একটি রূপকথা
সে এক আদ্যিকালের কথা। এক রাজ্যে ছিল এক বুড়ি। সেই বুড়ির খুব দুঃখ। তার স্বামী মারা গেছে বহু আগে, কোনো ছেলেপেলেও নেই। আছে শুধু একটা ছাগল। ভিক্ষা করে কোনোরকমে নিজের আর ছাগলের পেট চলে। তো, একদিন বুড়ি ভিক্ষা করছে। এক বাড়ি থেকে তাকে ভিক্ষা দিল একটা প্রদীপ। বুড়ি ভাবল, এটা দিয়ে কী করা যায়। যা থাকে কপালে, ভেবে ঘষা দিল প্রদীপে।
তারপর যা হয় আরকি। এক দৈত্য এসে হাজির। বলল, ‘হুকুম করুন। আপনার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করব।’
বুড়ি তার প্রথম ইচ্ছা জানাল, ‘আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর রাজপ্রাসাদের মালিক বানিয়ে দাও।’
জো হুকুম। বুড়ি রাজপ্রাসাদে এসে গেল।
‘আপনার দ্বিতীয় ইচ্ছা কী?’
‘আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী রাজকন্যা বানিয়ে দাও।’
তা-ই হলো।
‘তৃতীয় ইচ্ছা কী?’
‘আমার পোষা ছাগলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষ বানিয়ে দাও।’
বুড়ির এই ইচ্ছাও পূরণ হলো।
‘আমি এখন মুক্ত।’ এই বলে দৈত্য অদৃশ্য হলো।
সুদর্শন যুবক (যে আগে ছাগল ছিল) এগিয়ে এল বুড়ির (যে এখন সুন্দরী রাজকন্যা) দিকে। বুড়ির নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এল। বুড়ির কানে কানে সে বলল, ‘আপনার কি মনে আছে শৈশবে আপনি আমাকে খাসি করে দিয়েছিলেন?’
বুড়ি তার প্রথম ইচ্ছা জানাল, ‘আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর রাজপ্রাসাদের মালিক বানিয়ে দাও।’
জো হুকুম। বুড়ি রাজপ্রাসাদে এসে গেল।
‘আপনার দ্বিতীয় ইচ্ছা কী?’
‘আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী রাজকন্যা বানিয়ে দাও।’
তা-ই হলো।
‘তৃতীয় ইচ্ছা কী?’
‘আমার পোষা ছাগলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষ বানিয়ে দাও।’
বুড়ির এই ইচ্ছাও পূরণ হলো।
‘আমি এখন মুক্ত।’ এই বলে দৈত্য অদৃশ্য হলো।
সুদর্শন যুবক (যে আগে ছাগল ছিল) এগিয়ে এল বুড়ির (যে এখন সুন্দরী রাজকন্যা) দিকে। বুড়ির নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এল। বুড়ির কানে কানে সে বলল, ‘আপনার কি মনে আছে শৈশবে আপনি আমাকে খাসি করে দিয়েছিলেন?’
No comments