কোথায় এর শেষ, বলবে কি সরকার?-স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের নৃশংসতা
দেশের মানুষ যখন সৌদি আরবে আট বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নৃশংস পদ্ধতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ও শোকার্ত, তখন নৃশংসতার অন্য নজির স্থাপন করেছে কুষ্টিয়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা। তাঁদের মিছিলে না যাওয়ায় গত বুধবার মোহাম্মদ রনি নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে নৃশংস নির্যাতন করা হয়েছে।
ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁর পা, উপড়ে নেওয়া হয়েছে নখ, থেঁতলে দেওয়া হয়েছে সব কটি আঙুল। ৩০-৪০ জন মিলে একজনকে হকিস্টিক, রড, লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে বোঝানো হয়েছে দলীয় ক্ষমতা।
এটা নতুন নয় এবং শেষও নয়। মিছিলে না গেলে, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, সালাম না দেওয়ার জন্য পেটানোসহ এমন অপকর্ম নেই, যা সরকারদলীয় ক্যাডাররা করে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল না করার অপরাধে ছাত্রলীগ নেতারা একদল ছাত্রকে গত বছর শীতের মধ্যে হলছাড়া করে মাঠের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। দল না করার অপরাধে বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে বৈধ ছাত্রদের কক্ষছাড়া করার ঘটনা অহরহই ঘটছে। তাই বলা যায়, এ ধরনের নির্যাতন মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়, বরং এটাই ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেছে। এবং এই স্বাভাবিক অবস্থা কমবেশি সব সরকারের আমলেই বজায় থাকছে।
এসব ঘটনার শিক্ষা একটাই: ক্ষমতায় আসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মী-ক্যাডাররা এখন মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। তাদের আশ্রয়েই যাবতীয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ক্ষমতার দাপট অকাতরে চলতে পারছে। এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের প্রভাববলয়ে থাকা মানুষ, প্রতিষ্ঠান—সবকিছুকে ‘হুকুমের দাস’ মনে করা শুরু করেছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় একটি সংগঠনের আশ্রয়ে থেকে অপরাধ করা বিচিত্র নয়। কিন্তু অপরাধ করে দলীয় আশ্রয় আর পুলিশি প্রশ্রয় পাওয়া খুবই চিন্তার বিষয়। কিন্তু সেটাই ঘটছে। কুষ্টিয়ার ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতের পক্ষ থেকে করা মামলার বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কী হবে? তাঁদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও আদালতের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি পাবেন কি? পেলে অন্তত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা কিছুটা সান্ত্বনা পেতে পারেন। না পেলে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন গোটা দেশকে গ্রাস করবে।
এটা নতুন নয় এবং শেষও নয়। মিছিলে না গেলে, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, সালাম না দেওয়ার জন্য পেটানোসহ এমন অপকর্ম নেই, যা সরকারদলীয় ক্যাডাররা করে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল না করার অপরাধে ছাত্রলীগ নেতারা একদল ছাত্রকে গত বছর শীতের মধ্যে হলছাড়া করে মাঠের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। দল না করার অপরাধে বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে বৈধ ছাত্রদের কক্ষছাড়া করার ঘটনা অহরহই ঘটছে। তাই বলা যায়, এ ধরনের নির্যাতন মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়, বরং এটাই ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেছে। এবং এই স্বাভাবিক অবস্থা কমবেশি সব সরকারের আমলেই বজায় থাকছে।
এসব ঘটনার শিক্ষা একটাই: ক্ষমতায় আসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মী-ক্যাডাররা এখন মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। তাদের আশ্রয়েই যাবতীয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ক্ষমতার দাপট অকাতরে চলতে পারছে। এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের প্রভাববলয়ে থাকা মানুষ, প্রতিষ্ঠান—সবকিছুকে ‘হুকুমের দাস’ মনে করা শুরু করেছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় একটি সংগঠনের আশ্রয়ে থেকে অপরাধ করা বিচিত্র নয়। কিন্তু অপরাধ করে দলীয় আশ্রয় আর পুলিশি প্রশ্রয় পাওয়া খুবই চিন্তার বিষয়। কিন্তু সেটাই ঘটছে। কুষ্টিয়ার ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতের পক্ষ থেকে করা মামলার বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কী হবে? তাঁদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও আদালতের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি পাবেন কি? পেলে অন্তত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা কিছুটা সান্ত্বনা পেতে পারেন। না পেলে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন গোটা দেশকে গ্রাস করবে।
No comments