পবিত্র কোরআনের আলো-শেষবিচারের দিন পৃথিবীর সব ধনসম্পদের বিনিময়েও অবাধ্যরা মুক্তি পাবে না
৩৪. ইল্লাল্লাযীনা তা-বূ মিন ক্বাবলি আন তাক্বদিরূ 'আলাইহিম; ফা'লামূ আন্নাল্লাহা গাফূরুর রাহীম। ৩৫.ইয়া-আয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূত্তাক্বুল্লাহা ওয়াব্তাগূ ইলাইহিল ওয়াছিলাতা ওয়া জা-হিদূ ফী ছাবীলিহি লা'আল্লাকুম তুফলিহূন।
৩৬. ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ লাও আন্না লাহুম্ মা ফিল আরদ্বি জামী'আঁও ওয়া মিছলাহূ মা'আহূ লিইয়াফ্তাদূ বিহি মিন
৩৬. ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ লাও আন্না লাহুম্ মা ফিল আরদ্বি জামী'আঁও ওয়া মিছলাহূ মা'আহূ লিইয়াফ্তাদূ বিহি মিন
'আযা-বি ইয়াওমিল কি্বইয়া-মাতি মা তুক্বুবি্বলা মিনহুম ওয়া লাহুম 'আযা-বুন আলীম। [সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ৩৪-৩৬]
অনুবাদ
৩৪. তবে যারা তওবা করে এসব পাপ থেকে বিরত হয়েছে তোমাদের হাতে বন্দি হওয়ার আগেই তাদের বিষয়টা আলাদা। জেনে রেখো, আল্লাহ তায়ালা একান্ত ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।
৩৫. হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ হও এবং তাঁর নৈকট্যলাভের উপায় খুঁজতে থাকো। তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করো, সম্ভবত এভাবেই তোমরা সফলকাম হবে।
৩৬. আর যারা অবাধ্যতার পথ অবলম্বন করেছে, শেষবিচারের দিন (ধরে নেওয়া যাক) যদি তাদের হাতে পৃথিবীর সমুদয় ধনসম্পদ থাকে এবং এর আরো দ্বিগুণ পরিমাণ থাকে, এ সব কিছু মুক্তিপণ হিসেবে দিয়েও যদি তারা জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে চায়, তবু তাদের কাছ থেকে এর কিছুই সেদিন গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য সেদিন কঠোর শাস্তিই নির্ধারিত থাকবে।
ব্যাখ্যা
আগের সংখ্যায় মুদ্রিত ৩৩ নম্বর ও বর্তমান ৩৪ নম্বর আয়াত দুটির শানেনুজুল এ রকম_ষষ্ঠ হিজরিতে ওরাইনার কিছু লোক মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহণ করে সেখানেই বসবাস করছিল। মদিনার আবহাওয়ায় এরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রাসুল (সা.) তাদের মদিনার বাইরে এক জায়গায় পাঠিয়ে দিলেন, যেখানে তাঁর নিজস্ব ১৫টি উটের একটি বাথান পালিত হচ্ছিল। বাথানের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর গোলাম ইয়াসার (রা.)। এদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল, যেন উটের দুধ খেয়ে রোগমুক্ত হয়। কিছুদিনের মধ্যেই এরা রোগমুক্ত হয়ে বাথানের উটগুলো লুট করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। বাথানরক্ষক ইয়াসার (রা.) তাদের বাধা দিলে এরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ খবর রাসুল (সা.)-এর কাছে পেঁৗছলে তিনি ইবনে জাবেরের নেতৃত্বে ২০ জন অশ্বারোহীকে পাঠালেন। তাঁরা এদের ধরে এনে রাসুলের দরবারে হাজির করেছিলেন। এদের শাস্তি বিধানের ব্যাপারেই এ আয়াত দুটি নাজিল হয়।
৩৫ নম্বর আয়াতটিতে যে 'ওসিলা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, এর অর্থ পীর-মুর্শিদের দ্বারস্থ হওয়া নয়, বরং নিজের বিবেকবুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সত্যের অনুশীলন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ৩৫ নম্বর আয়াতে কাফের বা অবাধ্যদের ভয়াবহ পরিণতির কথা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। উদাহরণটা এ রকম_যদি ধরে নেওয়া যায় যে শেষবিচারের দিন পৃথিবীর যাবতীয় ধনসম্পদ কোনো কাফেরের হাতে আছে (যদিও তা একেবারেই সম্ভব নয়) তবে এ সব কিছুর বিনিময়েও তাকে জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ মুক্তিলাভের পথ তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে। কাফের অবস্থায় যারা মৃত্যুবরণ করবে তাদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই। সুতরাং প্রত্যেক মানুষেরই উচিত মৃত্যুর আগেই মুক্তির পথ অন্বেষণ করা। মানুষকে সাহায্য করার জন্য তিনি তাঁর রাসুল পাঠিয়েছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ
