স্মিথের কাছে গেইলের হার
আহমেদ শেহজাদ-ক্রিস গেইল-ব্র্যাড হজ। বিপিএলে স্বপ্নের টপ অর্ডার বলতে হবে এটাকেই। কিন্তু কাল স্বপ্নের পুরোটাই ভেঙে পড়ল মাত্র ১৫ রানের মধ্যে! ১২৫ রানে শেষ হয়ে যাওয়া বরিশাল বার্নার্সকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিতে মাত্র ৩ উইকেট হারাতে হলো খুলনা রয়েল বেঙ্গলসকে। প্রথম ম্যাচে জয়, দ্বিতীয় ম্যাচে হার।
মিরপুরে কাল তৃতীয় ম্যাচটা ৭ উইকেটে জিতে সাকিব আল হাসানের দল ফিরল জয়ের ধারায়। বরিশাল বার্নার্স জিতেছিল প্রথম দুই ম্যাচেই।
ম্যাচ শেষে বরিশাল অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীসের সরল স্বীকারোক্তি, রানের খাতা না খুলতেই শেহজাদ আর ১৩ রানে ক্রিস গেইলকে হারানোতেই সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। এরপর দলের ১৫ রানের সময় হজের বিদায় কফিনে ঠুকে দিয়েছে শেষ পেরেক। হ্যাঁ, এর পরও বরিশাল বার্নার্সের হাতে ৭টি উইকেট ছিল। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে গেইল-শেহজাদ তাণ্ডবে তারা যে রয়ে গিয়েছিল প্রায় অপরীক্ষিত! কাল প্রথম পরীক্ষা দিতে নেমে সবাই ব্যর্থ। শাহরিয়ারও বললেন, ‘দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর বাকিদের যা করার দরকার ছিল, তা করতে পারিনি। ১২৫ রান মোটেও জেতার মতো স্কোর নয়।’
৬৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল বরিশাল বার্নার্স হয়তো এক শর নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জায়ই ডুবতে যাচ্ছে। কিন্তু ত্রাতা হয়ে এলেন তরুণ ব্যাটসম্যান মমিনুল হক। ৮ নম্বরে নেমে ২৪ বলে করলেন ৪২, সেটি অলংকৃত দুই ছক্কা আর চার বাউন্ডারিতে। তাঁর সঙ্গে অষ্টম উইকেটজুটিতে ৩৭ রানে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর অবদান মাত্র ৮। প্রথম ১০ ওভারে বরিশাল বার্নার্স তুলেছিল ৫ উইকেটে ৪৫। পরের ১০ ওভারে এল ৮০ এবং সেটা মমিনুলের ব্যাটের সৌজন্যেই। শেষ ওভারের প্রথম বলে শাহাদাতকে স্কুপ মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে চন্দরপলের ক্যাচ হওয়ার আগে মমিনুল দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ১১৮ রানে।
বিপিএলে ১২৫-১৩০ কোনো রানই নয়। খুলনা রয়েল বেঙ্গলসকেও একদমই কষ্ট করতে হয়নি ওটা টপকাতে। চন্দরপল-গিবসের ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর এক ডোয়াইন স্মিথের ব্যাটেই খেলা শেষ! চার ছক্কা ও তিন চারে ৪১ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে সনাৎ জয়াসুরিয়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটজুটিতে স্মিথ যোগ করেছেন ৪৫। টুর্নামেন্টে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে ১৮ বলে ২৩ রান জয়াসুরিয়ার।
ক্রিস গেইলের ব্যর্থতার দিনে স্মিথের সাফল্যে একটা প্রশ্ন উঠছে—বিপিএল কি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্যারিবীয়দেরও উৎসবের মঞ্চ? ম্যাচ শেষে অস্বীকার করলেন না স্মিথ, ‘আমাদের সবাইকেই সাহায্য করছে এখানকার উইকেট। দেশেও আমরা এমন উইকেটেই খেলে অভ্যস্ত।’ ১৩ রানের মধ্যে শেহজাদ ও গেইলকে ফিরিয়ে দিতে পারাকেও খুলনার জয়ের বড় কারণ বলছেন তিনি, ‘শাহজাদের পর গেইলও অল্প রানে ফিরে গেলে ম্যাচটা আমাদের হাতে চলে আসে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বার্নার্স: ২০ ওভারে ১২৫ (মমিনুল ৪২, মাস্টার্ড ২৫, হজ ১২, ইয়াসির ১০, নাজমুল অপু ১০*; শফিউল ২/৭, জয়াসুরিয়া ২/১৭, সাকিব ২/১৯, শাহাদাত ১/১৫, আন্দ্রে রাসেল ১/২৬)। খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ১৭.২ ওভারে ১৩১/৩ (স্মিথ ৫৮*, চন্দরপল ২৭, জয়াসুরিয়া ২৩, গিবস ১১; সোহরাওয়ার্দী ২/২০, নাজমুল অপু ১/২৮)। ফল: খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডোয়াইন স্মিথ।
