বাংলাবান্ধায় চালু হয়নি যাত্রী পারাপারের সুবিধা

তিন মাসের মধ্যে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন বা যাত্রী যাতায়াতের সুবিধা চালু করার ঘোষণা দেওয়া হলেও তা এক বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত বছরের ২২ জানুয়ারি যৌথভাবে ভারতের ফুলবাড়ী ও বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধনকালে ঘোষণাটি দেন তাঁরা।


অনুষ্ঠানে প্রণব মুখার্জি বলেছিলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই বন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু করা হবে। তিনি বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের চেয়ে ফুলবাড়ী-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর অনেক সম্ভাবনাময়। কারণ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও নেপাল-ভুটানের গেটওয়ে হলো ফুলবাড়ী।
মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, শিগগিরই এই বন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু করা হবে।
কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন জারি না করায় এবং ইমিগ্রেশন বা যাত্রী চলাচলের সুবিধা চালু না হওয়ায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফেডারেশন অব এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক তপন দাস মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম গতিশীল করতে হলে বাংলাদেশের এনবিআরকে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের দুই মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু করতে হবে।
শিলিগুড়ির রপ্তানিকারক ব্রজ কিশোর প্রসাদ মুঠোফোনে বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপন সংশোধন ও ইমিগ্রেশন চালু করতে হবে। নইলে এই বন্দর কার্যকর হবে না।’
বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিকারক মেহেদী হাসান খান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, উভয় দেশের মন্ত্রীদের ঘোষণা অনুযায়ী ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু ও এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।

No comments

Powered by Blogger.