বিদ্যালয়ে অনুদান দিয়ে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বিক্রি! by শাহাবুল শাহীন
গাইবান্ধার অধিকাংশ বইয়ের দোকানে নিষিদ্ধ নোট-গাইড এবং অনুমোদনহীন বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ বই বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুস্তক প্রকাশনী সংস্থাগুলো বিদ্যালয়ে অনুদান (ডোনেশন) দিয়ে এসব বই চালাচ্ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজাহার আলী জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অনুমোদন নেই এমন যেকোনো বই চালানো অপরাধ। প্রতি উপজেলায় বৈঠক করে অনুমোদনহীন বই না চালানোর জন্য প্রধান শিক্ষকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তার পরও কোনো কোনো শিক্ষক গাইড ও অনুমোদনহীন বই কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলা ও উপজেলা শহরের অধিকাংশ বইয়ের দোকানে ঢাকার জুপিটারস, লেকচার, গ্যালাক্সী, কাজল ব্রাদার্স, হাসান বুক ডিপো ও বগুড়ার বিআরটিসি প্রকাশনীর নোট-গাইড বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ লাইব্রেরি নামে বগুড়ার একটি পুস্তক প্রকাশনী সংস্থা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণসহ বিভিন্ন বই প্রকাশ করেছে। এনসিটিবি এসব বইয়ের অনুমোদন দেয়নি বলে জানা গেছে। এমনকি এই প্রকাশনীর বইয়ের তালিকায় ঢাকার জুপিটারস প্রকাশনীর বইয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকা জেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লাইব্রেরির কর্মকর্তা অসীম বলেন, শিক্ষকদের অনুদান দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এগুলো পাঠ্যবইয়ের সহায়ক হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে এসব বই প্রকাশ করা হয়েছে।
এনসিটিবি মাধ্যমিক পর্যায়ের যেসব বইয়ের অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলোর একটি তালিকা পাওয়া গেছে। ওই তালিকায় ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, র্যাপিট টেলস্ ফর দ্য ইয়ং, ইংলিশ র্যাপিড রিডার, সপ্তম সামসাদ কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, ইনজয়িং গ্রামার, ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, ইংলিশ র্যাপিড রিডার, অষ্টম শ্রেণীর অনিক বাংলা গ্রামার, ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, একাডেমিক স্পেশাল ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ, মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ, গ্লোরিয়ার্স ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশনসহ বেশ কিছু বই।
নিষিদ্ধ গাইড এবং এনসিটিবির অনুমোদন নেই—এমন বইয়ের তালিকায় আছে ষষ্ঠ শ্রেণীর আদর্শ ভাষা শিক্ষা বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা, এসো গল্প পড়ি, লার্ন কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, গোল্ডেন লিভস, থ্রিস্টার সুপার নৈর্ব্যক্তিক ও জুপিটার গাইড; সপ্তম শ্রেণীর কথা কানন, লার্ন কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন উইথ সল্যুসন, র্যাপিড ফর দ্য ইয়ং।
অষ্টম শ্রেণীর বইয়ের তালিকায় আছে জেএসসি অভিনব বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা, গল্পের সিঁড়ি, এসেন্সিয়াল প্যারাগ্রাফ এছে অ্যান্ড লেটার, থ্রিস্টার সুপার নৈর্ব্যক্তিক ও জুপিটার গাইড; নবম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভাষা শিক্ষা বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা, নিউ বেসিক ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, থ্রিস্টার সুপার নৈর্ব্যক্তিক, জুপিটার গাইডসহ বেশ কিছু বই।
কয়েকটি বিদ্যালয়ে ঘুরে ছাত্রছাত্রীদের হাতে এসব গাইড ও অনুমোদনহীন বই দেখা গেছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার পিয়ারাপুর গ্রামের অভিভাবক মিলন মিয়া বলেন, প্রকাশনী সংস্থাগুলো বইয়ের দোকানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা অনুদান দিচ্ছে। শিক্ষকেরা এসব বই বিভিন্ন বইয়ের দোকান থেকে কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছেন।
সদর উপজেলা প্রধান শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুল মতিন বলেন, এ ধরনের অনুমোদনহীন বই না চালানোর জন্য পরিষদের সভায় প্রধান শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলা ও উপজেলা শহরের অধিকাংশ বইয়ের দোকানে ঢাকার জুপিটারস, লেকচার, গ্যালাক্সী, কাজল ব্রাদার্স, হাসান বুক ডিপো ও বগুড়ার বিআরটিসি প্রকাশনীর নোট-গাইড বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ লাইব্রেরি নামে বগুড়ার একটি পুস্তক প্রকাশনী সংস্থা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণসহ বিভিন্ন বই প্রকাশ করেছে। এনসিটিবি এসব বইয়ের অনুমোদন দেয়নি বলে জানা গেছে। এমনকি এই প্রকাশনীর বইয়ের তালিকায় ঢাকার জুপিটারস প্রকাশনীর বইয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকা জেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লাইব্রেরির কর্মকর্তা অসীম বলেন, শিক্ষকদের অনুদান দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এগুলো পাঠ্যবইয়ের সহায়ক হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে এসব বই প্রকাশ করা হয়েছে।
এনসিটিবি মাধ্যমিক পর্যায়ের যেসব বইয়ের অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলোর একটি তালিকা পাওয়া গেছে। ওই তালিকায় ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, র্যাপিট টেলস্ ফর দ্য ইয়ং, ইংলিশ র্যাপিড রিডার, সপ্তম সামসাদ কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, ইনজয়িং গ্রামার, ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, ইংলিশ র্যাপিড রিডার, অষ্টম শ্রেণীর অনিক বাংলা গ্রামার, ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, একাডেমিক স্পেশাল ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ, মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ, গ্লোরিয়ার্স ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশনসহ বেশ কিছু বই।
নিষিদ্ধ গাইড এবং এনসিটিবির অনুমোদন নেই—এমন বইয়ের তালিকায় আছে ষষ্ঠ শ্রেণীর আদর্শ ভাষা শিক্ষা বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা, এসো গল্প পড়ি, লার্ন কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, গোল্ডেন লিভস, থ্রিস্টার সুপার নৈর্ব্যক্তিক ও জুপিটার গাইড; সপ্তম শ্রেণীর কথা কানন, লার্ন কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন উইথ সল্যুসন, র্যাপিড ফর দ্য ইয়ং।
অষ্টম শ্রেণীর বইয়ের তালিকায় আছে জেএসসি অভিনব বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা, গল্পের সিঁড়ি, এসেন্সিয়াল প্যারাগ্রাফ এছে অ্যান্ড লেটার, থ্রিস্টার সুপার নৈর্ব্যক্তিক ও জুপিটার গাইড; নবম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভাষা শিক্ষা বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা, নিউ বেসিক ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, থ্রিস্টার সুপার নৈর্ব্যক্তিক, জুপিটার গাইডসহ বেশ কিছু বই।
কয়েকটি বিদ্যালয়ে ঘুরে ছাত্রছাত্রীদের হাতে এসব গাইড ও অনুমোদনহীন বই দেখা গেছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার পিয়ারাপুর গ্রামের অভিভাবক মিলন মিয়া বলেন, প্রকাশনী সংস্থাগুলো বইয়ের দোকানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা অনুদান দিচ্ছে। শিক্ষকেরা এসব বই বিভিন্ন বইয়ের দোকান থেকে কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছেন।
সদর উপজেলা প্রধান শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুল মতিন বলেন, এ ধরনের অনুমোদনহীন বই না চালানোর জন্য পরিষদের সভায় প্রধান শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
No comments