৩৪. তবে যারা তওবা করে এসব পাপ থেকে বিরত হয়েছে তোমাদের হাতে বন্দি হওয়ার আগেই তাদের বিষয়টা আলাদা। জেনে রেখো, আল্লাহ তায়ালা একান্ত ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।
৩৫. হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ হও এবং তাঁর নৈকট্যলাভের উপায় খুঁজতে থাকো। তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করো, সম্ভবত এভাবেই তোমরা সফলকাম হবে।
৩৬. আর যারা অবাধ্যতার পথ অবলম্বন করেছে, শেষবিচারের দিন (ধরে নেওয়া যাক) যদি তাদের হাতে পৃথিবীর সমুদয় ধনসম্পদ থাকে এবং এর আরো দ্বিগুণ পরিমাণ থাকে, এ সব কিছু মুক্তিপণ হিসেবে দিয়েও যদি তারা জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে চায়, তবু তাদের কাছ থেকে এর কিছুই সেদিন গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য সেদিন কঠোর শাস্তিই নির্ধারিত থাকবে।
ব্যাখ্যা
আগের সংখ্যায় মুদ্রিত ৩৩ নম্বর ও বর্তমান ৩৪ নম্বর আয়াত দুটির শানেনুজুল এ রকম_ষষ্ঠ হিজরিতে ওরাইনার কিছু লোক মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহণ করে সেখানেই বসবাস করছিল। মদিনার আবহাওয়ায় এরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রাসুল (সা.) তাদের মদিনার বাইরে এক জায়গায় পাঠিয়ে দিলেন, যেখানে তাঁর নিজস্ব ১৫টি উটের একটি বাথান পালিত হচ্ছিল। বাথানের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর গোলাম ইয়াসার (রা.)। এদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল, যেন উটের দুধ খেয়ে রোগমুক্ত হয়। কিছুদিনের মধ্যেই এরা রোগমুক্ত হয়ে বাথানের উটগুলো লুট করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। বাথানরক্ষক ইয়াসার (রা.) তাদের বাধা দিলে এরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ খবর রাসুল (সা.)-এর কাছে পেঁৗছলে তিনি ইবনে জাবেরের নেতৃত্বে ২০ জন অশ্বারোহীকে পাঠালেন। তাঁরা এদের ধরে এনে রাসুলের দরবারে হাজির করেছিলেন। এদের শাস্তি বিধানের ব্যাপারেই এ আয়াত দুটি নাজিল হয়।
৩৫ নম্বর আয়াতটিতে যে 'ওসিলা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, এর অর্থ পীর-মুর্শিদের দ্বারস্থ হওয়া নয়, বরং নিজের বিবেকবুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সত্যের অনুশীলন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ৩৫ নম্বর আয়াতে কাফের বা অবাধ্যদের ভয়াবহ পরিণতির কথা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। উদাহরণটা এ রকম_যদি ধরে নেওয়া যায় যে শেষবিচারের দিন পৃথিবীর যাবতীয় ধনসম্পদ কোনো কাফেরের হাতে আছে (যদিও তা একেবারেই সম্ভব নয়) তবে এ সব কিছুর বিনিময়েও তাকে জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ মুক্তিলাভের পথ তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে। কাফের অবস্থায় যারা মৃত্যুবরণ করবে তাদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই। সুতরাং প্রত্যেক মানুষেরই উচিত মৃত্যুর আগেই মুক্তির পথ অন্বেষণ করা। মানুষকে সাহায্য করার জন্য তিনি তাঁর রাসুল পাঠিয়েছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments