দুর্দান্ত রোনালদো
বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকার মুহূর্তে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আচমকা শট। ৩০ গজি শটটি লেভান্তে গোলরক্ষক গুস্তাভো মুনুয়া ফিস্ট করার জন্য লাফিয়ে উঠেও বলের নাগাল পাননি। হাওয়ায় ভেসে বল হঠাৎই নিচু হয়ে বার ছুঁয়ে জালে! দর্শনীয় গোল।
গোল করেই রোনালদো দৌড়ে গিয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে জড়িয়ে ধরলেন কোচ হোসে মরিনহোকে। শিষ্যকে বুকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাসে নাচতে লাগলেন মরিনহোও। পরে যোগ দেন রিয়ালের অন্য খেলোয়াড়েরাও।
উদ্যাপন ভিন্নমাত্রা পেলেও বাড়াবাড়ি মনে হয়নি। দর্শনীয় এই গোলেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন রোনালদো। জয় নিশ্চিত করা গোল, তার চেয়েও বড় কথা, এটা ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে ‘৪০০০তম’ গোল। রোনালদোর হ্যাটট্রিকই ১০ জনের দল লেভান্তের বিপক্ষে রিয়ালকে এনে দিয়েছে ৪-২ গোলের জয়। কে বলতে পারে, এই জয়েই হয়তো নিশ্চিত হয়ে গেল রিয়ালের শিরোপা!
আলোচনা সে রকমই। আগের দিন ওসাসুনার কাছে হেরে ব্যবধান কমিয়ে আনার সুযোগ হাতছাড়া করেছে বার্সেলোনা। পরশু লেভান্তেকে হারিয়ে রিয়াল এগিয়ে গেল ১০ পয়েন্টে। ২২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৫৮, বার্সেলোনার ৪৮।
মৌসুমে লিগে এ পর্যন্ত দুটি ম্যাচে হেরেছে রিয়াল। তার একটি এই লেভান্তের কাছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিজেদের মাঠে মরিনহোর দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল লেভান্তে। সেই লেভান্তে পরশু বার্নাব্যুতেও এগিয়ে যায় প্রথমে, ৫ মিনিটেই গোল করেন গুস্তাভো কাব্রাল। রিয়াল আক্রমণের পর আক্রমণের ঢেউ তুললেও গোলটি শুধতে পারছিল না। ৪৫ মিনিটে নিজেদের সর্বনাশ ঢেকে আনেন লেভান্তের মিডফিল্ডার ভিসেন্তে ইবোরা। নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে ইবোরা বলটাকে লাগিয়ে ফেলেন দুই হাতেই। হ্যান্ডবল, পেনাল্টি দেওয়ার সঙ্গে রেফারি হলুদ কার্ডও দেখান ইবোরাকে। আগেই আরেকটি হলুদ কার্ড পাওয়ায় তা হয়ে যায় লাল কার্ড। মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন ইবোরা। পেনাল্টিতে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মধ্যেই আরও দুই গোল করে রিয়ালের পর্তুগিজ তারকা পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। মৌসুমে এটা তাঁর ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক, আর ২৭তম লিগ গোল। মেসির চেয়ে ৪টি বেশি। রিয়ালের অন্য গোলটি করিম বেনজেমার।
১০ পয়েন্টে পিছিয়ে—বার্সেলোনার শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়ার আলোচনাটা জোরেশোরেই হচ্ছে। মরিনহো অবশ্য মনে করছেন না, রিয়াল শিরোপা জিতেই গেছে, ‘এখনো অনেক পয়েন্টের খেলা বাকি। অনেক ম্যাচই সামনে, যার প্রতিটিই কঠিন। আমাদের আরও ৩৯ পয়েন্ট দরকার—১৩টি জয়। তবে এই ১০ পয়েন্টের অর্থ, আমরা কিছু ভুল করলেও তেমন কিছু হবে না।’
বার্সেলোনাকে শিরোপা-দৌড়ে রাখলেও একটা খোঁচা ঠিকই দিয়েছেন, ‘কিছু স্টেডিয়ামে আপনি পাসের পর পাস খেললে তারা মনে করে এটাই সুন্দর ফুটবল, কিন্তু এখানে বাজায় সিটি। এ কারণেই খেলোয়াড়েরা আক্রমণাত্মক থাকতে চায় এবং ঝুঁকি নেয়।’
বার্সেলোনা অধিনায়ক কার্লোস পুয়োলও এখনই শিরোপা রিয়ালের হাতে তুলে দিচ্ছেন না, ‘লিগ শেষ হয়ে যায়নি। তবে ব্যাপারটা জটিল হয়ে গেছে। এই দলটি সব সময়ই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে এবং এখন আমাদের প্রতি সপ্তাহেই জয়ের চেষ্টা করে যেতে হবে।’ এএফপি।
লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতা
২৭ — রোনালদো (রিয়াল)
২৩ — মেসি (বার্সেলোনা)
১৪ — ফ্যালকাও (বিলবাও), হিগুয়েইন (রিয়াল)
১২ — লরেন্তে (বিলবাও), সলদাদো (ভ্যালেন্সিয়া)
১১ — বেনজেমা (রিয়াল), মিকু (ভায়েকানো)
উদ্যাপন ভিন্নমাত্রা পেলেও বাড়াবাড়ি মনে হয়নি। দর্শনীয় এই গোলেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন রোনালদো। জয় নিশ্চিত করা গোল, তার চেয়েও বড় কথা, এটা ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে ‘৪০০০তম’ গোল। রোনালদোর হ্যাটট্রিকই ১০ জনের দল লেভান্তের বিপক্ষে রিয়ালকে এনে দিয়েছে ৪-২ গোলের জয়। কে বলতে পারে, এই জয়েই হয়তো নিশ্চিত হয়ে গেল রিয়ালের শিরোপা!
আলোচনা সে রকমই। আগের দিন ওসাসুনার কাছে হেরে ব্যবধান কমিয়ে আনার সুযোগ হাতছাড়া করেছে বার্সেলোনা। পরশু লেভান্তেকে হারিয়ে রিয়াল এগিয়ে গেল ১০ পয়েন্টে। ২২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৫৮, বার্সেলোনার ৪৮।
মৌসুমে লিগে এ পর্যন্ত দুটি ম্যাচে হেরেছে রিয়াল। তার একটি এই লেভান্তের কাছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিজেদের মাঠে মরিনহোর দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল লেভান্তে। সেই লেভান্তে পরশু বার্নাব্যুতেও এগিয়ে যায় প্রথমে, ৫ মিনিটেই গোল করেন গুস্তাভো কাব্রাল। রিয়াল আক্রমণের পর আক্রমণের ঢেউ তুললেও গোলটি শুধতে পারছিল না। ৪৫ মিনিটে নিজেদের সর্বনাশ ঢেকে আনেন লেভান্তের মিডফিল্ডার ভিসেন্তে ইবোরা। নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে ইবোরা বলটাকে লাগিয়ে ফেলেন দুই হাতেই। হ্যান্ডবল, পেনাল্টি দেওয়ার সঙ্গে রেফারি হলুদ কার্ডও দেখান ইবোরাকে। আগেই আরেকটি হলুদ কার্ড পাওয়ায় তা হয়ে যায় লাল কার্ড। মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন ইবোরা। পেনাল্টিতে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মধ্যেই আরও দুই গোল করে রিয়ালের পর্তুগিজ তারকা পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। মৌসুমে এটা তাঁর ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক, আর ২৭তম লিগ গোল। মেসির চেয়ে ৪টি বেশি। রিয়ালের অন্য গোলটি করিম বেনজেমার।
১০ পয়েন্টে পিছিয়ে—বার্সেলোনার শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়ার আলোচনাটা জোরেশোরেই হচ্ছে। মরিনহো অবশ্য মনে করছেন না, রিয়াল শিরোপা জিতেই গেছে, ‘এখনো অনেক পয়েন্টের খেলা বাকি। অনেক ম্যাচই সামনে, যার প্রতিটিই কঠিন। আমাদের আরও ৩৯ পয়েন্ট দরকার—১৩টি জয়। তবে এই ১০ পয়েন্টের অর্থ, আমরা কিছু ভুল করলেও তেমন কিছু হবে না।’
বার্সেলোনাকে শিরোপা-দৌড়ে রাখলেও একটা খোঁচা ঠিকই দিয়েছেন, ‘কিছু স্টেডিয়ামে আপনি পাসের পর পাস খেললে তারা মনে করে এটাই সুন্দর ফুটবল, কিন্তু এখানে বাজায় সিটি। এ কারণেই খেলোয়াড়েরা আক্রমণাত্মক থাকতে চায় এবং ঝুঁকি নেয়।’
বার্সেলোনা অধিনায়ক কার্লোস পুয়োলও এখনই শিরোপা রিয়ালের হাতে তুলে দিচ্ছেন না, ‘লিগ শেষ হয়ে যায়নি। তবে ব্যাপারটা জটিল হয়ে গেছে। এই দলটি সব সময়ই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে এবং এখন আমাদের প্রতি সপ্তাহেই জয়ের চেষ্টা করে যেতে হবে।’ এএফপি।
লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতা
২৭ — রোনালদো (রিয়াল)
২৩ — মেসি (বার্সেলোনা)
১৪ — ফ্যালকাও (বিলবাও), হিগুয়েইন (রিয়াল)
১২ — লরেন্তে (বিলবাও), সলদাদো (ভ্যালেন্সিয়া)
১১ — বেনজেমা (রিয়াল), মিকু (ভায়েকানো)
No comments