল।

No comments

Powered by Blogger.