পবিত্র কোরআনের আলো-তাবুকের যুদ্ধাভিযানে যেতে যারা ব্যর্থ হয়েছিল তাদের সম্পর্কে-
৯০. ওয়াজা-আল মুআ'য্যিরূনা মিনাল আ'রা-বি লিইউযানা লাহুম ওয়াক্বাআ'দা ল্লাযীনা কাযাবূ ল্লা-হা ওয়ারাছূলাহূ; ছাইউসীবু ল্লাযীনা কাফারূ মিনহুম আ'যা-বুন আলীম। ৯১. লাইছা আ'লাদ্ দ্বুআ'ফা-য়ি ওয়ালা-আ'লাল মারদ্বা-ওয়ালা-আ'লা ল্লাযীনা লা-ইয়াজিদূনা মা-ইউনফিক্বূনা হারাজুন ইযা-নাসাহূ লিল্লা-হি ওয়ারাছূলিহী; মা-আ'লাল মুহ্ছিনীনা মিন ছাবীলি; ওয়াল্লা-হু গাফূরুর্ রাহীম।
৯২. ওয়ালা-আ'লা ল্লাযীনা ইযা-মা-আতাওকা লিতাহ্মিলাহুম ক্বুলতা লা-আজিদু মা- আহ্মিলুকুম আ'লাইহ; তাওয়াল্লাওঁ ওয়াআ'ইউনুহুম তাফীদ্বু মিনাদ্ দাময়ি' হাযানান আল্লা-ইয়াজিদূ মা-ইউনফিক্বূন।
৯৩. ইন্নামা চ্ছাবীলু আ'লা ল্লাযীনা ইয়াছ্তা'যিনূনাকা ওয়াহুম আগ্নিইয়া-উ; রাদ্বূ বিআইঁ ইয়্যাকূনূ মাআ'ল খাওয়া-লিফি ওয়াত্বাবাআ' ল্লা-হু আ'লা-ক্বুলূবিহিম ফাহুম লা-ইয়া'লামূন। [সুরা : সূরা আত্ তাওবা, আয়াত : ৯০-৯৩]
অনুবাদ : ৯০. আর গ্রামাঞ্চল থেকেও কিছু অজুহাত প্রদর্শনকারী এলো, তাদেরকে যেন যুদ্ধাভিযান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা আল্লাহ ও রাসুলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল, তারা এভাবে ঘরে বসে থাকল। তাদের মধ্যে যারা প্রকৃতপক্ষেই অবাধ্য, তাদের জন্য মর্মান্তিক শাস্তি রয়েছে।
৯১. যারা দুর্বল (অর্থাৎ বৃদ্ধ, শিশু ও নারী), যারা অসুস্থ এবং সেসব লোক যাদের পথচলার মতো কোনো বাহন বা রসদ নেই, তারা যদি আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অকৃত্রিমভাবে অনুগত থাকে, তবে তাদের জন্য যুদ্ধে না যাওয়া কোনো অপরাধ নয়। সৎকর্মশীল মানুষের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
৯২. সেসব লোকেরও কোনো অপরাধ নেই, যারা আপনার কাছে বাহনের আবেদন নিয়ে এসেছিল যুদ্ধযাত্রার জন্য। তখন আপনাকে তো বলে দিতে হলো_আমার কাছে তো তোমাদের দেওয়ার মতো কোনো বাহন নেই। তখন তাদের কাছে খরচ করার মতো কিছু না থাকার দুঃখে তারা এভাবে চলে গেল যে তাদের চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিল।
৯৩. অভিযোগ তো তাদের সম্পর্কে, যারা ধনবান হওয়া সত্ত্বেও আপনার কাছে অব্যাহতি চায়। যারা পেছনে পড়ে থাকল (নারী, শিশু, বৃদ্ধ), তাদের সঙ্গে ঘরে বসে থাকতেই তারা পছন্দ করে। আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। ফলে তারা প্রকৃত সত্য জানে না।
ব্যাখ্যা : ৯০ নম্বর আয়াতে মদিনার বাইরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কিছু লোকের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। মদিনায় যেমন নিবেদিতপ্রাণ মুসলমানরা ছিল এবং মুনাফিকরাও ছিল, তেমনি মদিনার বাইরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও অনেক লোক ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং তাদের মধ্যে মুনাফিকও ছিল। তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণের হুকুম যেহেতু কেবল মদিনাবাসীর জন্য নয়; বরং সব মুসলমানের জন্যই অপরিহার্য ছিল, তাই মদিনার আশপাশের গ্রামগুলোতে বসবাসরত মুসলমানরাসহ যাযাবর মুসলমানরা এর বাধ্যবাধকতায় এসে গিয়েছিল। দেখা গেল, এদের মধ্য থেকেও কিছু দোদুল্যমান মানুষ যুদ্ধে না যাওয়ার অজুহাত নিয়ে হাজির হলো। এ আয়াতে এসব গ্রাম্য মুনাফিকদের প্রসঙ্গটা উল্লেখ করা হয়েছে।
৯১ নম্বর আয়াতে অক্ষম অর্থাৎ বৃদ্ধ, নারী, শিশু ও অসুস্থদের যুদ্ধযাত্রা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা যুদ্ধযাত্রার বাহন ও খাদ্য জোগাড় করার আন্তরিক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে, তারা যদি আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অনুগত থাকে, তবে তাদের অব্যাহতির কথাও জানানো হয়েছে।