ম্যাচ শেষে বরিশাল অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীসের সরল স্বীকারোক্তি, রানের খাতা না খুলতেই শেহজাদ আর ১৩ রানে ক্রিস গেইলকে হারানোতেই সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। এরপর দলের ১৫ রানের সময় হজের বিদায় কফিনে ঠুকে দিয়েছে শেষ পেরেক। হ্যাঁ, এর পরও বরিশাল বার্নার্সের হাতে ৭টি উইকেট ছিল। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে গেইল-শেহজাদ তাণ্ডবে তারা যে রয়ে গিয়েছিল প্রায় অপরীক্ষিত! কাল প্রথম পরীক্ষা দিতে নেমে সবাই ব্যর্থ। শাহরিয়ারও বললেন, ‘দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর বাকিদের যা করার দরকার ছিল, তা করতে পারিনি। ১২৫ রান মোটেও জেতার মতো স্কোর নয়।’
৬৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল বরিশাল বার্নার্স হয়তো এক শর নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জায়ই ডুবতে যাচ্ছে। কিন্তু ত্রাতা হয়ে এলেন তরুণ ব্যাটসম্যান মমিনুল হক। ৮ নম্বরে নেমে ২৪ বলে করলেন ৪২, সেটি অলংকৃত দুই ছক্কা আর চার বাউন্ডারিতে। তাঁর সঙ্গে অষ্টম উইকেটজুটিতে ৩৭ রানে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর অবদান মাত্র ৮। প্রথম ১০ ওভারে বরিশাল বার্নার্স তুলেছিল ৫ উইকেটে ৪৫। পরের ১০ ওভারে এল ৮০ এবং সেটা মমিনুলের ব্যাটের সৌজন্যেই। শেষ ওভারের প্রথম বলে শাহাদাতকে স্কুপ মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে চন্দরপলের ক্যাচ হওয়ার আগে মমিনুল দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ১১৮ রানে।
বিপিএলে ১২৫-১৩০ কোনো রানই নয়। খুলনা রয়েল বেঙ্গলসকেও একদমই কষ্ট করতে হয়নি ওটা টপকাতে। চন্দরপল-গিবসের ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পর এক ডোয়াইন স্মিথের ব্যাটেই খেলা শেষ! চার ছক্কা ও তিন চারে ৪১ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে সনাৎ জয়াসুরিয়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটজুটিতে স্মিথ যোগ করেছেন ৪৫। টুর্নামেন্টে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে ১৮ বলে ২৩ রান জয়াসুরিয়ার।
ক্রিস গেইলের ব্যর্থতার দিনে স্মিথের সাফল্যে একটা প্রশ্ন উঠছে—বিপিএল কি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্যারিবীয়দেরও উৎসবের মঞ্চ? ম্যাচ শেষে অস্বীকার করলেন না স্মিথ, ‘আমাদের সবাইকেই সাহায্য করছে এখানকার উইকেট। দেশেও আমরা এমন উইকেটেই খেলে অভ্যস্ত।’ ১৩ রানের মধ্যে শেহজাদ ও গেইলকে ফিরিয়ে দিতে পারাকেও খুলনার জয়ের বড় কারণ বলছেন তিনি, ‘শাহজাদের পর গেইলও অল্প রানে ফিরে গেলে ম্যাচটা আমাদের হাতে চলে আসে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বার্নার্স: ২০ ওভারে ১২৫ (মমিনুল ৪২, মাস্টার্ড ২৫, হজ ১২, ইয়াসির ১০, নাজমুল অপু ১০*; শফিউল ২/৭, জয়াসুরিয়া ২/১৭, সাকিব ২/১৯, শাহাদাত ১/১৫, আন্দ্রে রাসেল ১/২৬)। খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ১৭.২ ওভারে ১৩১/৩ (স্মিথ ৫৮*, চন্দরপল ২৭, জয়াসুরিয়া ২৩, গিবস ১১; সোহরাওয়ার্দী ২/২০, নাজমুল অপু ১/২৮)। ফল: খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডোয়াইন স্মিথ।
No comments