৯২ নম্বর আয়াতে বাক্কাই সম্প্রদায়ের কিছু লোকের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, যারা সংখ্যায় শতজন ছিল বলে জানা যায়। তাঁরা রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে তাবুক অভিযানে অংশগ্রহণের বাসনা ব্যক্ত করলেন এবং যেহেতু তাঁরা বাহন ও রসদ জোগাড় করতে পারছেন না, তাই রাসুলের কাছে বাহন প্রদানের আবেদন জানালেন। কিন্তু রাসুল (সা.) তাঁদের জন্য বাহন সরবরাহ করতে পারলেন না। মনের দুঃখে তাঁরা কাঁদতে কাঁদতে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আবদুল্লাহ ইবনে আমর, আব্বাস ও ওসমান (রা.) তাঁদের বাহন ও রসদের ব্যবস্থা করে দিয়ে সঙ্গে নিয়ে গেলেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৯৩. ইন্নামা চ্ছাবীলু আ'লা ল্লাযীনা ইয়াছ্তা'যিনূনাকা ওয়াহুম আগ্নিইয়া-উ; রাদ্বূ বিআইঁ ইয়্যাকূনূ মাআ'ল খাওয়া-লিফি ওয়াত্বাবাআ' ল্লা-হু আ'লা-ক্বুলূবিহিম ফাহুম লা-ইয়া'লামূন। [সুরা : সূরা আত্ তাওবা, আয়াত : ৯০-৯৩]
অনুবাদ : ৯০. আর গ্রামাঞ্চল থেকেও কিছু অজুহাত প্রদর্শনকারী এলো, তাদেরকে যেন যুদ্ধাভিযান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা আল্লাহ ও রাসুলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল, তারা এভাবে ঘরে বসে থাকল। তাদের মধ্যে যারা প্রকৃতপক্ষেই অবাধ্য, তাদের জন্য মর্মান্তিক শাস্তি রয়েছে।
৯১. যারা দুর্বল (অর্থাৎ বৃদ্ধ, শিশু ও নারী), যারা অসুস্থ এবং সেসব লোক যাদের পথচলার মতো কোনো বাহন বা রসদ নেই, তারা যদি আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অকৃত্রিমভাবে অনুগত থাকে, তবে তাদের জন্য যুদ্ধে না যাওয়া কোনো অপরাধ নয়। সৎকর্মশীল মানুষের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
৯২. সেসব লোকেরও কোনো অপরাধ নেই, যারা আপনার কাছে বাহনের আবেদন নিয়ে এসেছিল যুদ্ধযাত্রার জন্য। তখন আপনাকে তো বলে দিতে হলো_আমার কাছে তো তোমাদের দেওয়ার মতো কোনো বাহন নেই। তখন তাদের কাছে খরচ করার মতো কিছু না থাকার দুঃখে তারা এভাবে চলে গেল যে তাদের চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিল।
৯৩. অভিযোগ তো তাদের সম্পর্কে, যারা ধনবান হওয়া সত্ত্বেও আপনার কাছে অব্যাহতি চায়। যারা পেছনে পড়ে থাকল (নারী, শিশু, বৃদ্ধ), তাদের সঙ্গে ঘরে বসে থাকতেই তারা পছন্দ করে। আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। ফলে তারা প্রকৃত সত্য জানে না।
ব্যাখ্যা : ৯০ নম্বর আয়াতে মদিনার বাইরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কিছু লোকের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। মদিনায় যেমন নিবেদিতপ্রাণ মুসলমানরা ছিল এবং মুনাফিকরাও ছিল, তেমনি মদিনার বাইরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও অনেক লোক ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং তাদের মধ্যে মুনাফিকও ছিল। তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণের হুকুম যেহেতু কেবল মদিনাবাসীর জন্য নয়; বরং সব মুসলমানের জন্যই অপরিহার্য ছিল, তাই মদিনার আশপাশের গ্রামগুলোতে বসবাসরত মুসলমানরাসহ যাযাবর মুসলমানরা এর বাধ্যবাধকতায় এসে গিয়েছিল। দেখা গেল, এদের মধ্য থেকেও কিছু দোদুল্যমান মানুষ যুদ্ধে না যাওয়ার অজুহাত নিয়ে হাজির হলো। এ আয়াতে এসব গ্রাম্য মুনাফিকদের প্রসঙ্গটা উল্লেখ করা হয়েছে।
৯১ নম্বর আয়াতে অক্ষম অর্থাৎ বৃদ্ধ, নারী, শিশু ও অসুস্থদের যুদ্ধযাত্রা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা যুদ্ধযাত্রার বাহন ও খাদ্য জোগাড় করার আন্তরিক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে, তারা যদি আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অনুগত থাকে, তবে তাদের অব্যাহতির কথাও জানানো হয়েছে।
৯২ নম্বর আয়াতে বাক্কাই সম্প্রদায়ের কিছু লোকের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, যারা সংখ্যায় শতজন ছিল বলে জানা যায়। তাঁরা রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে তাবুক অভিযানে অংশগ্রহণের বাসনা ব্যক্ত করলেন এবং যেহেতু তাঁরা বাহন ও রসদ জোগাড় করতে পারছেন না, তাই রাসুলের কাছে বাহন প্রদানের আবেদন জানালেন। কিন্তু রাসুল (সা.) তাঁদের জন্য বাহন সরবরাহ করতে পারলেন না। মনের দুঃখে তাঁরা কাঁদতে কাঁদতে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আবদুল্লাহ ইবনে আমর, আব্বাস ও ওসমান (রা.) তাঁদের বাহন ও রসদের ব্যবস্থা করে দিয়ে সঙ্গে নিয়ে গেলেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments